বেগম জিয়া বাংলাদেশের ৩ বারের প্রাইম মিনিষ্টার ছিলেন শুনলে অনেক কষ্ট হয়; ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছিলেন এই জাতির স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য; ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়েছেন এই দেশের স্বাধীনতা চেয়ে; তাঁদের স্বপ্নের কোন অংশে বেগম জিয়া ছিলো প্রাইম মিনিষ্টার হিসেবে? তাঁদের স্বপ্নে এসব নেতানেত্রী ছিলো, নাকি দু:স্বপ্নে ছিলো?
কতবার প্রাইম মিনিষ্টার হওয়ার পর, কতবার এমপি হওয়ার পর, কত বার বিরোধীদলের নেত্রী হওয়ার পর, বেগম জিয়া অবসরে যাবার কথা ভেবেছিলেন? আসলে, উনি হয়তো অবসরের কথা ভেবেছিলেন ২০১২ সালের পর; ২০০৭ সালে উনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্ল্যান করেছিলেন; সেটা ঘটেনি। ২০০৯ সালে বুঝা গেছে যে, সেটা আর ঘটবে না; কিন্তু তিনি আশা ছাড়েননি; উনার আশা ছিল তারেক বিএনপি'র হাল ধরবে, সময়ে বাংলাদেশের প্রাইম মিনিষ্টার, প্রেসিডেন্ট হবে।
এখন কি উনি ব্যাপারটা বুঝতেছেন? মনে হয়, এখন অনেক কিছু উনাকে একাএকা ভাবতে হচ্ছে; উনি যদি ফাতেমার সাথে বুঝেন, ফাতেমা হয়তো উনাকে সঠিক বুদ্ধি দিতে পারবেন, অবসরে যাবার সময় হারিয়ে গেছে, এখন বাধ্য হয়ে সরে যেতে হবে।
বেগম জিয়াকে এখন সরে যাবার পথ খুঁজতে হবে। আমরা ব্লগে যা নিয়ে আলাপ করছি, মিডিয়ায় বেগম জিয়া সম্পর্কে যা আসছে, এর বাহিরেও অনেক কিছু ঘটছে। বেগম জিয়া যে, জেলে আছেন সেটা পাকিস্তান, ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা জানে। ওরা একেবারে বসে নেই; যদিও ওরা সামু ব্লগে লিখছে না, ওরা বেগম জিয়ার এই পরিস্হিতিতে চুপকরে বসে নেই।
বিদেশী সরকারগুলো অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের সাথে এ নিয়ে আলাপ করছে; তারা কোন না কোনভাবে সরকার ও বেগম জিয়ার মাঝে একটা আপোষের চেষ্টা করছে। সেই আপোষের ফলে বেগম জিয়া একদিন জেল থেকে বের হবেন; তবে, উনাকে হয়তো রাজনীতি থেকে সরে যেতে হবে।