চরম-পন্হীদের অকারণ নিজেদের প্রাণহানী থেকে বিরত থাকার জন্য উপদেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা গত কয়েকদিনে, কয়েকবার; তাদেকে এই অকারণ হিংসাত্মক কার্যকলাপ ত্যাগ করে সাধারণ জীবনে ফিরে আসতে বলেছেন তিনি; তিনি কথাগুলোকে "সরকারের এ্যামনেস্টি" প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা করেননি; উনাকে এই ব্যাপারে সিরিয়াস হতে হবে, এবং এটাকে সরকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রকাশ করে, সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে; মুখে মুখে, কথায় কথায় বললে হবে না।
সরকারী গেজেট হিসেবে প্রকাশ করে, এসব চরম-পন্হী লোকজন যেন নির্ভয়ে সারেন্ডার করতে পারে, সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে বিদেশী কোন মানবাধিকার, বা কমপক্ষে নরওয়ে কিংবা কানাডার লোকজনকে যুক্ত করতে হবে; দেশের বাহিনীগুলোকে চরম-পন্হীরা নিজেদের প্রাণের জন্য বিশ্বাস করবে বলে মনে হয় না।
যারা মাঠ পর্যায়ে এসব নাশকতায় যোগ দিয়েছে, এরা এদেশের উঁচু শ্রেণী, এবং রাজনীতির কেহ নয়! এই লোকগুলো দেশের বিশৃংখলা ও অরাজকতায় পরিস্হিতির শিকার হয়ে থাকতে পারে; দেশের বিশৃংখলা সৃস্টির জন্য আরবদেশসমুহ, বৃটেন, আমেরিকা ও কানাডা থেকে ডলার আসছে; যারা এগুলো করছে, তারা কমবুদ্ধিমান, বিভ্রান্ত, দরিদ্রদের এই কাজে ব্যবহার করছে; ভয়ংকর কিছু লোক দারিদ্রতার সুযোগ নিচ্ছে; মাঠ পর্যায়ে মহিলাদের উপস্হিতি এটাই প্রমাণ করছে।
বিদেশীদের উপস্হিতিতে এরা সারেন্ডার করতে ভয় পাবে না; এরপর, বিদেশীদের উপস্হিতিতে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসতে সাহায্য করার দরকার। এখন যারাএগুলোতে যুক্ত আছে, তাদের জন্য একটাই পথ খোলা, হয় জিততে হবে, না হয় মৃত্যু; তারা বুঝতে পারছে না যে, বাংলাদেশের মতো দেশে তারা কোন অবস্হায় টিকবে না। যারা কোন না কোনভাবে এসবে একবার যুক্ত হয়েছে, তাদের ফেরার পথ নেই বলেই ধরে নিয়েছে; এখন সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে তাদেরকে বের করে আনতে পারে। সাংবাদিকদের সামনে কথার কথা হিসেবে এ্যামনেস্টির কথা বললে হবে না, গ্রহনযোগ্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭