এ কথা সত্যি যে রিকশা কেবল বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে। কিন্তু এখন রিকশার ব্যবহার সবচয়ে বেশি বাংলাদেশেই। বিশেষ করে ঢাকা এখন রিকশার শহর হিসেবেও পরিচিতি পাচ্ছে। সর্বসাম্প্রতিক বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার ঐতিহ্য হিসেবে রিকশাকে তুলে ধরা হয়।
রিকশার উৎপত্তি জাপানে, ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জ্বালানি সংকটের কারণে রিকশার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। যদিও জাপানে এখন রিকশার প্রচলন নেই, কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে রিকশার প্রচলন রয়েছে।
বার্মা থেকে চট্টগ্রামে রিকশা আসে এসেছে বলে অনেকে মনে করেন। তবে ঢাকায় চট্টগ্রাম থেকে রিকশা আসেনি। গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে ইউরোপীয় বণিকদের হাত ধরে কোলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা আসে, ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য শহরে।
১৯৪১ সালে ঢাকায় রিকশার সংখ্য ছিল ৩৭ টি, ১৯৪৭ সালে ১৮১ টি। পালকি, ঘোড়ার গাড়ি ও গরুর গাড়ির মত ঐতিহ্যবাহী বাহনকে হটিয়ে জায়গা করে নেয় রিকশা। বর্তমানে ঢাকায় রিকশার সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
বিতর্ক
ভারতের কলকাতায় প্রচলিত হাতে টানা রিকশা ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে বন্ধ করার পক্ষে মত রয়েছে।
বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকার যানজটের জন্য রিকশাকে দায়ী করা হয়ে থাকে এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রিকশার পক্ষে
রিকশার পক্ষেও বেশ শক্ত মত রয়েছে। রিকশা পরিচ্ছন্ন বাহন, এটি বায়ুদূষণ ঘটায় না।
ঢাকায় গণপরিহন ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে দরিদ্র এবং নিম্ন মধ্যবিত্তের ‘ট্যাক্সি ক্যাব’ হিসেবে রিকশার কদর রয়েছে।
পৃথিবীর অনেক শহরে বিশেষ করে পর্যটন কেন্দ্রে রিকশার ব্যবহার বাড়ছে।
বিপুল সংখ্যক মানুষ রিকশা চালনা, তৈরি ও মেরামতের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করে।
রিকশা পেইন্টিং
রিকশা তৈরি এবং রিকশা চিত্র অংকনের সাথে যারা জড়ির তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী না থাকলেও রিকশাকে একটি শৈল্পিক রূপ দেবার চেষ্টা তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে রিকশার পেছনে অঙ্কিত রিকশা চিত্র শিল্পবোদ্ধাদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে।
(সংকলিত )
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬