মানুষের উপরে শয়তানের প্রথম হামলা ছিল তার দেহ থেকে কাপড় খসিয়ে
তাকে উলঙ্গ করে দেওয়া। আজও পৃথিবীতে শয়তানের পদাংক অনুসারী ও
ইবলীসের শিখণ্ডীদের প্রথম কাজ হল তথাকথিত ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার
নামে নারীকে উলঙ্গ করে ঘরের বাইরে আনা ও তার সৌন্দর্য উপভোগ করা।
অথচ পৃথিবীর বিগত সভ্যতাগুলি ধ্বংস হয়েছে মূলতঃ নারী ও মদের
সহজলভ্যতার কারণেই। অতএব সভ্য-ভদ্র ও আল্লাহভীরু বান্দাদের নিকটে
ঈমানের পর সর্ব প্রথম ফরয হল স্ব স্ব লজ্জাস্থান আবৃত রাখা ও ইযযত আবরূর
হেফাযত করা। অন্যান্য ফরয সবই এর পরে। নারীর পর্দা কেবল
পোষাকে হবে না, বরং তা হবে তার ভিতরে, তার কথা-বার্তায়, আচার-
আচরণে ও চাল-চলনে সর্ব বিষয়ে। পরনারীর প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি ও মিষ্ট কণ্ঠস্বর
পরপুরুষের হৃদয়ে অন্যায় প্রভাব বিস্তার করে। অতএব লজ্জাশীলতাই মুমিন নর-নারীর অঙ্গভূষণ ও পারস্পরিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি।
নারী ও পুরুষ প্রত্যেকে একে অপরের থেকে স্ব স্ব দৃষ্টিকে অবনত রাখবে (নরূ ২৪/৩০-৩১)
এবং পরস্পরে সার্বিক পর্দা বজায় রেখে কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কথাটুকু
স্বাভাবিকভাবে সংক্ষেপে বলবে। নারী ও পুরুষ প্রত্যেকে নিজ নিজ স্বাতন্ত্র্য
ও পর্দা বজায় রেখে স্ব স্ব কর্মস্থলে ও কমর্পরিধির মধ্যে স্বাধীনভাবে কাজ
করবে এবং সংসার ও সমাজের কল্যাণে সাধ্যমত অবদান রাখবে। নেগেটিভ
ও পজেটিভ পাশাপাশি বিদ্যুৎবাহী দুটি ক্যাবলের মাঝে প্লাষ্টিকের আবরণ
যেমন পর্দার কাজ করে এবং অপরিহার্য এক্সিডেন্ট ও অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা
করে, অনুরূপভাবে পরনারী ও পরপুরুষের মধ্যকার পর্দা উভয়ের মাঝে
ঘটিতব্য যেকোন অনাকাংখিত বিষয় থেকে পরস্পরকে হেফাযত করে।
অতএব শয়তানের প্ররোচনায় জান্নাতে পবিত্র পরিবেশে আদি পিতা-মাতার
জীবনে ঘটিত উক্ত অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা থেকে দুনিয়ার এই পঙ্কিল পরিবেশে
বসবাসরত মানব জাতিকে আরও বেশী সতকর্ ও সাবধান থাকা উচিত।
কুরআন ও হাদীছ আমাদেরকে সেদিকেই হুঁশিয়ার করেছে।
*** নবীদের কাহিনী***