আমাদের ৫৪টি আন্তর্জাতিক অভিন্ন নদীতে দেশীয় আন্তর্জাতিক সকল আইন লঙ্গন করে ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করছে । সেই মুজিব আমলে পরীক্ষামূলক ফারাক্কা চালু থেকে শুরু....দিন দিন সেই প্রত্যাহারের পরিমান বাড়ছে বৈ নয়।
ভয়ংকর পদ্মা, মেঘনা, যমুন আজ ক্ষীন ধারা!
মরুময়তায় ছাপ সর্বত্র। জেলেদের জীবন যাত্রা বদলে গেছে। পরিবেশ প্রতিবেশ জীব বৈচিত্রে ভীষন প্রলয়! কৃষকের মূখে হাসি নেই। জাতীয় এহেন দুর্যোগেতো কোন দল থাকার কথা ছিল না। জাতীয় স্বার্থে পুরা জাতি ঐক্যবদ্ধ ভাবেই মোকাবেলা করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ভাতে মারব! পানিতে মারব!
আজ দূর্ভাগ্যজন ভাবে আমরাই যে পানিতে মরতে বসেছি। খরায় হাহাকার! বর্ষায় অকাল প্লাবন।
সব দোষের দোষী কু-প্রতিবেশী ভারত।
আর আমাদের সরকার মহাশয়তো এক্কেবারে গদগদ ভারত প্রেমি!
ট্রানজিটে সিঙ্গাপুর হয়ে যাব স্বপ্ন দেখিয়ে ট্রানজিট দিয়ে যখন তারা মাগনা যাতায়াত করতে লাগল-অর্থ চাওয়া অসভ্যতা বলেই সরকার মহাশয় তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন। বাহ! দাদাদের বেশ খাতির করা গেল!!!!!!!!
তিস্তা ইস্যু। এই অনির্বাচিত সরকারের দায়তো নেইই-গত টার্মে নির্বাচিত হিসাবেও তাদের ব্যর্থতার পাল্লায় বড় বাটখারা তিস্তা! এক প্রাদেশীক মূখ্যমন্ত্রী মমতার খেলায় আমাদের সার্বভৌম প্রধানমন্ত্রী হেরে যেন নাকখত দিলেন! উল্টো তিতস্তার মূলো ঝুলিয়ে তারা কত কত চুক্তি সই করিয়ে নিল!!!!!!!!!!!!!!
আত্মমর্যাদাহীন, দেশপ্রেমহীন, দালাল, তাবেদার তোষামোদকারী হলে এমনইতো প্রতিদান পাবার কথা!
বিরোধিদল বহুদীন পর জসম্বার্থে লং মার্চের ডাক দিল। তিস্তা অভিমূখে্
সরকারের কোন প্রকার বাধা ছাড়াই তারা সফল ভাবে লং মার্চ করল। মজাটা শুরু হলো তখনই। যেখানে আগের দিনও তিস্তা পয়েন্টে পানি ৫০০-৬০০ কিউসেক হঠাৎই তা ৩০০০ থেকে ৩৫০০কিউসেকে বেড়ে গেল।
সবাই অবাক। সবাই তাজ্জাব।
কৃষক নদিপাড়ের মানুষ খুশি জল দেখে। কিন্তু তারাতো জানেনা এ পুরা জাতির সাথে আরেক শোষক জাতির মস্করা!!!!!
বিরোদীদল দাবি করল-তারা লংমার্চে চাপ সৃস্টি করতে পেরেছে বলেই তিস্তায় পানি প্রবাহ বেড়েছে! সাধারন মানুষও খেল। নইলে এতদিন জল নেই আজ টই টুম্বুর নদী । নদীকে কতদিন পড়ে আবার খাল নয় নদী মনে হল।
সেই মজায় শেষ কমেডি যোগ করলেন পানি মন্ত্রী মহোদয়!!
তিনি বল্লেন "আন্দোলনে নয়, তিস্তায় পানি কূটনৈতিক তৎপরতায় :!!!
বক্তব্যগুলো শুধু খেয়ার করুন- আপনার বিজ্ঞ পাঠক! প্রতিটা কথাই গবীর ভাবেই ানুভব করবেন বিশ্বাস।
------
"এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনীহার কারণে এতদিন তিস্তায় পানি পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে রমেশ চন্দ্র বলেন, এর ফলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা চুক্তিও হয়নি। কিন্তু, ভারতের সঙ্গে আমাদের ক্লোজ কানেকশনের (বন্ধু সম্পর্ক) অভাব নেই। এখন পানি পাওয়া গেছে। এ পানি বন্ধ হবে না, অব্যাহত থাকবে।
কূটনৈতিক তৎপরতায় আমরা পানি পাচ্ছি, বিএনপির আন্দোলনের কারণে নয়, জোর দিয়েই বলেন যোগ করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
তবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে কথা তুললে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে বলেও জানান তিনি
সাবেক এই পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই কাজ করতে হচ্ছে। তিস্তার পানির জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে গেলে তাদের (ভারতের) সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। যতদূর পারি, সম্পর্ক টিকিয়ে রেখে দাবি আদায় করবো।"
ভারত তিনাদের ক্লোজ অথূ কিছূই আনতে পারেন না, দেওয়া ছাড়া!!
ভারতের সঙ্গে সম্র্পক খারাপ হবার ভয়ে দেশকে মরুকরণে ঠেল দিচ্ছেন!
কোটি কোটি মানুষের জীবন জিবিকা বিপন্ন জেনেও ভারতে সাথে বন্ধুত্ববকেই প্রাধিকার দিচ্ছেন!!!
একটা সার্বভৌম দেশের প্রধানের সেই ব্যক্তি্ত্ব কই? যেখানে প্রাদেশিক মন্ত্রীর প্রভাবে তাদের ক্রেন্দ্রীয় সরকারও অসহায়!
আওয়ামীলীগ দুদিকেই হারল। যদি বিএনপির লংমার্চকে াপ্রয়োজনীয় মনে করানোর উদ্দেশ্যেও কূনীতির নামে পানি ছাড়িয়ে থাকেন- তবুও
কিংবা যদি ভারত তাদের ইয়ার্কী হিসাবে দুদলকেই ভোদাই বানাতে ছেড়ে থাকে তাতেও সরকার হারল।
কারণ এটা প্রমাণ হল পানি পর্যাপ্ত। যোগ্যতা এবং জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সেই পানি আনা সম্ভব। অথচ তারা নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনে ভারতে সাথে সম্পর্ক নষ্ট হবার ভয় করে-কিন্তু দেশের মরুকরনের দিকে তাদের দৃষ্টি নেই। কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকার প্রকৃতির জীবৈচিত্রের আমুল ধ্ভংসের দিকে তাদের মনযোগ নেই। তাহলে তারা কি এই দেশের এই আমজনতার সরকার?
নাকি কেবলই ভারতের তাবেদারী করার সরকার!!! কি বুঝবে আমজনতা?
ইয়ার্কির ছলে এক-দুদিনের জন্য জল ছেড়ে ভারত কি বুঝিয়ে দিলনা- বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা কত অপরিপক্ক!!কত ব্যর্থ! কতটা উজবুক!
কতটা জনস্বার্থ বর্জিত তাদের নীতি! কতটা দেশপ্রেমহীন তাদের হৃদয়!
ভাতে মারব পানিতে মারব যেন বুমেরাং হয়ে ভাতে মরব, পানিতে মরব হয়ে বাঙালিকে দাবড়ে বেড়াচ্ছে! আর নিলজ্জ দুই দল -অন্যের উপহাসও বুঝতে না পারার স্তরে পৌছে গেছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!?????? নয় কি?