কারোর মৃত্যু নিয়ে এসব বলা অন্যায়, অশিক্ষা ও কুশিক্ষা এবং বর্বরতা ও রুচিহীনতার পরিচয় ঘটায়,,,
এবার এই রুচিহীনতা আর বর্বরতা কাজই করছি,,,কারণ ঠেকে আর ঠকে শিখার চেয়ে দেখে শিখার উপকারিকাতা ঢের বেশি, দেখে শিখলে তোন কোনা লস নেই,, বরং লস হওয়ার আগেই শিখে নিতে পারি।
সেলিব্রেটিদের শেষ জীবন কেন এতো মিসকিন আর ফকিন্নিদের মত হয়,,,? হাত পাততে হয় দশ জনের কাছে,,মানুষের দয়া ও দক্ষিণার উপর নির্ভর করতে হয়,,,।দশজনের করুনা নিয়ে বাচতে হয়,,কেন এই করুনার জীবন তাদের শেষ জীবনে আসে?
এই সব করুনার জীবনতো হয় ল্যাংড়া ও কানা প্রতিবন্দীদের,,যদিও আজকাল প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়,,তারা করুনা চায়না,,তারা চায় কাজ চায়,,তার সাথে সম্মানের জীবনও চায় কিন্তু হায় কি হলো এদের,? এককালে টাকা আর জৌলসতা যাদের পায়ে গড়াগড়ি করতো তারা এখন হাত পেতে খায়,,তাদের ইংরেজি শিক্ষিত সন্তানেরা চোখের পানি আর নাকের পানি এক করে শেক্সপিয়ারের কাব্যিক ভাষায় মানুষের করুনা আহবান করে,,দুই টাকা পাচ টাকাই শুধু ভিক্ষা হয়না। করুণা করে যদি লাখ টাকাও দেওয়া হয়,,সেটা ভিক্ষাই হয়,,কোন এক সময়ে একজন আমাকে বলেছিল একটি গরু বছরে একটি বাচ্ছা দেয় আর একটি কুকুর এক সাথে ৮, ১০ টি বাচ্ছা দেয়, ,, বছর শেষে লক্ষ লক্ষ গরু জবাই ও কুরবানি দেওয়ার পরও দেশে কুকুরের চেয়ে গরুর সংখ্যাই বেশি,,,এখানেই আসল কথা কুকুরের মত যাদের জীবন বেচে নিবে তাদের কথা আর বললাম না, যা আমাদের বাস্তব জীবনেই অনেক উদাহরণ হয়ে আছে,,,অনেকেই হয়ত বলবেন তাকে বিশেষ অবদানের জন্য দেওয়া হচ্ছে,, আমি বলি তার চেয়ে বেশি অবদান রেখে চলেছে রোদ বৃষ্টি ভিজে যে কৃষক শুধু ফাকা মাঠে ফসলে ভরিয়ে দেন,, যা আমাদের খাদ্যের যোগান দাতাও বলতে পারি,,সারাদিন খেটে খুটে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ঠিক মত খেতে পায়না,,আর তেনারা একটি ক্যামেরার সামনে কতক্ষণ নাচুন কদুন করলেই তাদের অবদান বিশেষ হয়ে যায়,,
,,
আজ চলে গেলেন আমাদের দিতি,,জানিনা আমি, আল্লাহর উপর উনার ঈমান ছিলো কি না,,যদি ঈমান থেকে থাকে তাহলে সেই ঈমানের দাবী নিয়ে বলতে পারি, যদি তার কোন ভালো কাজ থেকে থাকলে কবুল করে তার কবরের জীবন সহজ করে দিন,, আমিন,,
আর আমরা যারা বেচে আছি তাদের কে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ায় ক্ষমতা ও বিবেক দাও,,,এবং হেদায়েত দান করুন,,আমিন
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪১