আজ নাকি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রেমপিয়াসী হৃদয়ের কাছে বিশেষ গুরুত্ব আছে এ দিনটির। বছরের এ দিনকে সারাবিশ্বের তরুণ-তরুণীরা বেছে নিয়েছে হৃদয়ের ব্যাকুল কথার কলি ফোটাতে।তরুণ-তরুণী শুধু নয়, নানা বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশ করার আনুষ্ঠানিক দিন এটি। এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও এটি।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) অ্যানেসথেসিয়া (অবেদনবিদ)দের মনে রোগীদের জন্য সামান্য পরিমান ভালোবাসা নাই। এইসব অমানুষ চিকিৎসকদের ধর্মঘটের কারণে অস্ত্রোপচার বন্ধ আছে। ডাক্তারদের অমানুষ বলার কারনে অনেকেই গালাগালি করবেন। কিন্তু ধর্মঘটের কারণ জানলে আপনিও আমার মত ডাক্তার নামধারীদের অমানুষ বলতে বাধ্য হবেন।
গতকাল শনিবার অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের একজন চিকিৎসকের সঙ্গে হেপাটোলজি (যকৃৎ) বিভাগের চিকিৎসকের কথা-কাটাকাটির জেরে আজ অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের চিকিৎসকেরা ধর্মঘট করছেন। বিএসএমএমইউর ওটি কমপ্লেক্সের বাইরে অস্ত্রোপচারের জন্য রোগীরা এখন অপেক্ষা করছেন।
চিকিৎসকদের ধর্মঘটে অস্ত্রোপচার বন্ধ
সরেজমিন দেখা যায়, অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় থাকা একজনের বয়স ছয় মাস। ওটি কমপ্লেক্সের বাইরে শিশুটিকে অনবরত কাঁদতে দেখা গেছে। সাবিল নামের ওই শিশুটির বাবা জনি ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাচ্চার কিডনিতে সমস্যা। আজ অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য ভোর পাঁচটা থেকে তাকে না খাইয়ে রাখা হয়েছে।’
রেখা রানী নামের এক নারীকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর গলায় অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল।
বরিশাল থেকে আসা এক রোগীর স্বজন আল মামুন হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেছেন, সকাল সাড়ে সাতটার সময় রোগীকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই ঘণ্টা পর বলা হয়, আজ অস্ত্রোপচার হবে না। তিনি রোগীকে নিয়ে আবারও ওয়ার্ডে ফেরত যান। ক্ষোভ প্রকাশ করে আল মামুন বলেন, ‘এগুলো দেখার কেউ কী নাই।’ তিনি প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আমার এক রিলেটিভও এর ভুক্তভোগী।
হায় ডাক্তার,হায় ভালোবাসা!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৯