১. প্রথমেই বলে(লিখে) রাখি, আমি 'ধর্ষণের জন্য পোশাক দায়ী' গ্রুপের সদস্য নই। আমি 'no means no' গ্রুপের সদস্য। হলিউডের পর বলিউডেও শুরু হয়েছে একের পর এক যৌন নির্যাতনের খবর। বেশীরভাগ অভিযোগই আসছে মিডিয়া কর্মীদের কাছ থেকে! যেন মিডিয়ার বাইরে আর কোন নারী এসবের শিকার হয় না! হয়তো মিডিয়ার মেয়েরা বেশী সাহসী বলেই তারা এগুলো এখন প্রকাশ করছে...
২. অস্ট্রেলিয়াতে একবার এক ভারতীয় ছেলের বিচার চলছিল এক অস্ট্রেলীয় নারীকে ইভ টিজিং করার জন্য। ছেলেটি বলেছিল, সে বলিউডি সিনেমা দ্বারা প্রভাবিত। তার দেশের সিনেমাতে মেয়েদের এভাবেই ইমপ্রেস করা হয়, এভাবেই ভালোবাসা হয় - তাই সে এমন করেছিল। ছেলেটি নাকি মুক্ত হয়ে গিয়েছিল এই যুক্তিতে(সূত্র- ইউটিউব)...
৩. হলিউডের ছবিতেও denial - কে প্রেমের প্রাথমিক স্টেপ হিসেবে দেখানো হয়। আবার হঠাৎ করে আবেগে কিস/হাগ করে বসলে সেটাকে বলে, force of emotion. প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী সবাই এই ফর্মূলার ছবিতে অভিনয় করছে বা বানাচ্ছে। তাহলে সেটা থেকে কেউ অনুপ্রাণিত হয়ে গেলে দোষটা কাকে দিবেন?
৪. সুশীলরা এখন প্রশ্ন করবেন, অভিনয় তো অভিনয়। শুটিং-এর পর কেন পরিচালক বা অভিনেতা বাজে প্রস্তাব দিবে? মানলাম আপনাদের কথা। কিন্তু আপনি কেন তখন প্রতিবাদ করেননি? আপনি কেন ছবি থেকে বের হয়ে গেলেন না। এখন আপনি বলবেন, ওরা প্রভাবশালী, চুক্তি ভাঙা যায় না, কাজ পাওয়া যাবে না ইত্যাদি। তাহলে চুপ থাকা নিয়ে আপনারও কিছু স্বার্থ ছিল! কারণ, আপনার দরকার ছিল ক্যারিয়ার তথা অর্থ...
৫. আপনি পরিচালকের কথায় ডেয়ারিং দৃশ্যে অভিনয় করবেন, আপনি দীর্ঘদিন একই টিমের সাথে চলাফেরা করবেন। সেখানে আপনার বা তেনার ব্রেনের বাম অংশে একটু উথাল পাতাল তো হতেই পারে! আমি বলছি না হেসে হেসে কথা বললেই সিগনাল দেয়া বোঝায় (পিংক), আমি বলছি না রোল পাওয়ার জন্য একটু বেশী আবদার করা মানেই ইচ্ছে আছে বোঝানো। আমি বলতে চাইছি পুরো জগৎটাই তো মেকি। পুরো সিস্টেমটাই তো রঙীন। আপনি তো ভদ্র ঘরের সন্তান হলে শরীর বিক্রি করে টাকা কামাতেন না! আর নীতিবান হলে তো প্রতিবাদ করে কাজ ছেড়ে দিতেন। আপনি, তিনি, উনি, তেনারা সবাই রাবিশ, টোটালি রাবিশ...
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৪