somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিলখানার সম্পুর্ন খবর! সকল সচেতন সদস্যের কাছে অনুরোধ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পিলখানার বিভিষিকা শেষ হয়েছে। সম্ভবত আশেপাশের ২ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী মানুষগুলো ঘরে ফিরে গেছে। আমার ছোট ভাই সস্ত্রিীক ফিরে গেল আমার সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে। বিভিন্ন মানুষ থেকে, বিভিন্ন ব্লগ থেকে এবং টিভি চ্যানেলগুলো থেকে হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। টিভিতে দেখছি শোকে দুঃশ্চিন্তায় বিবর্ন্ অনেক পরিবারকে। এতক্ষনে সবাই জেনে গেছেন বিপুল পরিমান আর্মি অফিসারদের মৃত্যুর খবর (আনুমানিক ১০০+)। এদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেবার ভাষা বা ক্ষমতা কারোই নেই। নিঃসন্দেহে বলা যায় দেলের জন্য এটা একটা অপূরনীয় ক্ষতি। অন্যদিকে কিছু সংখ্যক বিডিয়ার সদস্যের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে সেই ষংখ্যা কোন ভাবেই ৫০০ (পাচশতর) বেশি হবেনা। এদের ৯৫% ই নিম্নবৃত্ত পরিবার থেকে আশা। য়ে কারনে দেশের খুব বড় ক্ষতি হয়নি ইনশাল্লাহ্। এরা খুবই সাধারন ধরনের কাজ কর্ম করতো যেমন চাল-ডাল বিক্রি, বনে বাদাড়ে বসে সীমান্ত পাহারা দেয়া, ট্রাফিক কন্ট্রোল, ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়া ইত্যাদি। পরিবারের মানুষগুলো এদের উপর তেমন ভাবে নির্ভরশীল ছিল না। কারন এরা যে বেতন ভাতা পেত তাতে নিজেদের জীবন নির্বাহ করাই ছিল চ্যালেঞ্জ। এদের মৃতদেহগুলো আপাতত পিলখানার ভেতরে যত্রতত্র পড়ে থাকুক অসুবিধা কিছু নাই, এদের ভাই ব্রাদাররা (যারা এখন ব্যারাকে) পরে ব্যাবস্থা করবে, নিশ্চয় করবে। আর উদ্ধারকরে ও লাভ কি, বনানী বা আজিমপুর গোরস্থানে এরে যায়গা হবে না। সবাইকে নিজ নিজ গ্রামে পাঠাতে গেলে অনেক সময় লাগবে ততক্ষনে এমনিতেই সব পচে যাবে।

মৃত মানুষদের উপর রাগ রাখতে নেই, যেসব আর্মি অফিসারেরা তাদের বাজে মেজাজ এবং দুর্নীতির জন্য বিখাত ছিল বা যারা মইনুনুনুনুনু (নুনু নুনু গুলো ডিলিট হচ্ছে না হার্ডওয়ার ইরর) স্যার এবং এরকম আরো ক্ষমতাবান স্যারদের প্রিয় পাত্র বা সহয়োগী শক্তি ছিল তাদের চরিত্রগুলোকে একটু ঘষামাজা করা দরকার। আমাদের এখন অনেক কাজ, কিছু আম জনতা খুজে বের করতে হবে, বুদ্ধিজীবিরা সবাই ঝিম মেরে আছে, এদের দিকে নজর দেয়া দরকার। ডাল-ভাত কর্মসূচীর কিছু টাকা এখানে খরচ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে, কি আর করা... সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে ক্ষমতাসীন রাজনীতিবীদদের নিয়ে। এরা ছাড়া মিডিয়াকে সাইজে রাখা যাবে না। এদিকে আবার ব্লগ না কি একটা বালের জিনিস হইছে এইটারেও সাইজ করা দরকার।

প্রিয় বন্ধুরা, কেউকি কোথাও দেখেছেন বা শুনেছেন ঠিক কতজন বিডিআর মারা গেছে? ছাড়া পাওয়া আর্মি অফিসারদের মুখেই তো শুনলাম পিলখানার যত্রতত্র লাশ আর লাশ, উনি লাশের উপর দিয়ে হেটে এসেছেন। এই লাশগুলো কাদের? আমার এলাকার এক ছেলৈ ছিল বিডিআর এ, ২৫ তারিখ সাড়ে এগারোটার দিকে ওই আমাকে প্রথম খবর দেয়। ঐদিন রাতে একবার ফোন করেছিল আমার ডাক্তার স্ত্রী ধরেছিল ফোনটা, খুব কান্নাকাটি করেছে ও বারবার বলেছে "ভাবী আপনারা যা শুনেছেন তা ঠিক না, অনেক আর্মি কমান্ডো ভেতরে আছে, আমার ইউনিটের বেশির ভাগ মারা গেছে। এই কমান্ডোরা নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে যত্রতত্র, সবাই এরা বিডিআর এর ড্রেসেই আছে।" গাধাটাকে ফোন করে আর পাচ্ছিনা, গাধটা একটা ফার্মেসীতে চাকরী করত হঠাং একদিন সবগুলা দাত বের করে হাজির, বলে ভাই বিডিআর এ চান্স পাইছি। মর এখন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে মর। তোদের জন্য শোক ও করবো না। অনেক মেজর, ক্যাপ্টেন শাহাদং বরণ করেছেন, তারা দেশের সম্পদ, জাতীয় শোক ঘোষনা করা হবে। তোর মরার খবর নিয়ে আমার কোন লাভ নেই। কোথায় শাহাদং বরন আর কোথায় গোলাগুলিতে মারা পড়া।

শুনেছিলাম ১৫০০০ জওয়ান ছিল দরবার উপলক্ষে। একটু আগে একটা চ্যানেলে শুনলাম হাজার ছয়েক জওয়ান এখন পাওয়া যাচ্ছে ধরে নিই এই সংখা ১০০০০, তাহলে বাকি গুলান কই? নাকি ননএলিটদের পৃথিবীতে গনিতের নিয়ম ও অন্য রকম??????
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
২৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×