গত কয়েকদিন আগে সরকার থেকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হইয়াছে। বর্তমান সরকার জনগণকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। গ্যাস, কয়লা ও ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উদপাদন করা হচ্ছে। অন্যদিকে গত কয়েকটি সরকারের সময় গ্যাসের যে উৎপাদন ছিল তা বর্তমানে বাড়ানো হয়েছে। নতুন কয়েকটি খনি থেকে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। যার বেশিরভাগই আমরা যারা শহুরে বাস করছি তারাই ব্যবহার করছি। নিশ্চয় প্রশংসার দাবিদার বর্তমান সরকার!
============================================================
আমরা যারা শহুরে বাস করছি তাহারা কোন না কোন ভাড়া বাসায় থাকি। এই জনবহুল শহরে ভালভাবে থাকার জন্য সবাই ভাল একটি বাসা চাই। যাক এই ডিজিটাল যুগে আমার মনে হয় আমরা এখনো সেই সেকেলে নবাবীর দেওয়ানী ও জামিদারী আমলে বাস করছি। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে টেতুলিয়া পর্যন্ত অনেক সামাজিক, রাজনৈতিক, বুদ্ধিজীবী, কলামিষ্ট, সাংবাদিকসহ আরো অরো অনেকেই আছেন তাহারা মনে হয় এই ডিজিটালাইষ্ট সিষ্টেমের জমিদারীর কথা খুবই কম বলেন। হ্যা বলেন, ডিসেম্বর- জানুয়ারী মাসে বলেন, লিখেন ইত্যাদি... সেজন্য ধন্যবাদ জানাই সে-সময় লেখা ও বলার জন্য।
এই শহুরে যখন পশ্চিমাদের দেওয়া জানুয়ারী মাস আসে তখন জমিদার চাচা, মামা, কাকা, খালু ----- অথবা চাচা- মামা, খালুর নিয়ন্ত্রিত কেয়ারটেকার এসে বলেন আপনাদের বাসা ভাড়া জানুয়ারী মাস থেকে ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা, ২০০০ টাকা বাড়বে। তখন ঐ ডিজিটাল জমিদারকে যদি আমরা বলি চাচা বাসা ভাড়া এ বছর বাড়াইয়েন না। কোম্পানি আমাকে বেতন বাড়াই নাই। তদ্যুত্তরে মাননীয় চাচা বলেন, তোমাদের যদি না পৌছায় তাহলে অন্য জায়গায় ভাড়া দেখ। তখন আর কিছু বলার থাকে! বাসা যতই পুরান হয় ততই তার মান বাড়ে, এভাবে মনে হয় চকচকিয়ে সোনা হয়!
এই রাষ্ট্র চালিত যন্ত্রে অনেক সংস্থা, প্রতিষ্টান আছে যাহারা এই বিষয়ে তদারকি করার দায়িত্বে থাকেন তাহাদের মনে চক্ষু ও কান নাই। এবং এই বাসা ভাড়া নিয়ে পর্যন্ত আইন আছে, কিন্তু কার কথা কে শোনে! আমাদের অনেক কোর্ট আছে-- মোবাইল কোর্ট, জর্জ কোট, সুপ্রীম কোর্ট, হাই কোট ইত্যাদি। কিন্তু কোন কোর্টকেই এ পর্যন্ত সঠিক নির্দেশনা দিতে দেখা যাই নাই। হায়! আমার সোনার বাংলাদেশ----
এর মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে, বেড়েছে শাক-সবজি, মাছ-মাংসের দাম। এটাই মনে হয় সিষ্টেম!
প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে বিদ্যুৎ বিল লাগামহীন বেড়ে যায়। বলা হয় সিষ্টেম লস!-------- বাড়বে না কেনো? লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি ধরেছে না! ঐ টাকা তুলতে হবে। আর কত কি!-------- আমার সোনার বাংলাদেশ, স্বপ্ন দেখি আজও পেছনের পকেটে হাত দুকিয়ে--
বন্ধুরা, শেষ কথা -- আমার জমিদার নতুন আইন পাশ করেছে-- গ্যাসের যে বাড়তি বিল দু্ই চুলায় ২০০ টাকা বেড়েছে ঐ বাড়তি ২০০ টাকা বাড়তি আগামী মাস থেকে বাসা ভাড়ার সংঙ্গে বেশি দিতে হবে। আগামী মাস থেকে কার্যকর হবে, যদি না দিই তা হলে বাসা ছেড়ে দিতে হবে। কী সুন্দর আইন! ----- আমার সোনার বাংলাদেশ! ---- একবিংশ শতাব্দির নতুন জমিদার।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫