১৯৭৯ সাল থেকে শুরু করে বার্মার সৈন্য বাহিনী রোহিংগাদের হত্যার শুরু করলেও, এবার বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এমন আতংকের সৃস্টি করেছে যে, বেশীর ভাগ রোহিংগা কোন অবস্হায় আর ফেরার সাহস করবে না। বাংলাদেশে তাদের যে অংশ ভয়ংকর কস্ট পাবে, তাদের থেকে হয়তো সামান্য অংশ ফিরতে পারে, কিন্তু ওরাও আবার ফিরে আসবে যদি বেঁচে থাকে। আমরা ব্লগে ফ্লগে যেসব আলাপ করছি, তাতে অনেক মিছু অমুমান নির্ভরশীল; কিন্তু রোহিংগারা যে হত্যাকান্ড দেখেছে, সেটা বাস্তব; ওরা ফেরার মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে, মনে হয়। এবার ভয়ংকর আতংকের সৃস্টি করেছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ও সেনা বাহিনী।
এবার হত্যাকান্ড চলাকালেই জাতি সংঘের বৈঠক হচ্ছে, প্রাইম মিনিস্টার সেখানে গেছেন, বিষয়টা এখনো জীবন্ত; প্রাইম মিনিস্টারের বক্তব্যে সেটাই উঠে আসবে; সবই ঠিক আছে; ২/৩ মাস পরে, ব্যাপারটা আস্তে পেছনের সারিতে যেতে বাধ্য হবে; তখন আসল অবস্হা বুঝা যাবে, রোহিংগারা ফেরার পরিবেশ হবে কিনা।
আগের যে ৫ লাখ রোহিংগা বাংলাদেশে আছে, তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানে, তারা নতুনদের উপর কিছু ছোটখাট ব্যবসা বাণিজ্য করে, তাদেরকে এ দেশে থাকার জন্য সাহায্য করবে; যেসব রোহিংগা পরিবারের বাবা মারা গেছে এবার, যারা বৃদ্ধদের নিয়ে এসেছেন, বাচ্চা নিয়ে যেসব মহিলারা এসেছেন, তাদের আসলে ফেরার মতো পথ নেই; ওখানে ওদের আর বাঁচার পথ থাকবে না; ওদের জন্য জাতি সংঘের রিলিফ ব্যতিত আর কিছু থাকবে না; জাতি সংঘের রিলিফ সব সময় ওদের কাছে পৌঁছায় না। রোহিংগারা কিন্তু বার্মার মানুষ, ওরা নিজেরা কিন্তু পরস্পরকে খুব একটা সাহায্য করে না, বার্মার নিষ্ঠুরতা ওদের মাঝেও আছে।
এবার ৪ লাখ রোহিংগা বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিশ্ব দেখেছে; জাতি সংঘ এদের খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে; ইউরোপ, কানাডা, জাপান সাহায্য করবে; বাংলাদেশ সরকারের অনেক লোক এতে উৎসাহিত হয়ে, রোহিংগাদের এদেশে রাখার পক্ষে কাজ করার সম্ভাবনা আছে।
আবার, আগামী ২/৩ মাসের মাঝে অনেক রোহিংগারা কস্টে থাকার পর, বাংলাদেশের বদনাম করবে, ২/৪টা গন্ডগোলও হবে; তখন হয়তো খুবই সামান্য পরিমাণ যুবকেরা বার্মায় ফেরার চেস্টা করবে; বাকীরা ফেরার সাহস পাবে বলে মনে হয় না; ওরা বাংগালীদের সাথে মিশে যাবার চেস্টা করবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯