আবেগহীন মানুষ হয় না ; হলেও কেবল অাকৃতি হয়, ভিতরটা অন্তঃসার শুন্যই থেকে যায়। আবার আবেগ বেশি হলে অথবা অবেগের লাগাম অনিয়ন্ত্রিত হলে সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়ের প্রভেদটাই ভুলে যায়। যা ঐ অন্তঃসার না থাকার সমার্থক কথা।
পৃথিবীতে দুটি কারণে বেশ্যাদের জন্ম হয়। প্রথমটি, কোন আবেগহীন নির্বোধ (যার মা বা বোনের প্রতি ন্যূনপক্ষে টান বা প্রীতি নেই) মানুষের কব্জাগত থেকে বাধ্য হয়ে এ পেশায় আসা। আর দ্বিতীয়টি, মাত্রাতিরিক্ত আবেগে পেটের টানে বাধ্য হয়ে পৃথিবীর এত শত পথ থাকতে এ পথে গমন শুরু করে। সুতরাং আবেগহীন এবং আবেগাধিক্য সমান কথা।
মাত্র গতরাতে বাংলাদেশ দল হারলো ; কষ্টে নিথর পুরো দেশ, কান্নাকাটির রোল পরেগেছে কোথাও কোথাও। জিততে গিয়েও হেরে যাওয়ায় অবেগে, কষ্টে বাসার কেউ কারো সাথে কথা বলছে না। কেউ আবার ক্রিকেট খেলা না দর্শনের প্রত্যয় করেছেন।
তারও দিন দুয়েক আগে শিক্ষার্থী সোহাগী তনু ধর্ষণ উত্তর নির্মম- নির্যাতনের শিকার হয়েছে। লজ্জায় এ জাতীর মাথা উচু হয়েছে কি না আমি জানিনা, তবে বিপরীতটা না হওয়ার কথা নয়, আমি নিশ্চিত। ফেসবুকটা অবধি দুঃখে অশ্রুহীন কান্নায় ভেঙ্গেপরেছে। বাঙ্গালির প্রতিবাদে ফেসবুকের বায়োবিয়ো জগৎটা এক প্রেসক্লাবে পরিনত হয়েছে।
অথচ রাত পোহাতে না পোহাতে আবেগী বাঙ্গালি রং নিয়ে নেমে পরেছে রাস্তায়(যারা সনাতন ধর্মাবলম্বী, যাদের জন্য এটা ধর্মের আবশ্যক বিধান তারা বাদে )। অক্লান্ত উন্মাদময় উদযাপন যাপন করে এরা। এদের মধ্যে কেউ আবেগহীন, কিছু বুঝুক বা না বুঝুক পাশের জন করছে দেখেই নিজেও নেমে পরছে। আর একদল বাতুল শ্রেণীর যাদের দাবি অন্যের ধর্মের প্রতি সম্মান জানাতেই তাদের সাথে অংশগ্রহণ করেছে, অথচ সে নিজের ধর্মই মানে না। যে নিজের ধর্ম মানে না সে অন্যের ধর্মের প্রতি সম্মান জানাচ্ছে, এটা পৃথিবীর বৃহত্তম ভণ্ডামি এবং কপটতা বৈ আর কী ??
বাঙ্গালির আবেগ অনেকটা বেশ্যাবৃত্তির মতো। টাকার বিনিময়ে একজন বেশ্যা যখন-তখন, যেখানে-সেখানে, যাকে-তাকে দেহ বিক্রি করতে পারে, তেমনি একজন বাঙ্গালি জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে, যখন-তখন আবেগের পরিবর্তন করে। যদি তা নাই হয় রাতে তনুর শোকে কেঁদে সকালে অনর্থক উল্লাসে ফেটেপরবে কেন ??
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩