পিলখানায় সর্বোমোট ৭২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে; হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কয়েক হাজার বর্ডার প্রহরীকে দায়ী করা হয়েছিল; অবশেষে ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে; বিচারের আগে পিটায়ে বোধ হয় মেরে ফেলেছে ২০/২৫ জনকে। আমি বিচারক নই, আইনবিদও নই, কিন্তু ফিলখানার ঘটনা প্রবাহ, সরকারের ভুমিকা, দেশের ততকালীন পরিবেশ, বর্ডার প্রহরীদের ইতিহাস, দেশের বিচার ব্যবস্হা সবকিছু মিলিয়ে দেখলে মনে হবে, এগুলো বিচার নয়, দরিদ্র মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা, সরকারীভাবে হত্যা করে করে প্রতিশোধ গ্রহন, ও বিচারের নামে অদক্ষদের ফাঁসী ফাঁসী খেলা।
২য় বিশ্বযুদ্ধে ৭ কোটী মানুষ প্রাণ হারায়েছেন; নুরেমবার্গের বিচারে, প্রথমে খুবই উঁচু পদের সামরিক লোকসহ ১১ জন নাজিকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়, ১০ জনকে জেলে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধ করে গণহত্যা চালানোর জন্য আজ অবধি ৬/৭ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে।
তা'হলে ৭২ জনের জন্য কি করে ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে? কোন অবস্হায়, এই ধরণের হত্যাকান্ডে ১৫২ জন ষড়যন্ত্র করে এই আক্রমণ চালাতে পারে না। হয়তো, হাজারেরও বেশী সৈনিক "তৎক্ষনাত"ভাবে হত্যাকান্ডে জড়িত হতে পারে। সেদিন যেই অবস্হার সৃস্টি হয়েছিল, তাতে উপস্হিত ৪ হাজার সৈনিকের ৫০% হয়তো পুরোদিনও কিছু বুঝে উঠতে পারেনি।
নিহতের সংখ্যা অনেক কমানো যেতো, সেনা বাহিনী ও সরকার কোন জরুরী মিলিটারী ব্যবস্হা নেয়নি।
বিচারের সময়, দরিদ্র সৈনিকদের পক্ষে কোন বিখ্যাত আইনবিদ অংশ গ্রহন করেনি; দেশের নামকরা আইনবিদরা কখনো দরিদ্রদের পক্ষে যায় না; ফলে, সরকারের লোকেরা যা ইচ্ছে তাই করেছে; বটতলার উকিলরা পার্টি করে বিচারক হয়; সেই বিচারকেরা সরকারের ইচ্ছা পুরণ করেছে।
এখনো যদি এদের ফাঁসি না হয়ে থাকে, আবার বিচার করা দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯