সাকা চৌধুরীরা পারিবারিকভাবে মানুষকে মানুষ ভাবতো না; উনার বাবা ফজলূল কাদের সাহেব মুসলিম লীগের হয়ে পাকিস্তান প্রতিস্ঠায় বড় অবদান রেখেছিলেন; এবং সরকারীদলের স্পীকারও হয়েছিলেন; যখন উনাদের চোখের সামনে পাকিস্তান ভেংগে যাচ্ছিল, তিনি রাজনৈতিকভাবে তা বিশ্লেষন করতে পারেননি নিজের কাছে; তিনি পাকিদের গণহত্যাকে সমর্থন দেন; এটা ছিল উনার নিজ পায়ে কুড়াল মারার সমান।
সঠিক সময়ে, যদি তিনি বুঝতে পারতেন যে, পাকিস্তানের পতন হবে, উনি পাকিস্তানে চলে যেতে পারতেন; ওখানে উনার জন্য বড় যায়গা হতো; কিন্তু অতটুকু বুঝার মত রাজনীতিবিদও তিনি ছিলেন না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, উনার মৃত্যু হয়েছে জেলে; উনার পরিবার এটাকে সহজভাবে নেয়নি।
সাকা চৌধুরীর বাবার পতন, সাকার জীবনে বিশালভাবে কাজ করেছে; এরা ব্যবসা বাণিজ্য করে বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে হাজার কোটী গুণে ভালো ছিল, বাংলাদেশের সম্পদ দখল করে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হাসি তামাসা করেছে; সাথে সাথে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে বাংলাদেশের ক্ষতি করাার, স্বাধীনতার সুফল নস্ট করার চেস্টায় লিপ্ত ছিল; দেশের বিপক্ষে যারা আছে, তাদের সাথে ইউনিয়ন গড়ার কাজ করেছে; এবং সেই কারণেই বিএনপি'তে যোগ দিয়েছিল; সাকারা খালেদা জিয়া ইত্যাদিকে মানুষ মনে করতো না, শুধু বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধের মন নিয়ে খালেদা জিয়ার অফিসে যেতো; না হয়, সেই রকম নেত্রী দিয়ে সে জুতা পরিস্কার করিয়ে নিতো।
যাক, তার অপরাধ ও প্রতিশোধী মনোভাব শেষ অবধি তাকে ফাঁসীর মন্চে নিয়ে গেছে। তার পরিবার প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার পক্ষে; দেখা যাচ্ছে, দরখাস্ত প্রেসিডেন্টের কাছে গেছে। আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা, ব্যবসায়ী ও মিলিটারীতে সেই পরিবারের আত্মীয়রা আছে, তারা চেস্টা করছে; সাকার প্রাণ ভিক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা ৫১% এর থেকে উপরে।