এখন মনে হচ্ছে, ট্রাম্প নিজেই জানতো না, কেন মানুষ তাকে তার সমস্ত ভুল, অপরকে খাট করার প্রবনতা, যুদ্ধের ভয়সহ সকল অরাজনৈতিক আচরণ ইত্যাদিকে অন্ধভাবে সমর্থন করে যাচ্চিল। এখন ট্রাম্প এমন পজিশনে এসেছে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য আমেরিকার ন্যুনতম বিষয়গুলো তাকে মানতে হবে; যেমন একটা হলো, নিজের বার্ষিক ট্যাক্স প্রকাশ করা; ট্রাম্প এতদিন প্রকাশ করেনি, মানুষ কিছু মনে করেনি; কিন্তু এখন সে হিলারী থেকে জরীপে পেছনে পড়ে গেছে, মানুষ ভাবছে, এখন ট্রাম্পকে আমেরিকার নিয়মগুলোকে সন্মান করতে হবে।
ট্রাম্প যেই ১৭ জন গভর্ণর ও সিনিটরকে পরাজিত করেছে, ওরা সবাই হিলারী থেকে অনেকভাবে যোগ্য ছিল; আমেরিকার মানুষ রাজনীতিবিদদের উপর বিশ্বাস হারায়ে ফেলেছে। ট্রাম্প যে অবস্হানে ছিল, হিলারী ক্লিনটন জয় তো দুরের কথা মহা-পরাজিত হওয়ার কথা; কিন্ত এখন প্রতিদিনই ট্রাম্প কিছু অপ্রয়োজনীয় ভুল করে নিজকে বিতর্কিত করছে প্রতিদিন; ফলে, অনেক মানুষ ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে।
ট্রাম্পকে তার নিজের দল জয়ী হতে দিচ্ছে না; মিট রমনী তাকে গতকালও ফ্রড ডেকেছে; পার্টির কে তার সাথে আছে, কে নেই, সেটা মোটেই পরিস্কার নয়; সে সব যায়গায় নিজের পরিবারের লোকজন নিয়ে স্টেজে যাচ্ছে।
স্পেনিশদের ক্রমাগতভাবে দোষ দেয়াতে স্পেনিশরা মোটামুটি একতাবদ্ধ হয়ে গেছে ট্রাম্পের বিপক্ষ, এরা এখন আমেরিকার ১৭%; আবার সম্পুর্ণ অকারণে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে আক্রমণ করতে গিয়ে, ওবামার প্রতি-আক্রমণের সন্মুখীন হয়েছে, ওবামার প্রতি-আক্রমণ ভয়ংকর শক্তিশালী; সাথে আফ্রিকান আমেরিকানদের শত্রু বানায়েছে।
যাক, এখনো আমেরিকা তাকে ফেলে পালায়নি, এখনো ট্রাম্প যদি প্রাইমারীর শুরুতে যেভাবে মানুষের জন্য আয় করার কথা বলেছিল, সেটা যদি বলে, এবং হিলারী বিশ্বাসযোগ্য নয়, এবং আরবদের যুদ্ধ থামাবে বলে, সে জয়ী হতে পারে।
জরীপে সে ব্যাটেল-স্টেটগুলোতে পেছনে পড়ে গেছে; একমাত্র ডিবেইটে হিলারীকে আইএস সৃস্টির ও ইমেইলের দোষ দিতে পারলে, হিলারী ভয় পেয়ে যাবে; হিলারী ডিবেইটে ট্রাম্পের সাথে পেরে উঠার কথা নয়; এটাই এখন ট্রাম্পের জন্য বড় সুযোগ। আর ইতিনধ্যে আইএস যদি কোথায়ও বড় আক্রমণ চালায়, হিলারী কপাল ভাংবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬