তালিকা প্রস্তুত হয়নি বলে, আজকে কোন রোহিংগা ফিরে যেতে পারেনি, এটা মোটামুটি সত্য বলে মনে হচ্ছে না; হয়তো সত্য হচ্ছে, স্বেচ্চায় ফেরত যেতে কোন রোহিংগা সরকারী লিষ্টে এখনো নাম দেয়নি। স্বেচ্চায় কিছু কিছু লোকজন যাওয়া-আসা করছে; সেচ্চায় যারা যাওয়া আসা করছে, তারা সরকারের সাথে নাম লিখাবে না; মনে হচ্ছে, এরা কেহই বার্মার "অস্হা্যী ক্যাম্পে" যাবে না; মগদের ক্যাম্পে কোন মানুষ যাওয়ার কথা নয়, প্রানের মায়া সবার আছে!
বাংলাদেশ সরকারের অতি-উৎসাহী লোকজন যদি ভুল বুঝিয়ে কিছু রোহিংগাকে "অস্হায়ী ক্যাম্প"এ পাঠিয়ে দেয়, সেটা হবে অমানবিকতা ও নির্দয়তা। অস্হায়ী ক্যাম্পে যদি স্হায়ীভাবে জাতি সংঘের লোকজন না থাকে, শুধু বার্মিজদের হাতে কাউকে ছেড়ে দেয়া সঠিক হবে না; কারণ, কিছু মানুষ ক্যাম্পে গেলে "আরসা" কিছু একটা করার বেশ সম্ভাবনা আছে। তখন ক্যাম্পে যারা থাকবে, বার্মিজ সেনাবাহিনী এসব লোকদের নিজ গ্রামে যেতে দেবে না; তখন বাংলাদেশ থেকে ফেরত যাওয়ার পুরো প্রসেস বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সরকার রোহিংগাদের ব্যাপারে আজ অবধি যতটুকু করেছে, এটুকু বেশ দক্ষতার সাথেই করেছে, বলতে হবে। সামনের দিন গুলোতে সরকার যাই করুক না কেন, জাতি সংঘের উপস্হিতি ব্যতিত কোন অস্হায়ী ক্যাম্পে পাঠাতে স্বীকার করা ঠিক হবে না; কারণ, ক্যাম্পে আটকা পড়লে রোহিংগাদের প্রাণ থাকবে বার্মার সেনাবাহিনীর হাতে; বার্মার সেনাবাহিনী ভয়ংকর মগের বাচ্চা ব্যতিত অন্য কিছু নয়, এরা বিশ্বের নিকৃষ্টতম অমানুষ।
বাংলাদেশ সরকার গরম পানিতে পড়েনি, আপাতত সব খরচ জাতি সংঘ ও বিদেশীরা দিচ্ছে; সামনেও অনেকদিন এভাবে চলবে; হাতে সময় নিয়ে, বার্মার সাথে জাতি সংঘসহ মিলে সঠিকভাবে ওদের ফেরত যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে; সম্ভব হলে, চীনকেও যুক্ত করতে হবে। যদিও ৬ লাখ মানুষকে খুব বেশী মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে ওদের থেকে বেশী দরিদ্র ২/৩ কোটী আছে, যারা কোনরূপ সাহায্য পাচ্ছে না।
যদি কেহ যেতে না চায়, ভুল বুঝায়ে, বা চাপের মাঝে তাদেরকে পাঠানো ঠিক হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০২