শোষক শ্রেণীর শোষণ, উৎপীড়ন, কপটতা দেখে রবীন্দ্রনাথ শেষ বয়সে এসে আর্তনাদ করে বলে উঠেছিলেন, শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস। বাঙলাদেশ সরকার এতটাই শোষক হয়ে উঠছে যে, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু শোষণ করেও তার শোষণ-পিপাসা মিটছে না। তাই সরকার তার রোমশ থাবা বাড়িয়েছে মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠের ওপর, মানুষের বাক্-স্বাধীনতার ওপর, মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর -- সর্বোপরি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর।
বুয়েটের তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির সমাবেশ থেকে জানতে পারি বেশ কয়েকজনকে সরকারের গুন্ডাবাহিনীরা গ্রেপ্তার করেছে। তখনই মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ব্লগে ঢুকামাত্রই দেখলাম যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা এই ব্লগেরই কিছু মান-সম্পন্ন লেখক। মনটা তখন আরো বেশি খারাপ হয়ে গেল।
সকালের ঘড়িতে তখনো ৭ টা বাজে নি, মিছিল সমাবেশ তখনো শুরু হয় নি; কিন্তু তারপরও তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হলো ! এটি কি স্বৈরাচারিতা না গণতান্ত্রিকতা ? অবশ্য, এই মূর্খ্য সরকারের কাছে স্বৈরাচার আর গণতন্ত্রের সংজ্ঞা চাওয়াটাই বৃথা। (যে সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতার সাথে বিছ্মিল্লাহ্, আর সমাজতন্ত্রের সাথে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পাশাপাশি রাখে, সেই সরকার শুধু মূর্খ্য না মহামূর্খ্য)
বুয়েট ছাত্রের স্লোগান : শান্তির ললিত বাণী নয়
১. `৭১ -এর চেতনা, তেল গ্যাস দিবো না
২. রক্ত দিবো, জীবন দিবো; তেল গ্যাস দিবো না
৩. পাইপ লাইনে মন্ত্রী যাবে, তেল গ্যাস যাবে না
৪. পাইপ লাইনে আমলা যাবে, তেল গ্যাস যাবে না