জনপ্রিয় উপস্থাপক, হাইকোর্ট মাজার মসজিদের খতিব, ইসলামী চিন্তাবিদ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সভাপতি মন্ডলির সদস্য মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী আমাদের সকলেরই এক পরিচিত মুখ। বিশেষ করে রমজান মাসে তার অনুষ্ঠানগুলো আমাদের বাসার মত অনেক পরিবারেই খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাঁর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ অনেক অদেখা অজানাকে জেনেছে। সারা জীবনে হয়তো কারো কারো কোনদিনই দেখা হতো না- তার উসিলায় সেই সব স্থান ঘটনা ইতিহাস অবগত হয়েছে।
যেসব ইসলামী কাহিনী সারা জীবন মূখে মুখে শুনে বিশ্বাস করেছী সবাই- তাঁর অনুষ্ঠােনর কল্যানে বিভিন্ন নবী আ: গণের এবং সাহাবা গণের বিভিন্ন ইসলামী বিশ্বাস সংশ্লীষ্ট অনেক বিষয়ের প্রত্যক্ষ দর্শন হয়েছে।
হঠাৎ সেই ব্যক্তির নির্মমভাবে খুন হবার খবরে বিস্মিত হই। তরেচে বেশী বিস্মিত হই সেই সংবাদে একদল লোকের আনন্দ প্রকাশে!!! তার প্রতি জিঘাংসা মূলক প্রতিহিংসামূলক মন্তব্যে!!!!
একজন মানুষের প্রতি মিনিমাম শ্রদ্ধা বা ভিন্নমতের প্রতি নূন্যতম ভব্যতা রেখে যারা কমেন্ট/ষ্ট্যাটাস দিতে পারছে না- তাদেরই অতি খাড়া ঈমান বিস্মিত করছে!!!!!!!!!!!!!!!
ভিন্নমতও যদি হয়- তবুও যে কোন হত্যার জন্য মানুষ স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলো- আল্লাহর শেখানো প্রতিক্রিয়া হল- বলা ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা্জিউন।
অথচ তারা নাকি বিশ্বাসী? তারা নাকি মুসলিম? তাদেরই কেউ কেউ বলছে.
মন্তব্য ৭ - Alhadulillah . Finari jahannama khalidina fiha (আরবী)
সূত্র
একটা মৃত মানুষকে নিয়েও এভাবে নোংরা কথা বলে বেড়াতে তাদের সামান্যতম লজ্জ্বা হল না।
যেখানে মিনিমাম বিশ্বাস সকলেই বহন করি যে- যে একবার যে কলেমা পড়েেছে সেও জান্নাতি হবে! তবে একজন প্রতিষ্ঠিত আলেমের নামে এ কেমন প্রার্থনা করলো মানুষ নামের কেমন দ্বিপদ জীব!!!!!???
তাদের হাবভাব, মন্তব্য এবং বিশ্বাসে দেখা যাচ্ছে খোদার খোদকারী তারাই গ্রহন করেছে। অবশ্য এই চেতনা মিলে যায় তাদের গুরুর ফতোয়ায়- সউদ সালাফী আহলে হাদী ওহাবী গং এর ফতোয়া দেখূন -
হাস্যকর ও অমানবিক কিছু সৌদি-সালাফি-আহলে হাদীস ফতওয়া এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা
শির্ক বিদআতের নামে আহলে বাইয়াত থেকে যারা মুসলমানদের দূরে রাখতে চায়- ভক্তি প্রেম শ্রদ্ধার বদলে যারা গলা কাটা তত্ত্বে বিশ্বাসী! আইএসআইএস বা আল কায়েদার মতো যারা অস্ত্র আর মূর্খতা
জংগীবাদী বা ইসলামের নামে ইসলামকে হেয়কারী যত দল গোষ্ঠী ওহাবী আর মওদুদী গং তাদের সবার কন্ঠ দেখূন একই সুর!!! আর হবে নাইবা কেন- তাদের গুরু সউদ গং (সউদী রাজপরিবার: কে তাদের প্রকৃত পূর্বপুরুষ? একটি মরুময় ঘৃণিত অঞ্চল নজদ এর দস্যুদের পরিচয় উদঘাটন ) বা তারও আগে ইয়াজিদি গংও একই ভাবে ইসলামী লেবাস নিয়ে, বিভ্যান্তিকর ফতোয়া নিয়ে- সত্যকে বিদআত বলে ইসলামের বিরুদ্ধেই কাজ করে গেছে...
মাওলানা ফারুকীর শাহাদাত চলমান মাসলম্যান আর মুসলমানের উপর আলোকপাত করে গেল বর তীব্রভাবে। এই ঘটনা থেকে সত্যানুসারীরা ভাবে ঈমানের আরও বেশী মজবুত করার তীব্র অনুভব, অবিশ্বাসীরা পাবে আরও মাসলম্যান হবার চেতনা। সত্যতো রবই জানেন। আর তিনি তা কুরআনে বলেও দিয়েছেন। আল্লাহ, রাসূল সা: আর আহলে বাইয়াত ভিন্ন বাকী শত পথ শত মতের গন্তব্য কোথায়?
কে কোনটা মানবে তার বিশ্বাস।
শেয়ারিং পোষ্ট কৃতজ্ঞতা: গোলাম দাস্তগীর লিসানী, প্রীতম ব্লগ,
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৯