১. মেয়াদের শেষ কয়েক মাস আগে আর সরকার পতনের কী আছে? ৫ বছর তো টিকেই গেল! বিএনপি কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য এবার আর ঈদের পর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া লাগল না খালেদা জিয়ার। নেতা কর্মীরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচল! প্রতিবার তাদের চাঙ্গা করতে গিয়ে ঈদের পর জেলে যেতে হত। এবার আর জেলে যেতে হবে না...
২. শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া চিরশত্রুর মত মুখ দেখাদেখি না করলেও গত কয়েক বছর ধরে তারা একটা 'ঢং' করতেন। তা হল, বৈশাখ ও ঈদে দুজন দুজনকে ঈদ কার্ড দিতেন। এবার খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় শেখ হাসিনা বৈশাখের ঈদ কার্ড পাঠাননি, স্বাভাবিক ভাবেই খালেদা জিয়াও পাঠাতে পারেননি। ধরে নেয়া যায় এই ঈদেও 'এতিমের টাকা লুটপাটকারী' খালেদাকে কার্ড পাঠাবেন না। ভালোই হবে। জাতি আরেকটা নাটক থেকে মুক্তি পাবে...
৩. রওশন এরশাদ অভিমান করে বলেন, বিরোধী দলের নেতা হিসেবে প্রাপ্য সম্মান তিনি পান না। তাই তেনাকে খুশি করার জন্য এবার শেখ হাসিনা ঈদ কার্ড পাঠাতে পারেন। আর যেহেতু, আবারও তিনি ৫ জানুয়ারী মার্কা নির্বাচন করতে যাচ্ছেন এবং এরশাদ অথবা রওশনই বিরোধী দলের নেতা হিসাবে থাকবেন সেহেতু তাদের কাউকে ঈদ কার্ড পাঠিয়ে নিজের গৌরব আরো বৃদ্ধি করতে পারেন...
৪. এবারই মনে হয় জীবনের সেরা ঈদ পালন করতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। কারণ, তেনার আমলেই খালেদা জিয়া কারাগারে। তাও আবার ৩ মাসের উপরে। তবে বলা যায় না, ঈদের আগে জামিন দিয়ে আপাতত চাঙ্গা কর্মীদের আবার শান্ত করে দিতে পারেন। কারণ, গানে আছে -
"হাকিম হইয়া হুকুম কর
পুলিশ হইয়া ধর
সর্প হইয়া দংশন কর
ওঝা হইয়া ঝাড়"
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯