শেখ হাসিনা, বেগম জিয়া, এরশাদ ও সাকা চৌধুরী বারবার একাধিক সাংসদীয় এলাকা থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, ও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। মানুষ অনেক উৎসাহের সাথে এদের নির্বাচিত করেছেন, সবচেয়ে বেশী ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন; নির্বাচনের পর, ১ এলাকা ব্যতিত, বাকীগুলো ছেড়ে দিয়েছেন; এরপর সেখানে কারা জয়ী হয়ে এসেছে? যারা দলের মাঝে অথর্ব, যারা কোনভাবে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো না; দেখেন, মানুষ কিভাবে প্রতারিত হয়েছে! যদিও শেখ হাসিনা, বা বেগম জিয়া কারো এলাকার এমপি হলে, বা না হলে কিছুই আসে যায় না, তারপরও প্রতারণা করে্ কিছু এলাকা রিজার্ভ করার সুযোগ নিচ্ছেন, দেশের সংবিধানে এই প্রতারণার সুযোগ আছে।
বাংলাদেশের পার্লামেন্ট নির্বাচন এখনও সাধারণ মানুষের জন্য সুফল দিচ্ছে না; কারণ, সাধারণ মানুষ জেনেশুনে অসাধারণ মানুষকে নির্বাচিত করছেন; কোন কোন সময়, বাংলাদেশে শতকরা ৯০ ভাগ ভোটও গৃহিত হয়েছে, কিন্তু ভোটারেরা নির্বাচনের প্রার্থীদের সঠিকভাবে চিনে না, তার রাজনৈতিক দক্ষতা সম্পর্কে কিছুই জানে না। মানুষ শেখ হাসিনা, বেগম জিয়া, জেনারেল এরশাদ ও সাকা চৌধুরীকে জানার সুযোগ পেয়েছিলেন কিছুটা। এদের জানার পরও, মানুষ এদেরকে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেননি, এরা একাধিক এলাকায় দাঁড়ায়েছে জেনেও ভোট দিয়েছেন, নিজের ক্ষতি করেছেন; ভোটের পর, অন্য কেহ এমপি হয়েছে সেই এলাকায়, যাকে মানুষ চাহেনী!
সংবিধানের এসব হাউকাউ নিয়মগুলো হাইকোর্ট বা নির্বাচন কমিশন অনেক আগেই বন্ধ করে দিতে পারতো; কিন্তু ওরা নাগরিকদের কোন অধিকারের জন্য আজও কিছু করেনি।
একে তো বাংলাদেশে কোন এমপি ৪৭ বছরে একটি দরকারী বিল এনে মানুষের কাছে পরিচিত হতে পারেনি, তারপর ভোটের সময় একাধিক এলাকায় প্রার্থী হয়ে মানুষকে প্রতারিত করছে। যেহেতু নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্ট একাধিক এলাকা থেকে অংশ গ্রহনে বাধা দিচ্ছে না, শিক্ষিতদের উচিত হবে, এর বিপক্ষে কথা বলা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮