যখন জলের ভেতর উড়তে গিয়ে পথটি ভুলে
তোমার ঘরের রাজ্যপাটে বসত গেড়ে বসে-
দু’চোখ যখন লয় হারিয়ে তোমার চোখের সলতে ছুঁয়ে প্রদীপ জ্বালে।
বলো তো কে?
জলের ওপর রঙ ছড়িয়ে জলের ছবি আঁকে?
প্রশ্ন তোমার কাছে।
তার গা ছুঁয়ে যায় শনশনে এক হাওয়া- বৃষ্টিজলের
অঝোরধারা জানলা বেয়ে অরক্ষিতে -ঘর দুয়ারের সমস্তটাই ভেজে,
এই পবনে ওলট পালট সবকিছু হয় - নাহয় খানিক
আড়াল দিও! ডানা খুলে মর্ত্যে নামা জলপরীকে
দু'হাত জুড়ে ঢেকো-
পাঁজর খুলে লুকিয়েই নাহয় রেখো!
দোহাই লাগে, অরুন্ধতী পা পিছলে পড়েও যদি খসে,
সপ্তাকাশের কি আসে যায়? জ্যোৎস্নাবালুয় লুকোচুরির শেষে
জলের পরী আঙুল হেলে বজ্র ছুঁড়ে জানান দেবে, "তুমি আমার-
শুধুই আমার," -তাবৎ সৌরপাড়ায়!
ভাবছি, কেমন হবে? যখন
মহোৎসবে জ্বলবে সুখে একশো কোটি তারা।
সফেদ ধবল পালটি তুলে চন্দ্রখেয়ায় দেব-দেবীরা ফুল ছড়াবে পথে -
ভোরের বেলায় আকাশপ্রদীপ ফুঁৎকারে এক নিভিয়ে দিয়ে
স্বপ্নমায়ায় বাঁধবে যখন জলকুমারী- চুড়ির রিনিঝিনির তালে
চিরকালের হতচ্ছাড়া এই তোমাকে-
লজ্জা পাবে? ভীষণ?
অপচায়ী কুয়াশাসব থমকাবে নিশ্চিতে।
নিষ্কৃতি চাই, প্রিয়তম, আজ যে আমার ধ্রুপদী রাত! বিরানভূমি খামে
কিছু স্বপ্ন এঁকে পাঠিয়ে দিলাম জলডাহুকের ডানায়,
সিকামোরের ছায়ায় বসে মনখারাপের ক্ষণগুলোকে বাক্সে বেঁধো, বরং
একটি আদর, নেবে?
জলজ মেয়ের চতুর্পাশের ঢেউয়ে, জেনো-
অষ্টপ্রহর ছড়িয়ে থাকো আটকাহনের "তুমি"!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২২