somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাস্যকর ও অমানবিক কিছু সৌদি-সালাফি-আহলে হাদীস ফতওয়া এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হালাল ও হারামের পার্থিব অধিপতি আবদুল ওহাব পরিবারের বংশধর সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি বললেন, লালবাতি ক্রস করা হারাম! কবিরা গুনাহ্! Click This Link দুদিন পরপরই সৌদি, নাহলে জিহাদি একেকটা ফতোয়া পড়ি আর পেট চেপে ধরে হাসি।

আবার এমন কিছু ফতোয়া দেখে কলজে জ্বলে যায়-

শুরা সদস্য সৌদি জ্ঞানী সালেহ আল লুহাইদান: গাজার জন্য মিছিল করা হল গণবিদ্রোহসুলভ পদস্খলন। বিসৃঙ্খলা আর সন্ত্রাসের পদ্ধতি। এইসব মিছিল টিছিল মানুষকে আল্লাহ থেকে দূরে নিয়ে যায়। বরং উচিত মসজিদে বসে বসে দোয়া করা।

একটা আটপৌরে সরল ধর্ম, ইসলামকে, আল্লাহ ও তার রাসূল দ.'র ধর্মকে তারা লালবাত্তি জ্বেলে দিয়েছে। জ্বেলে শান্ত হয়নি, রেপ্লিকেশন চলছে। কিন্তু এভাবে আর কত? একটা কালেকশন হয়ে যাক। এমন বহু চিত্তাকর্ষক মনোলোভা হালাল হারাম কাফির মুশরিক দেখে ফেলা যাক...

লম্বা-চওড়া প্রাসঙ্গিক উপক্রমণিকা

একটা কথা শুনতে শুনতে কান পচে গেল। সৌদি আরবে এটা আছে, সৌদি আরবে ওটা নাই। সৌদি আরব এভাবে নামাজ পড়ে, সৌদি আরব ওভাবে ধর্ম পালন করে। যেন ইসলাম মানে কুরআন-সুন্নাহ(হাদীস)-ইজমা(ইতাআতে উলিল আমর)-কিয়াসের সমন্বিত রূপ নয়, বরং ইসলাম মানে সৌদি আরব নামের একটা দেশ, যে দেশটা যার দখলে থাকবে, সেই হল ইসলাম।

মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় শুনতে শুনতে আমরা পাগল। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পাশ করা ব্যক্তিবর্গ আল মাদানি/মাদানি... তাদের জ্বালাময়ী বক্তব্য শুনতে শুনতেও আমরা অস্থির। এই সৌদি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণরূপে যে পদ্ধতিতে চালিত এবং যাদের দ্বারা চালিত, এই সেই গ্রান্ড মুফতিরা।

আমরা ভুলে গেছি, বরং বলা উচিত, জানিই না যে, সৌদি শব্দটার মানে হল, একজন, মাত্র একজন মানুষ। আর সৌদি আরব মানে হল দুটা, মাত্র দুটা পরিবার- যারা বিবাহ সম্পর্কে সম্পর্কিত। মাত্র দুই তিনশ বছর আগেও যাদের না ছিল কোন শিক্ষা, না ছিল রাষ্ট্র পরিচালনার কোন অভিজ্ঞতা, না ছিল ধর্মে বিন্দুমাত্র গ্রহণযোগ্যতা। সেই পরিবার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সহায়তায়, লরেন্স অভ অ্যারাবিয়া আর বহুভাষাবিদ হামফ্রের সহায়তায় হঠাত করে দেশটা দখল করে নেয়। এবং নিজের ইচ্ছানুযায়ী ধর্ম গঠন করে।

আমরা এটাও ভুলে গেছি যে, তারা গোত্রীয়ভাবে ইসলামের নবী দ. ও তাঁর পরিবারের বিরোধী, তাঁর সাহাবাগণের বিরোধী- এটা ইহুদিদের মতই একটা ঐতিহাসিক সত্যি। যে সত্য থেকে গোত্রের খুব কম মানুষই নিজেকে গোত্রীয় গোঁড়ামি ও বিদ্বেষ থেকে উঠিয়ে আনতে পারে।

কিছু মানুষ মনে করে, যে এরা মক্কা ও মদীনার সংরক্ষণকারী ও সৌন্দর্যবর্ধনকারী। তারা এটা জানেও না, যে এরা ইমাম হাসান, বিবি ফাতিমা, হজরত উসমান রা. সহ ২৫ হাজার সাহাবার সমস্ত চিন্হ মুছে দিয়েছে, পাঁচ লক্ষ নিদর্শন ধ্বংস করেছে, পাশাপাশি কাবার দরজায় নিজের নাম, নিজের বাবা ও দাদার নাম সোনার অক্ষরে লিখেছে এবং সৌদি আরবে অবস্থিত ৫০ টির উপর ইহুদি নিদর্শন সম্পূর্ণ যত্নের সাথে সামরিক পাহারায় কাঁটাতার দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে।

তুর্কি খিলাফাত ব্রিটিশের হাতে পরাজিত হবার পর মেসনের কারাগারে পড়ে যায়। এর আগ দিয়ে দুর্বল উসমানিয়া খিলাফাত দেখে, ওয়াহাবিরা ইসলামের সমস্ত নিদর্শন ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা তখন নজদী বনু তামিম গোত্রের এই সালাফিদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়, যে আগামী একশ বছরে তারা রাসূল দ.'র পবিত্র রওজা ও রওজা কমপ্লেক্সের কিছুই স্পর্শ করতে পারবে না।

সৌদিরা মদীনা শরীফ ভক্তি করে শখ করে রাখেনি। চুক্তির কারণে রেখেছে। এর প্রমাণ এই আশ শাইখ গ্র্যান্ড মুফতি ২০০৭ সালেও দিল। মসজিদে নববীর সবুজ গম্বুজ এবং গম্বুজের নিচে রাসূল দ. ও প্রথম দুই খলিফার কবরের সমস্ত চিহ্ন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে Click This Link

আর আমাদেরকে ওই দেশটার নামে, ধর্মের নামে যে যাই বলবে, আমরা সোনামুখ করে তাই গিলব। ভাবব, না জেনে, যে কোনভাবে একটা কিছু অনুসরণ করলেই হল। অথচ প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর উপর জ্ঞান, তা সর্ব প্রকার উপকারী জ্ঞান অর্জন করা ফরজ করা হয়েছে।

আর এক সালাফিস্ট রোগ হল মুসলিম ব্রাদারহুড। মুসলিম ব্রাদারহুড শুরু হয়েছিল মেসনিক ব্রাদারহুডকে ঠেকানোর জন্য। ওয়াহাবি/সালাফি মতবাদকে আরো এক ধাপ আক্রমণাত্মক করে তোলার কাজ মুসলিম ব্রাদারহুড থেকেই শুরু হয়। আজকে এমন অবস্থা, দুনিয়ায় এমন কোন মুসলিম নামধারী সন্ত্রাসী, আধা সন্ত্রাসী ও নিম সন্ত্রাসী দল নেই, যারা মূলত মুসলিম ব্রাদারহুড থেকে অনুপ্রাণিত হয়নি। বাংলাদেশের জামাতে ইসলাম, আল কায়েদা, হামাস (দু:খজনক হলেও সত্যি, হামাস নিজেই মুসলিম ব্রাদারহুড) সবই মুসলিম ব্রাদারহুডের সন্তান। এমনকি আইএসআইএলও। সিরিয়ায় যে বিদ্রোহ শুরু হয়, তার প্রধান শক্তি ও কারণ ছিল ব্যান করে দেয়া মুসলিম ব্রাদারহুড।

এই ফতোয়াগুলো দেখলে আমরা অতি সহজেই বুঝতে পারব, যে সারা পৃথিবীতে মুসলিমদের যত অবমাননা ও গণহত্যা- এর পিছনে এই সালাফিস্টদের দলাদলি ও কাফির কাফির খেলা অন্যতম প্রধান কারণ। এরাই বলে, সাদ্দামের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরজ, জিহাদে আমেরিকানদের সমর্থন ফরজ, হজ্বের মধ্যে আফগানিস্তানের কথা বলা হারাম... লিস্ট কোনদিন শেষ হবার নয়।

এই সউদি মতবাদই আজকে সালাফি/ওয়াহাবি আহলে হাদিস নাম নিয়ে বাংলাদেশের এবং সারা পৃথিবীর সমস্ত ধর্মীয় আচার আচরণ এবং সমস্ত ফরজ সুন্নাত এমনকি হাদীস পর্যন্ত বিকৃত করছে ও বাতিল করছে। তাদের কথা অনুযায়ী, আমাদের নামাজ পর্যন্ত বাতিল। আমরা সোনামুখ করে সেই নামাজ ও হাদীস বাতিল করা পর্যন্ত গ্রহণ করছি, কারণ, হাজার হলেও, এরা সৌদি। হাজার হলেও, আমাদের হজের সময় তারা ফ্রি বই দেয়, বিকৃত কোরানের ব্যাখ্যা দেয়। আর আজকাল তো পেট্রোডলারের ছাপানো বাংলা সৌদি বইও অহরহ ফ্রি পাওয়া যায়। ঠিক মিশনারিদের মত। কিছু সৌদি ফতোয়া দেখা যাক-

ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ আল কুবা'র ইমাম সৌদি মুফতি সালেহ আল গামেদি: জিহাদিদের মুত্রপানে পাপ ক্ষয় হয়।



ছবি: আল গামেদি। এইরকম চেহারা, ভ্রুভঙ্গি, মুখভঙ্গি, পাগড়ির বদলে মাথায় কড়া ভাঁজের চাদর, এইরকম আলীশান আলখেল্লা নিয়ে আজকাল সারা পৃথিবীই দাবড়ে বেড়াচ্ছেন সৌদি বিভিন্ন মুফতিরা। সব ভাষাতে। এরা ঠিক করে দিচ্ছেন, আমাদের ধর্ম ঠিক নাই, নামাজ ঠিক নাই, রোজা ঠিক নাই, ঈমানও ঠিক নাই। আমরা বলছি: জ্বি হুজুর।

অতি দীর্ঘদিনের আমরণ সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি, যার হাত ধরে সৌদি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক উত্থান এবং বিশ্বব্যাপী সৌদি সালাফি আহলে হাদীস মতবাদের প্রচারণা, আবদুল ওহাব নজদীর বংশধর বিন বাজ: সূয্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুড়ে। যে এই ফতোয়া মানে না, সে কাফের। যে এইভাবে কাফির হল, তার সমস্ত সম্পদ ও রক্ত হালাল হয়ে গেছে। তওবা করার সুযোগ দেয়া হবে, তওবা না করলে তারে হত্যা করতে হবে। আম্রিকানরা আসলে চাঁদের দেশে গেছে কিনা সেটা আমাদের ভাল করে চেক করে দেখতে হবে। (বিখ্যাত ফতোয়া, তাই রেফারেন্স দিলাম না, প্রিয়জনরা এই বিষয়ে বিন বাজের লেখা দুইটা সায়েন্টিফিক পেপার টাইপ পুস্তিকা দেখতে পারেন... :) )



বিন বাজ: এজিদ ছিল সত্যপন্থী আর ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহু ছিলেন অন্যায়কারী। কারবালায় অন্যায়কারীকে পরাজিত ও হত্যা করা হয়েছে। (Click This Link)

বিন বাজ: ইরাকের বিরুদ্ধে জিহাদ। এই জিহাদ সবার জন্য ফরজ। যারা এই জিহাদে আছে, তারা বন্ধু, তাদের সহায়তা করা ফরজ (মার্কিন ইত্যাদি)। মার্কিন ইত্যাদি সৈন্যকে সৌদি রাজত্বে রাখা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োজনীয় এবং ফরজ। সন: ১৯৯১ (বিন বাজ মৃততুশয্যায়ও বারবার অনুরোধের প্রেক্ষিতেও এই ফতোয়া ফিরিয়ে নেননি।)

আল মুনাজিদ: ইসলামিক আইন অনুসারে মিকি মাউসকে ও টম অ্যান্ড জেরির জেরিকে সর্বাবস্থায় হত্যা করতে হবে। তা বাসায় থাক আর কার্টুনে। এরা শয়তানের চামুন্ডা। (মুনাজিদ সাব হইলেন মার্কিন মুল্লুকের ওয়াশিংটন ডিসির সৌদি দূতাবাসের সাবেক কূটনীতিক।)

বিন বাজ: নারীর বুদ্ধি কম। (পল এ মার্শাল, ২০০৫)

দাইশ=ইরাকি আল কায়েদা=আইএস=আইএসআইএস=আইএসআইএল=আবু বকর আল বাগদাদী (বিভিন্ন কনফিউজিং প্রতিনিয়ত নামকরণ হয়েছে ইরাক ও সিরিয়ায় কাজ করা এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর)-

স্ত্রী থেকে দূরে থাকা অবস্থায় পায়ুসঙ্গম জিহাদের সময় বৈধ। (ইসুকারী মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রিচার, প্রয়োগ আইএস এর উপর Click This Link)

নিনেভেহ প্রদেশ মুক্ত হওয়ায় প্রত্যেক বাসার অবিবাহিত নারীদের তাদের পাঠানো উচিত তাদের ভাইদের আনন্দিত করতে। যারাই আদেশ লঙ্ঘন করবে শরিয়াহ্ আইন তাদের উপর প্রযোজ্য। (Click This Link)

রমজান মাসে বিদদুত বন্ধ করার ফতোয়া দেয় আইএস শুধু এই অজুহাতে যে, রাসূল দ. ১৪০০ বছর আগে তড়িৎ বিহীন যুগে রোজা রাখতেন। (Click This Link)

পাঁচটি ফতোয়া- আল কামিশলি শহরের সমস্ত খাদ্য ও বস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ জিহাদি ভাইদের অধিকারে যাবে। স্বর্ণ ও রৌপ্য যোদ্ধারা নিবে কারণ এটা তাদের অর্জিত সম্পদ। সমস্ত বিনোদনের ব্যবস্থা ও সিগারেট বিক্রির দোকান সম্পূর্ণ ধ্বংস করার আগে আগুন দেয়া হবে। খ্রিস্টান, কুর্দ ও আল খাজনাভিদের বের করে দাও অথবা হত্যা করো। তাদের নারীরা তোমাদের। এই নির্দেশ আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী শহরগুলোতেও জারি থাকবে। (Click This Link)

১১-৪৬ বছর বয়সী সকল নারীর খতনা করতে হবে। (এই আদেশের পক্ষে অসংখ্য প্রমাণ এসেছে, বিপক্ষেও অনেক তথ্য এসেছে। এই আদেশ জারি হয়ে থাকলে তা ৪ কোটি নারীর উপর পড়ছে।)

আসলে আইএস এর আরো অসংখ্য ফতোয়া আছে। এইসব বীভৎস ফতোয়া ঘেঁটে বের করা নার্ভের উপর চরম চাপের বিষয়। যেমন, সারা পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানের ফরজ হল খলিফাকে মানা। তাদের উপর ফরজ, ইসলামিক স্টেটে চলে আসা। যারাই আসবে না, তারাই পথভ্রষ্ট এবং শাস্তি পাবে। সবার উপর ফরজ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নয় এমন মা বোনকে তাদের হাতে তুলে দেয়া। জামাতেস্লামী, বাংলাদেশের হেজবুত তওহীদ বা এ ধরনের অসংখ্য আল কায়েদা টায়েদার অসংখ্য বিবমিষাকর ফতোয়া রয়েছে যা উল্লেখ করতে যাওয়াও রীতিমত শারীরিক কষ্টের বিষয়।

বিন বাজ: সাদ্দাম হুসাইন কাফের। (Click This Link)

রোজায় মাস্টারবেশনে রোজা ভাঙে না। নবীকে অপমান করলে কেউ কাফির হয় না। নারীদের জন্যও স্বর্ণ হারাম। (নাসিরুদ্দিন আলবানী, সৌদি 'মুজাদ্দিদ')

মুলতাকা আহলে হাদীস: ইমোটিকন হারাম। (হারামই যদি, তো ছবি তোলাই হারাম। সব গ্র্যান্ড মুফতি থেকে শুরু করে পাতি মুফতি পর্যন্ত টিভিতে দৌড়ায়। এমনকি ইরাক-লেভ্যান্টের তাকফিরিরাও তাদের খলিফাকে ভিডিওতে দেখাচ্ছে।)

সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি: সত্যিকার মুসলিম টুইট করে না! (উল্লেখ্য, সৌদি প্রিন্স আলাউদ্দিন বিন তালাল ওই মুরগি যে কিনা টুইটারের মাত্র ৩.৬% শেয়ার কিনেছে ৩০০ মার্কিন ডলারে)

সিরিয়ায় জিহাদি রা পর্যায়ক্রমে সিরিয়ান ১৪ বছর বা তদুর্দ্ধ মহিলা, স্বামীহীন এবং তালাকপ্রাপ্তা- এদের সাথে কয়েক ঘন্টার ইন্টারকোর্স ম্যারেজে আবদ্ধ হতে পারে। (আল আরিফি, সৌদি মুফতি। https://www.youtube.com/watch?v=6Qvo4_hMrF4)

যুদ্ধক্ষেত্রে আপন বোনের সাথেও যৌন জিহাদ চালনা করা যাবে আর কাউকে না পেলে। (নাসের আল উমার, সউদি... এ নিয়ে ভিডিও প্রচারণাও করা হয়েছে।)

জিহাদিরা সমস্তকিছুর মালিক। সমস্ত জড় ও জীবের মালিকানা তাদের হাতে। তাদের হাতে স্বেচ্ছায় নিজের দেহ তুলে দিলে এর বিনিময়ে জান্নাত পাওয়া যাবে। আর প্রয়োজনে সমস্ত হারাম হালাল হয়ে যায়। জিহাদের প্রয়োজনে প্রস্টিটিউশন হালাল। কাফির হত্যার উদ্দেশ্যে হোমোসেক্সুয়ালিটি করা যায়। (Click This Link)

অবশেষে সেই সৌদিরাই, যখন দেখা গেল যে, আরেক সালাফিস্ট আইএস ঘোষণা করেছে ক্বাবা ধ্বংস করবে সৌদি আক্রমণ করে, নতুন ফতোয়া জারি করল, সিরিয়ায় কোন জিহাদ নেই। (কাউন্সিলের আলী আব্বাস আল হিকমী। Click This Link )

সৌদি পত্রিকা আল ওয়াতান: ফুটবল খেলতে পারবে, কিন্তু ইহুদি খ্রিস্টানের মত ১১ জন নিয়ে খেলো না, আর গোলপোস্টও রেখো না। (আ ফতওয়া অন ফুটবল, দ্য গার্ডিয়ান, ৩১ অক্টোবর ২০০৫)

ড. জাকির নায়িক: ইমাম হুসাইন রা. খলিফা (রাজা) হবার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। কারবালার গণহত্যা ইসলামের ধর্মীয় কোন বিষয় নয়। এজিদ হল রাদ্বিআল্লাহু আনহু।



ড. ইসরার আহমেদ: আলী রা. মদ খেয়ে মাতাল হয়ে নামাজে ইমামতি করেছিলেন এবং সূরা ক্বাফিরুনে বলেছিলেন যে হে ক্বাফিররা, তোমরা যাদের যাদের ইবাদাত করো আমরাও তাদের তাদের ইবাদাত করি।

ইউসূফ ক্বাদি: ইমাম হুসাইন রা. রাজা হতে চেয়েছিলেন দেখে আল্লাহ তাকে রাজা হতে দেননি, ইমাম হাসান রা. রাজা হতে চাননি দেখে ইমাম মাহদী রা. কে তার বংশে পাঠানো হবে। তাদের দুজনের আর কোন ভাইবোন নেই। (দেখি, এই তিনটার কেউ রেফারেন্স চায় কিনা)

'ডক্টর' ইজ্জাত আতিয়া: পুরুষ ও নারীকে একই কর্মক্ষেত্রে কাজ করাটা হালাল করার জন্য তাদের দুধমা ও দুধ সন্তানে পরিণত করতে হবে। এজন্য পাঁচবার বিষয়টা চর্চা করা জরুরি। আশা করি যেভাবে কথাটা মিডিয়ায় এবং তারা বলেছে, সেভাবে বলতে হবে না। (মে মাসের ফতোয়া নিউইয়র্ক টাইমসের জুন ১১ তে এসেছে, ২০০৭।)

উচ্চতর শরিয়া বোর্ডের সদস্য সালেহ আল ফাওজান: ইজরায়েলের উপর অভিশাপ দেয়া যাবে না। তাহলে তা ইয়াকুব আ.'র উপরও পড়বে।

গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আশ শেইখ (আশ শেইখ পরিবার হচ্ছে আবদুল ওয়াহহাব নজদীর সরাসরি পরিবার। চুক্তি অনুযায়ী আবদুল ওয়াহাব নজদীর পরিবার চিরকাল সৌদি দেশের ধর্ম নিয়ন্ত্রণ করবে আর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ জমিদার সৌদ পরিবার চিরকাল রাজনীতি পরিচালনা করবে): ইসরাইল-বিরোধী মিছিল করা সম্পূর্ণ হারাম। তিনি আরো বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিল করা অর্থহীন সস্তা আবেগপ্রসূত তৎপরতা মাত্র!

গোয়েন্দা প্রধান ও প্রিন্স তুর্কি: হামাস অতীতের মতই ভুল করে যাচ্ছে এবং গোঁয়ার্তুমি করে ইসরাইলে অকার্যকর বা প্রভাবহীন রকেট নিক্ষেপ করছে বলেই ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। (পরপর তিনটা: Click This Link )

সৌদি ধর্মীয় স্কলারদের শুরার সদস্য আল হেমকি: মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণ ও ভ্রমণের চেষ্টা হারাম।

সৌদি মালিকানাধীন মিডিয়া আল আরাবিয়ায় প্রকাশ সৌদি জ্ঞানী আল ফাওজান: বুফে খাওয়া যাবে না। বুফে খেলে আগে খাবারের পরিমাণের দাম নির্ধারণ করতে হবে। যারাই বুফেতে ঢুকে খাবে, তাদেরই... (ওরে আমার আল্লাহ রে! তুমি কি এই ইসলাম দিয়েছিলে? সৌদিরা এক টেবিলে কী খায় আর আমরা গরিবরা টাকা জমিয়ে এক বুফেতে গিয়ে কীই বা খাই? তাও আমাদেরটা হারাম...) শুধু তাই না, এই ফতওয়ায় খুশি হয়ে টুইটার হ্যাশট্যাগের বন্যা বয়ে গেছিল।

সালাফি প্রিচিং মুভমেন্টের আল সাহাত বলেন: মাত্র তিনটা খেলা ইসলামে হালাল। বর্ষা নিক্ষেপ, সাঁতার, ঘোড়দৌড়! আর সব হারাম।

বর্তমান সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি: মেয়েদের ১০-১২ বছরের মধ্যে বিয়ে দেয়া উচিত। আমাদের মা-দাদীরা এই বয়সেই বিয়ে করেছে। বিয়ের দায়িত্ব তারা এই বয়সেই পালন করতে উপযুক্ত হয়। (এপ্রিল ২০১২)

সালাফি জিহাদিস্ট গ্রুপের মারজান আল গোহরি: পিরামিডগুলো ধ্বংস করে দিতে হবে।

বর্তমান সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি: আরব উপদ্বীপের সমস্ত গির্জা ধ্বংস করতে হবে। (১৫ মার্চ ২০১২)

সোমালিয়ান সালাফিস্ট জিহাদি ফতওয়া: সাম্বোসাক (তিনকোণা সমুসা) খাওয়া যাবে না। কারণ এটা ত্রিত্ববাদের প্রতীক ত্রিকোণ ধারণ করছে।

সালাফিস্ট সন্ত্রাসী বোকো হারাম: পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার অপরাধে (আমাদের দেশে যেমন স্কুল কলেজ, তেমনি কলেজে পড়ার অপরাধে) তিনশো মেয়েকে অপহরণ করা হয়।



বর্তমান গ্র্যান্ড মুফতি: মক্কায় ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ ক্বাবার প্রসারণের জন্য শুধু প্রয়োজন ছিল না, বরং তা ধ্বংস করা ধর্মীয় দায়িত্ব। (Click This Link)

কারো যদি কারো সাথে বিয়ে হয় এবং দেখাও না হয় এবং দূরত্বও অনেক থাকে যে দেখা হয়নি তবু যদি নারী গর্ভবতী হয় তবে বাচ্চার বাবা হবে নারীর যার সাথে বিয়ে হয়েছিল সেই পুরুষ!

বিয়ের পর যদি কেউ ৫ বছরও জেলে থাকে এবং স্ত্রীর সাথে দেখাও না হয় তার স্ত্রী এক বা একাধিক সন্তান জন্ম দেন, তবু সন্তানের পিতামাতা তারাই।

সিটবেল্ট পরা হা রা ম কারণ এটা পূর্বনির্ধারিত ভাগ্যকে আটকায়। হায়রে কপাল!

রান্নার আগে মাংস ধোয়া হারাম।

পুরুষ তার মৃত স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।

ইলেক্ট্রিক কারেন্ট নেই এমন অঞ্চলে যে থাকে তার জন্য রোজা ফরজ না। এগেইন মাইরালা। (সৌদি মুফতি আবিকান, আইন মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা।)

ইসা ইবনে সালিহ, ওয়াহাবি মুফতি, পর্নোগ্রাফি দেখা যৌনতায় অক্ষমের জন্য জায়েজ আছে যদি সেই পর্নো তৈরি হয় মুসলিমদের দ্বারা!

শেখ জসিম আল সাঈদী, সালাফি মুফতি: অ্যালকোহল ও যৌনতা বিক্রি করা জায়েজ ইয়েমেনের অভাব যতদিন আছে ততদিন।

জাফরান ড্রাগ হওয়াতে এটা হারাম। (কুয়েত ফতোয়া কমিটি... সৌদি রাজা তার আশপাশের টুকরা টাকরা দেশগুলোতে নিজের মতাবলম্বীদের শুধু দেশ গঠন করতে দিয়েছিল।)

সউদি শেখ আল রাইফাই: বাবার সাথে মেয়ের নির্জনে যাওয়া হারাম।

সউদি মুফতি শেখ সালেহ আলফজান: যারাই নামাজ পড়ে না তাদের সবাইকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে।

স্বামীর অবর্তমানে এয়ার কন্ডিশনার চালানো স্ত্রীর জন্য হারাম।

বাইক/মোটর সাইকেল চালানো হারাম।

শেষের আঠারোটা ফতোয়া Click This Link এখান থেকে নেয়া।

নারীদের ড্রাইভ করা হারাম কেননা তা ডিম্বাশয়ের জন্য ক্ষতিকর! (সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি)

পুরুষ (স্বামী/পিতা/দাদা/পুত্র/ভ্রাতুষ্পুত্র)'র অনুপস্থিতিতে সন্তান জন্মদান করা যাবে না। তাদের অনুপস্থিতিতে পুরুষ ডাক্তার বা নার্সরাও নারীদের চিকিৎসা করতে পারবে না। (ধর্মীয় শুরা, আরব নিউজ, জেদ্দা, ১৪ ফেব্রু, ২০১৪)

মৃততুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক রাজাকার প্রতি বছর হজ্বের আগে এনটিভিতে: হজ্বে মদিনায় যাবার কোন প্রয়োজন নেই। কেউ যদি মনে করে হজ্বে মদিনা জিয়ারত করা প্রয়োজন, তবে তার হজ্ব হবে না। (মিশকাত শরীফের হাদিস: যে আমাকে দেখল সে সত্যই দেখল। যে আমার জিয়ারত করল হাশরে তাকে শাফাআত করা আমার জন্য ওয়াজিব। আমার কবরের জিয়ারতও আমারই জিয়ারত।)

শেষে একটা সত্যিকার ভার্চুয়াস সৌদি ফতওয়া শোনা যাক, ৮০ বছর বয়সী অন্ধ শেখ হামুদ বিন উকলা আশ শুয়াইবিকে সৌদি প্রশাসন জিজ্ঞেস করেছিল, 'আপনি কি আসলেই আস-সৌদ পরিবারের উপর রদ ঘোষণা করেছেন?'

তিনি সোজা জবাব দিয়েছিলেন, ‌'যারাই ক্বাফিরদের পক্ষ নিয়ে বৃহত্তর মুসলিম জাতির বিপক্ষে অবস্থান নেয়, তারাই ক্বাফির।' (১১ অক্টো, ২০০১, ইকোনমিস্ট)

চারটা পবিত্র হাদীস সব সময় আমাদের পথনির্দেশক হয়ে রয়:

১. তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। অতীতে বহু জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
২. কুরআন পড়ে চেহারা উজ্জ্বল করে ফেলার পর কিছু মানুষ প্রতিবেশীকে হত্যার জন্য উঠেপড়ে লাগবে মুশরিক বলে। নিশ্চই আক্রমণকারী মুশরিক।
৩. আজকে আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম। হ্যা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, শুদ্ধি ও উন্নয়ন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বড় জিহাদ।
৪. মুসলিমের হৃদয় শস্যক্ষেত্রের মত। সামান্য বাতাসও তাতে নাড়া দেয় (অর্থাৎ যে কোন অমানবিক/অনৈতিক বিষয় সে দ্রুত বুঝতে পারে, সেভাবে নিজেকে পিরবর্তিত করে। তাকে অধিকতর পরিশুদ্ধ করতে বেশি প্রমাণের প্রয়োজন নেই।) আর মুনাফিকের হৃদয় বড় কঠিন গাছের মত। কিছুতেই নড়ে না, উপড়ে যায় ঝড়ে। (অর্থাৎ কোন কিছুই তাদের স্পর্শ করে না, কোন প্রমাণ কোন নিদর্শন তাদের মনে প্রভাব ফেলে না এবং মুনাফিক অবস্থাতেই তাদের প্রাণ একেবারে ঝরে পড়ে, অফেরতযোগ্য অবস্থায়)

বাংলাদেশে মুসলিম যে কয়জন মানুষ আছে, আল্লাহর দয়ায় যেন তাদের মধ্যে মুনাফিকের সংখ্যা বেশি না হয়। বেশি হলে আমরা বড় বিপদে পড়ব।

ডিসক্লেইমার:
০. সৌদি, সালাফি, আহলে হাদীস ও ওয়াহাবি মতাবলম্বীরাও পৃথিবীর আর সব মতবাদের মত বহু ধারায় বিভক্ত। তারাও কিছু কিছু ফতোয়া সঠিক এবং মানবিক দিয়ে থাকে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিছু বলার রুচি আমাদের এম্নিতেই নাই, কিন্তু পথে কাঁটা থাকলে সে সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি কর্তব্য মনে করি।
১. এখানে জ্ঞাতসারে এমন কোন ফতোয়া আনা হয়নি, যা প্রকৃতপক্ষে ইসলামিক। এই মতবাদের মধ্যে কে ফতোয়া দিয়েছে, কোন প্রাতিষ্ঠানিকতার অধীনে কখন দিয়েছে, তা উল্লিখিত। বিভ্রান্তি বা মিশ্রণের কোন অবকাশ নেই। ইসলাম নিয়ে যে কোন মাত্রার প্রশ্নে স্বাগতম, তা যতই অস্বস্তিকর মনে হোক না কেন। তবে, ইসলাম নিয়ে মোটাদাগের কোন রসিকতা কেউ করলে তাকে বেদনাদায়কভাবে শালীন শব্দ বর্ষণে জবাব দেয়া হবে।
২. ইসলাম সম্পর্কে অথবা এই পোস্টের যে কোন বিষয় সম্পর্কে আন্দাজে ধারণা না করে বরং সরাসরি প্রশ্ন করাই শ্রেয়, কেননা স্রেফ উৎসাহের খাতিরে আমরা ইসলাম সম্পর্কে শিখি না। অকাট্য অবশ্যকর্তব্য মনে করে শিখি। সৌখিনদের সাথে আমাদের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
২১টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×