somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

না, শায়মা আপা, ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


I am astonished at the fantasy that has arisen around the Mayan calendar.
রিগোবার্তা মেনচু তুম (গুয়েতেমালার আদিবাসী এবং নোবেল পিস লরিয়েট।)

গতকাল দক্ষিণ আমেরিকার মায়া সভ্যতা নিয়ে একটি পোস্ট লিখেছিলাম। পোস্টের শিরোনাম: চিচেন ইটজা: মায়া সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র । পোস্টটি পড়ে শায়মা আপা মন্তব্য করলেন: ‘মায়া সভ্যতার কথা শুনলেই আমার ভয় ভয় লাগে কেনো যেন ভাইয়া।’ বুঝতে পারলাম শায়মা আপা কেন ভয় পাচ্ছেন । ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবীর ধ্বংস হয়ে যাবে- মানুষের মনে এরকম একটি ধারণা ছড়িয়ে আছে । কারণ মায়াদের ক্যালেন্ডার ঠিক ওই দিনেই শেষ হয়ে গেছে। কাজেই ঠিক ওই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এ নিয়ে হলিউডি ছবিও নির্মিত হয়েছে। সে ছবিটি আমরা দেখেছি রুদ্ধশ্বাসে।



২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হলিউডের ছবিতে পৃথিবী মানে আমেরিকা। আর সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী মায়ারা ... যেন প্রাচীন মিশর কি মেসোপটেমিয়ার মানুষ কখনও রাতের আকাশের দিকে তাকায়নি!


২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এই বিশ্বাস এতই গভীর যে একটি ওয়েভ সাইট বিপর্যয়ের কাউন্ড ডাউন শুরু করে দিয়েছে । তো,সবাই যখন ভয় পাচ্ছে তখন শায়মা আপার ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ভয়টা কি যৌক্তিক? মানে এর পিছনে কি কোনও ভিত্তি আছে? আমার মনে হয় নেই। তার কারণ লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন আসন্ন পৃথিবী ধ্বংসের জন্য আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে তখন একদল চিন্তাশীল মানুষ মাথা ঠান্ডা করে বিষয়টি বিশ্লেষন করার চেষ্টা করছেন। এদের মধ্যে এমন মানুষও আছেন যারা ‘মায়ান’ (মায়াদের ভাষা) ভাষাটি পড়তে পারেন। এদের বক্তব্য অনেক যুক্তিযুক্ত মনে হয়।




Mark Van Stone এর লেখা It's Not the End of the World: What the Ancient Maya Tell Us About 2012 বইটির প্রচ্ছদ। অধ্যাপক Mark Van Stone মায়ান ভাষায় বিশিস্ট পন্ডিত এবং তিনি এই বইতে ২০১২ সালের বিপর্যয় অস্বীকার করেছেন। বইটির নির্বাচিত অংশ পড়ার জন্য ক্লিক করুন।

এবার মূল আলোচনায় আসা যাক। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে- এটি একটি বহু পুরনো পাবলিক ক্রেজ। এবং এই ক্রেজই ছিল ক্রসেডের অন্যতম একটি কারণ। মধ্যযুগে খ্রিস্টীয় জগতে বিশ্বাস করা হত যে ১০০০ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এই বিশ্বাসকে Millenarianism বা millenarism বলে। Millenarism is the belief by a religious, social, or political group or movement in a coming major transformation of society, after which all things will be changed, based on a one-thousand-year cycle.দশম শতক ঘনিয়ে এলে ইউরোপের খ্রিস্টানরা পবিত্র জেরুজালেম জীবনের অন্তিম মুহূর্ত অতিবাহিত করতে চাইল । নগরটি তখন মুসলিম মুরদের দখলে। তারা খ্রিস্টানদের বাধা দিলে লড়াই (ক্রসেড) শুরু হয়ে যায়।



অনেকের ধারণা ২০১২ সালে পৃথিবীতে নিবিরু গ্রহটি আছড়ে পড়বে।


অনেকেরই ধারণা ২০১২ সালে পৃথিবীতে নিবিরু গ্রহ আছড়ে পড়বে। নিবিরু গ্রহটি নাকি প্রাচীন সুমেরিয়দের আবিস্কার। সেটিই নাকি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। লেখক জাকারিয়া সিটচিন মেসোপটেমিয়ার পটভূমিতে কল্পকাহিনীর লেখেন। তার লেখায় রয়েছে নিবিরু গ্রহটি ৩৬ হাজার বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এই মনগড়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্বঘোষিত সাইকি ন্যান্সি লেইডার দাবি করে বসলেন তার সঙ্গে ভিন গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণির যোগাযোগ আছে। এবং নিবিরু গ্রহটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে। ন্যান্সি লেইডার সংঘর্ষের তারিখ ২০০৩ সালের মে মাস নির্ধারণ করেন। ২০০৩ সালে যখন কিছুই ঘটল না, তখন তিনি তারিখটি আবার ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে তারিখটি পুর্ণনির্ধারণ করেন। এর কারণ কি? মায়া সভ্যতার প্রতি মানুষের রহস্যময় আকর্ষণ।



দক্ষিণ আমেরিকার মায়া সভ্যতার মানচিত্র। মায়া সভ্যতার সময়কাল ২৫০ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ। সভ্যতাটির ব্যাপ্তি ছিল দক্ষিণ মেক্সিকো, গুয়েতেমালা, বেলিজ, এল সালভাদর এবং হন্ডুরাসের কিছু অংশ। প্রত্নতাত্ত্বিকগণ মায়াসংস্কৃতির বিভিন্ন দিক সম্বন্ধে গবেষনা করেছেন । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মায়াদের লিখনপদ্ধতি আবিস্কার করা।


মায়ারা প্রধানত দুটি ক্যালেনডার ব্যবহার করত। একটি হল- ‘দীর্ঘ গণনা’ বা ‘লং কাউন্ট’। এটি অতীত এবং ভবিষ্যৎ ঘটনা সর্ম্পকিত। অন্য ক্যালেনডারটি ছোট, যার ব্যাপ্তি ৫২ বছর। এটি ‘ক্যালেনডার রাউন্ড’ নামে পরিচিত। এর সময়সীমা একজন ব্যাক্তির জীবৎকাল। লং কাউন্ট- এর সূচনা ৩১১৪ খ্রিস্টপূর্ব। এবং এটি ৫১২৬ বছর পর অর্থাৎ শেষ হয়েছে ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর। এই কারণেই রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।



মায়া দীর্ঘ গণনা বা লং কাউন্ট ক্যালেনডার। মায়াদের ক্যালেনডার সর্ম্পকে নাসার বিজ্ঞানী ড. ডেভিড মরিসন মন্তব্য করেছেন:The Mayan astronomers were clever, and they developed a very complex calendar. Ancient calendars are interesting to historians, but of course they cannot match the ability we have today to keep track of time, or the precision of the calendars currently in use.


স্বাভাবিক কারণেই ঐতিহাসিকরা মায়া ক্যালেনডার- এর সঙ্গে গ্রেগরিয়ান ক্যালেনডার- এর সমন্বয় সাধন বা 'কোরিলেট' করেছেন । নইলে মায়া ইতিহাস মায়াদের জগতের বাইরে বোধগম্য হবে না। সমস্যার মূল এটিই। প্রত্ন
তাত্ত্বিকগন মায়া ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায় বর্ননা করার সময় মায়া ক্যালেনডার কে গ্রেগরিয়ান ক্যালেনডার এ রূপান্তরিত করতে GMT কোরিলেশন পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। GMT হল তিনজন প্রত্নতত্ত্ববিদের নামের আদ্যক্ষর। এরা হলেন জোসেফ গুডম্যান, জুয়ান মার্টিনেজ -হার্নান্ডেজ এবং জে. এরিক এস থম্পসন। তবে GMT -র নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদের মধ্যে ইউনিভার্সিটি অভ ক্যালিফোর্নিয়ার (সান্তা বারবারা) অধ্যাপক জেরাল্ডো আলডানা অন্যতম। তিনি GMT -র যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যেমন একজন ইউরোপীয় গবেষক লিখেছেন: গুয়েতেমালার মায়া রাজা চাক এক- এর উদয়ের সময় যুদ্ধ শেষ করেন। এত দিন ধারণা ছিল চাক এক হল শুক্র গ্রহ। অধ্যাপক আলডানা ধারণা করছেন চাক এক হল উল্কা। আমরা জানি, মায়ারা জ্যোতিবিজ্ঞান চর্চা করত । চাঁদের কলা, গ্রহন এমন কী শুক্র গ্রহের আন্দোলন অবধি তারা অবগত ছিল। শুক্র গ্রহের আবর্তনের সঙ্গে মায়া ক্যালেনডার সর্ম্পকিত ।



মায়াদের নিয়ে মানুষের অনেক রহস্যময়তা ছড়িয়েছে। বলা হয় মায়া সভ্যতার উত্থান নাকি আকস্মিক এবং ১২০০ শতকে সভ্যতাটি আকস্মিকভাবে 'ভ্যানিশ' হয়ে যায়। আসলে মায়া সভ্যতার পতনের অন্যতম কারণ ছিল অনাবৃষ্টি এবং বনভূমি উজার হয়ে যাওয়া।


এভাবে GMT কোরিলেশন পদ্ধতি অনেকবারই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। অথচ এতসব অসংগতির পরও ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরই যে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারে অনেকেই নিশ্চিত। তার কারণ কি? স্বার্থান্বেষী মহল টিকিয়ে রাখছে অর্থনৈতিক স্বার্থেই। এ প্রসঙ্গে ডিসকভারি নিউজ এর আয়ান ও নিল লিখেছেন: After all, proving that the world isn't going to end is bad for business if you have a doomsday book to sell.আর নাসার বিজ্ঞানী ড. ডেভিড মরিসন বলছেন,Calendars exist for keeping track of the passage of time, not for predicting the future. The main point, however, is that calendars, whether contemporary or ancient, cannot predict the future of our planet or warn of things to happen on a specific date such as 2012. I note that my desk calendar ends much sooner, on December 31, 2009, but I do not interpret this as a prediction of Armageddon. It is just the beginning of a new year.



মায়াদের টরটুগুয়েরো নগরে ইংরেজি টি-আকারের ৬নং স্মৃতিস্তম্ভ


যে নিয়ে তারিখটি নিয়ে পৃথিবীজুড়ে এত জল্পনাকল্পনা চলছে সেটি কোথায় রয়েছে? ৭০০ শতকের মায়াদের টরটুগুয়েরো নগরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ আবিস্কৃত হয়েছে । ইংরেজি টি-আকারের ৬নং মনুমেন্ট নামে পরিচিত। এর ওপর খোদিত আছে 'দীর্ঘ গণনার' একটি তারিখ (৯.১১.১৬.৮.১৮) । এটি আসলে ভবন নিমার্ণের তারিখ। এরপর মায়ান ভাষায় লেখা: ‘জুহটজুম উ ১৩ বাখতুন ৪ আজাও ৩ কানকিন উতুম।’ এই লাইনটি ১৩ বাখতুন (ডিসেম্বর ২১, ২০১২)- এর পরের ভবিষ্যতের কোনও ঘটনাকে নির্দেশ করছে। এর পর লেখা রয়েছে তখন বোলোন য়ুকটে (দেবতাগন) আবিভূর্ত হবেন। লিপিটি ভগ্ন বলে আর কিছু বোঝা যায়নি। তবে পৃথিবী যে ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর ধ্বংস হয়ে যাবে সেরকম ভবিষ্যৎবাণী মায়ারা করেনি।
না, শায়মা আপা, ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না।
তবে পৃথিবী ধ্বংস হবে ঠিকই যখন ৪ বিলিয়ন বছর পর সূর্যের ভিতরে হাইড্রোজেন নিঃশেষ হয়ে যাবে। ভারী উপাদান জ্বালাতে জ্বালাতে বেলুনের মতো ফুলে যাবে সূর্যটা । আর সৌরজগতের সব গ্রহকে গিলে খাবে।তখনই পৃথিবী পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। সেসবের তো অনেক দেরি। কাজেই আগামী বছর কিছুই হচ্ছে না। যদিও অনেকে বিশ্বাস করছে এবং ভয় পাচ্ছে। আগেও একবার বলেছি, এর পিছনে রয়েছে অর্থনৈতিক স্বার্থ। একজন লেখক এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন: Doomsayers with YouTube accounts and producers with multi-million dollar budgets are profiting from tales of doomsday.



অনেকেরই অলীক বিশ্বাস যে ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর নিউ ইর্য়কের পিস অভ লিবার্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। বেশির ভাগ মানুষই আসলে তলিয়ে দেখে না। তারা হুজুগে মাতে। হয়তো বিশ্বব্যাপী বিপর্যয়ের ভাবনাটি তাদের নিরানন্দ জীবনে রোমাঞ্চকর অনুভূতি এনে দেয় ...




পৃথিবী ধ্বংসের বিষয়টি ধর্মীয় বোধে পর্যবেশিত হয়েছে
অনেকের মধ্যে Millenarianism বোধটিও প্রবল ...

যাই হোক। ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না বা পৃথিবীর বুকে নিবিরু গ্রহটি আছড়ে পড়ছে না। কাজেই অযথা আতঙ্কে না ভুগে বরং আমরা সবুজ সুন্দর এই পৃথিবীর দিকে রবীন্দ্রনাথের চোখে তাকাই, এই বাংলাদেশকে জীবনানন্দের মতো ভালোবাসি। আর পরিবেশ সম্বন্ধে সচেতন হয়ে উঠি। বেশি করে গাছ লাগাই, খাঁচার পাখি ছেড়ে দিই, পরিযায়ী অতিথি পাখিদের আশ্রয় দিই. পদ্মায় জাটকা নিধন বন্ধ করি ... এভাবে দূর্লভ এই মানবজীবন সার্থক করে তুলি।

ছবি: ইন্টারনেট।

তথ্যসূত্র:

Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
http://www.famsi.org/research/vanstone/2012/
Click This Link
Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৪
৮৬টি মন্তব্য ৭৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×