১. উসাইন বোল্টের আগে ২০০ ও ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো মাইকেল জনসন। ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টের ফাইনালের আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার সঙ্গে বাকীদের রাখা হয় শুধু প্রতিযোগীতার নিয়ম অনুসরণের জন্য! কারণ বাকীরা আমার পেছনেই থাকবে! দেখা গেল, তিনি সেবার গোল্ড মেডেল জিতেছিলেন। উসাইন বোল্ট যখন তাঁর শেষ অলিম্পিক ২০১৬ তে খেলতে যান তিনি বলেছিলেন, আমি কিংবদন্তি হতে এসেছি। তিনি ১০০, ২০০ এবং ৪*১০০ প্রতিটিতে স্বর্ন জিতে তার প্রমাণ দিয়েছেন। খেলোয়াড়দের এমন মন্তব্যকে আমরা মনে করি অহংকার হিসেবে কিন্তু বাইরের দুনিয়ার এসব হলো আত্মবিশ্বাস। যে কারণে তাদের দম্ভ তাদের আরো উপরে তুলে দেয়...
২. নেইমার যখন বার্সেলোনা ছেড়ে পি এস জি-তে যায় তখন তিনি সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়। কয়েক ম্যাচ খেলার পরই সিনিয়র প্লেয়ার কাভানির সাথে ফ্রি কিক আর পেনাল্টি নিয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়ে যায়। আমরা বলতে লাগলাম, নেইমার অহংকারী হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল পরের এক ম্যাচে নেইমার ফ্রি কিক আর পেনাল্টি নিয়ে গোল করে তার আগ্রাসনের প্রমাণ দেয়। এখানেও কাজ করেছে আত্মবিশ্বাস...
৩. একে তো সাকিব নেই তার উপর বাউন্সি উইকেট সেখানে টস জিতে কেন ফিল্ডিং নেয়া? তাও আবার প্রথম টেস্টের এমন হারের পরও! আমরা কবে থেকে ফাস্ট বোলারদের দেশ হয়ে গেলাম? বার বার বিশষজ্ঞরা বলেছেন, আমরা দেশের মাটিতে স্পিন পিচে যতই সাফল্য পাই আসল পরীক্ষা হলো উপমহাদেশের বাইরের পিচে খেলা। তাই দেশেই বাউন্সি উইকেট বানানোর কথা প্রায়ই বলা হয়। কিন্তু স্পিন সাফল্য আর লোকাল সুবিধা নেয়ার জন্য আমরা বরাবরই স্পিন সহায়ক পিচে খেলি। যার খেসারত সাউথ আফ্রিকার সাথে এভাবে বাজে হারা।
৪. অামাদের আত্মবিশ্বাস অবশ্যই থাকতে হবে কিন্তু সেই সাথে বাস্তবতাও মানতে হবে। সাকিব, তামিম বিহীন একটা দল প্রথমে বোলিং নিলে বড় রানের পাহাড় গড়বে প্রতিপক্ষ সেটা বুঝতে হবে। আমাদের দলে ভালো ও ধারাবাহিক খেলোয়াড়ের অনেক অভাব। তাই কেউ সন্তান জন্ম হওয়ার সময় স্ত্রীর পাশে থাকা, কেউ বিশ্রামের কথা বলে সিরিজ থেকে ছুটি নেওয়া - এসব থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯