আমরা যখন ব্যাংক জালিয়াতিতে নিজের দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করছি,ঠিক তখনই জনতা ব্যাংক আমাদের দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করে দিল।
আমরা এর আগে সোনালী ব্যংকের ৪০০০ কোটি টাকা,বেসিক ব্যাংকের ১২০০ কোটি টাকা সহ বিভিন্ন ব্যাংকের শ শ কোটি টাকার লুটের ঘটনা শুনতেছিলাম। কিন্তু আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে আমরা কোনোভাবেই স্থান পাচ্ছিলাম না। আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী নিজে বিবৃতি দিলেন,চার হা জার কোটি টাকা কিছুই না।তারপরেও কাজ হলো না। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নেক নজর কোনোভাবেই কাড়তে পারছিলাম না। এরপর সব ব্যাংকের মাদার ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকার লুটের ঘটনা ঘটলো।আমরাও ব্যাংক লুটেরা দেশ হিসাবে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে স্বীকৃতি পেলাম। দেশের ভাবমুর্তি শাই শাই করে বেড়ে গেলো।
এবার শুরু হলো ভাবমুর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত। মাত্র ২ কোটি টাকা লুট করে পত্রিকায় শিরোনাম হলো জনতা ব্যাংক।
বস্তাসহ জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা আটক, ২ কোটি টাকা লুট
এবার লুট হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের দুই কোটি টাকা। রাজিব হাসান নামের ব্যাংকের এক কর্মকর্তা লুট করেছেন এ অর্থ। তার বাসা থেকে বস্তাভর্তি ৭৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আর অফিসে তার ড্রয়ারে পাওয়া গেছে ১৫ হাজার টাকা। বাকি এক কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার কোনো হদিস মিলছে না।
যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা,নিদেন পক্ষে ২/৪ শ কোটি টাকার নিচে ব্যাংক লুটের ঘটনা নিকট অতীতে নাই,সেখানে রাজিব হাসান নামের জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তা মাত্র ২ কোটি টাকা লুট করে দেশের মানসন্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করার যে ষড়যন্ত্র করেছে, তা প্রতিহত করতেই হবে।আরে ব্যাটা লুট করবি কর, কিন্তু মাত্র ২ কোটি টাকা কেন?অর্থমন্ত্রী অমর বানী,চার হাজার কোটি টাকা কিছুই না,সেখানে ২ কোটি টাকা? এটাতো আমাদের মানিব্যাগের চিপায় থাকে। এ ব্যাপারে আমাদের চোরমহল অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করার এই ষড়যন্ত্রের পিছনে বিএনপি-জামাতের হাত আছে বলে তারা সন্দেহ করেছেন।কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশ রাজিব হাসানের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের চর ভদ্রাসনে। তিনি ২০১০ সালে জনতা ব্যাংকে যোগ দেন । । এ ব্যাপারে তারা বলেন ,ছদ্মবেশে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামাতের লোকজন সরকারী প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯