১. কিছুদিন আগে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, 'পারমানবিক বোমা শোকেজে রাখার জন্য বানাইনি'। তারও আগে পারভেজ মোশাররফ বলেছিলেন, 'শবে বরাতে ফাটানোর জন্য পারমানবিক বোমা বানাইনি'। কিছুদিন পর পরই এমন মন্তব্য আসে পাকিস্তানের তরফ থেকে। অবশ্য ভারতও বসে থাকে না জবাব দিতে। গত কয়েকদিন ধরে চলছে উত্তর কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধংদেহী কথাবার্তা। কিম জং কত মিনিটের মধ্যে কোন দেশের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে গুয়ামের আমেরিকান ঘাঁটিতে বোমার আঘাত হবে তার ফিরিস্তি দিচ্ছেন আবার ট্রাম্পও বলছে হিন্দী ছবির ভিলেনের মত 'উত্তর কোরিয়ার পতনের তারিখ ঠিক হয়ে গিয়েছে'। কেউ কাউকে ছাড় দেয়ার মত মনে হচ্ছে না...
২. আমার এক ভারতীয় (তামিল) বস একবার পাকিস্তান ভারতের মধ্যে সব সময় কথার যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন এরকম - ভারতের সব লোক যদি এক সাথে মূত্র ত্যাগ করে তাহলে পাকিস্তানে বন্যা হবে(প্রতীকি)। ১৬/১৭ কোটি মানুষ কীভাবে ১২৫ কোটি মানুষের সাথে যুদ্ধ করবে? এরা(পাকিস্তানী) জানে শুধু গলাবাজি করতে...
৩. উত্তর কোরিয়ার হাঁকডাক শুনে আমার স্যারের কথা মনে পড়ে গেল। আমেরিকা যদি চায় উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করতে কয়েকদিনের বেশী লাগবে না। সৈন্য, মিত্র, শক্তি সব দিক দিয়ে আমেরিকা অনেক এগিয়ে। তবু কিম জং উন কে কেন জানি অনেকে পছন্দ করে (একমাত্র জীবিত নেতা যে আমেরিকার বিরুদ্ধে বলে এই জন্য হয়তো!) এরকম গাদ্দাফিও ছিলো। তিনি রিগেনকে বলেছিলেন, 'আপনি অভিনেতা আর আমি নেতা'। ইরাক আমেরিকা যুদ্ধের সময় সাদ্দামের তথ্য মন্ত্রী সাঈদ আল সাহাফ প্রতিদিন চমৎকার মন্তব্য করতেন আমেরিকানদের পতন নিয়ে। ঐ সময় তার বাণীগুলো নিয়ে একটা ওয়েব সাইটও তৈরি হয়েছিল। একই রকম মোল্লা ওমরও বলতো। কিন্তু সবাই আজ ইতিহাস। গলাবাজি করে যুদ্ধ জয় করা গেলে সাদ্দাম, গাদ্দাফি, মোল্লা ওমরের পতন হতো না...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০০