১. সঠিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাকিব ও মাশরাফি যদি তাদের নির্বাচনী আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভোট পেয়ে যায় তাহলে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে তারও আগে সঠিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের পছন্দ করা দলের কর্মীদের ভোটেও নির্বাচিত হতে হবে। কিন্তু দেশের নাম যেহেতু বাংলাদেশ। দলের নাম যেহেতু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দুই সতীন যেখানে নিজেদের পছন্দের লোককে দাঁড়াতে বললেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে যায় সেখানে এসব চিন্তা না করাই ভাল...
২. বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমে চান্স পাওয়া খুবই সহজ। মানে যারা ভাল খেলে তাদের বেশী দিন ভাল খেলতে হয় না। অল্প কিছুদিন ভাল খেললেই তাদের জাতীয় দলে নেয়া হয়। ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশী ডেব্যুট্যান্ট প্রসব করে। একবার প্রথম আলোতে ঠাট্টা করে লিখেছিল - মুড়ি মুড়কির মত পরিপক্ক হওয়ার আগেই খেলোয়াড়দের অভিষেক করানো হচ্ছে। টেস্ট ক্যাপ লাগবে, টেস্ট ক্যাপ? view this linkআবার দ্রুত সেসব খেলোয়াড় হারিয়েও যায়। টেস্ট ক্যাপের মত এমপি হওয়াও এখন অনেক সহজ...
৩. আমি কখনোই সাকিব-মাশরাফিকে নিয়ে অতি আদিখ্যেতা দেখাতাম না। আমি ওদেরকে ভাল খেলোয়াড় হিসেবেই দেখি। কিন্তু ব্লগ, ফেসবুকে যেভাবে ওদের তোষণ করা হয় তা দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। তো, এখন তাদের ভক্তরা দুই ভাগ হয়ে গিয়েছে তাদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তে। এ বিষয়ে ব্লগে ২/৩ টা মন্তব্যে বলেছি, জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চাওয়া একটা দলের সাথে যোগ দিয়ে তারা অনেকের ঘৃণার পাত্র হল। আফটার অল, এখন সময় ও জরিপ হল, 'এন্টি আওয়ামী লীগ'-এর...
৪. আর যে ভক্তগণ খুশী হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে এবং মিডিয়া কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি যে, সাকিব মাশরাফি খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। কারণ, তেনারা বিসিবি'র চুক্তিভূক্ত খেলোয়াড়। মাসিক বেতনভূক্ত। বিসিবি হলো একটা সরকারী প্রতিষ্ঠান। আর সরকারী চাকুরী থাকা অবস্থায় কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। এমন কি চাকুরি ছাড়লেও ১ বছরের আগে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। অবশ্য আওয়ামী লীগ সরকার কেমন আইন মানে তা তো গত ১০ বছরেই দেখা গিয়েছে...
সর্বশেষ আপডেট - সাকিব নাকি নির্বাচন করছেন না। দেখা যাক...
view this link
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০১