না, আন্দোলনের ডাক দিবে না; প্রথমে সে কিছু সময় কাটাবে, দল গুছানোর নাম দিয়ে; এতে কিছু নেতার হাতে কিছু টাকা পয়সা আসবে; তাতে দল কিছুটা চাংগা হবে। পরবর্তী কিছু সময় আন্দোলনের নামে কিছু বিক্ষোভ, জমায়েত করে তৃণমুলকে একটিভ রাখবে; তবে, সমসয়া হলো, ভোট বেশ দুরে। ভোটকে কাছে আনানোর জন্য আওয়ামী লীগের সাথে হয়তো কিছু আপোস করতে হবে; কারণ, ভোট বেশী দুরে হলে, তৃণমুল ঝিমিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে।
মনে হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে বিরোধী দলের প্রধান করার ব্যাপারে ২ দলের মাঝে একটা বুঝাপড়া হচ্ছে; খালেদা জিয়া এর থেকে বেশী চাওয়ার অবস্হানে নেই; যদিও শেখ হাসিনার বিপক্ষে অনেকে কথা বলছেন, কিন্তু তাতে খালেদা জিয়ার অবস্হার উন্নতি হচ্ছে না; এবং মনে হচ্ছে, খালেদা জিয়ার সাপোর্টারেরা শেখ হাসিনাকে যতটুকু দুর্বল ভাবছে, খালেদা জিয়ার ধারণা সেই রকম নয়।
ভোট যদি ২০১৯ সালে হয়, তাতে বিএনপি'র ব্যাপক ক্ষতি হবে; খালেদা জিয়া সম্ভব হলে, এখনই বিরোধীদলের নেত্রী হতে চায়; কিন্তু আওয়ামী লীগ এখানে প্রস্তুতি ইত্যাদির নামে সময় ক্ষেপন করতে চাইবে; আওয়ামী লীগের তৃণমুল সহজে ভোট চাইবে না; তারা সবচেয়ে ভালো অবস্হানে আছে এখন। তৃণমুলকে ভোটমুখী করতে আওয়ামী লীগের সময় লাগবে।
অনেক বুঝাপড়ার পরও, ২ দলই সুযোগ খুঁজবে যাতে কোন সুযোগ এসে গেলে বুঝাপড়া থেকে বেরিয়ে গিয়ে ক্ষমতাকে শক্ত করে কুক্ষিগত করা যায় কিনা; আসলে ওরা যতই বুঝপড়া করুক না কেন, পেছন চুরি ধার দিতে থাকবে।