পরাজয়ের আগে, মনে হয়, ২ হাজার শিক্ষিত মানুষকে ঘর থেকে নিয়ে হত্যা করেছে আল-বদর; আল-বদরের লোকেরা এদের সাথে একই যায়গায়, বা একই ধরণের কাজ করার সুবাদে, বা পড়ার সুবাদে এদের জানতো! ভাগ্য ভালো যে, আল বদর যথেস্ট সময় পায়নি; সময় পেলে আরো ১০/২০ হাজারকে ধরে নিয়ে যেতো।
যে ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের সামান্য কয়েকজন নিজের ভুলের জন্য, পাকী এবং রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েছিলেন; বাকীদের প্রাণ গেছে রনাংনে!
৯ মাসের যুদ্ধে পাকী বাহিনী প্রতিটি মুক্টিযোদ্ধার ঠিকানা, পরিবারের ডাটা সংগ্রহ করেছিল; ৯০% মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীঘর পোড়ায়ে দিয়েছে; পরিবারের লোকজনকে হতয়া করেছে, নির্যাতন করে আহত করেছে, আটকায়ে রেখেছিল।
যাঁরা যুদ্ধে ছিলেন, তাঁদেরকে বাড়ী থেকে ধরার প্রশ্ন উঠেনি; কারণ তাঁরা ছিলেন রণাংগণে; অনেক গেরিলা ছিল দেশের ভিতরে থেকে যুদ্ধ করেছেন, তাদের ট্রেনিং ছিল বাড়ীতে না থাকার জন্য, এমন কি অন্যদের বাড়ীতে না থাকার ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল। যাঁরা গেরিলা যুদ্ধের নিয়ম মানেননি, সেই রকম সামান্য কিছু গেরিলা ধরা পড়েছিলেন।
যাক দেখা যাচ্ছে যে, বুদ্ধিমানদের বাড়ী থেকে বা কাজের যায়গা থেকে ধরে নিয়ে গেছেন; যাঁরা যুদ্ধ করেছেন, বিজয় এনেছেন, বণক্ষেত্রে প্রাণ দিয়েছেন, এঁরা কাঁরা?
আমি সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি, যাঁরা জাতির ঘোর দুর্দিনে, যুদ্ধের সময়, হাতে অস্ত্র নিয়েছিলেন, প্রাণ দিয়েছেন, দেশ মুক্ত করেছেন, তাঁরা ছিলেন সবচেয়ে বেশী বুদ্ধিমান।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২০