News Link
বিএনপি'র রিজভী সাহেব বলেছেন যে, বেগম জিয়া বিহীন কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না; বেগম জিয়াকে লালঘরে নেয়ার পর, এই প্রথমবার বিএনপি'র কেহ একজন রাজনৈতিকভাবে, শক্ত গলায় শক্তিশালী এক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জানালো সরকারকে, মানে শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা যদি উনার নিজ দলের কচ্ছপদের মুখে চিপি এঁটে দিতে পারেন, যাতে ওরা বক্তব্যটাকে ঘোলা করতে না পারে, এবং স্বয়ং রিজভী সাহেবের সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেন, ও বিএনপি তার সিদ্ধান্ত অটল থাকে, আগামী নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনার জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
এই ঘোষনা নিশ্চয় শেখ হাসিনাকে চাপমুক্ত করবে, এবং উনার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রসেসকে সহজ করবে; এই ঘোষণার উপর ভর করে, শেখ হাসিনা ঠিক করতে পারবেন, বেগম জিয়াকে কখন জামিনে ছাড়বেন! বেগম জিয়াকে জামিন দেয়ার তারিখটা হতে পারে, ইলেকশানের আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখের পরেরদিন থেকে যেকোন সময়ে।
শেখ হাসিনা কি কারণে বেগম জিয়াকে জেলখানায় আটকে রেখে বদনামের ভাগী হচ্ছেন, বলা কঠিন! বিএনপি চাচ্ছে ইনাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হোক; এটা খুবই ছোট দাবী, এবং এখানে শেখ হাসিনা নিজে হস্তক্ষেপ করে, মানবিক হতে পারেন; সাথে সাথে বিএনপি'কে কিছু উড়ো খই ধরায়ে দিতে পারেন। উনি বাসায় থাকলো, বিএনপি খুশী, বেগম জিয়া একটু হাত-পা ছেড়ে নিজের বাসায় ভালো অনুভব করলেন, রাগ ইত্যাদিও কমে আসবে। বেগম জিয়া আগামী ভোটে অংশ নিতে পারবেন না; দলের যে অবস্হা, কেহ পকেটের পয়সা খরচ করে ভোট করার ইচ্ছা প্রকাশ করবে না।
বেগম জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না, আগামী মাসে উনার আপিলের ও দুদকের আপিলের ফয়সলা হবে; এতে উনার জেল বহাল থেকে যাবে; ফলে, উনার ভোটে দাঁড়ানো হচ্ছে না; রিজভী সাহেবের কথা ঠিক থাকলে, বিএনপি দল হিসেবে ভোটে যাবে না। বেগম জিয়া বাসায় চলে এলে, তৃণমুল কর্মীদের ক্ষোভ কমে আসবে, তারা খুশী থাকবে যে, বেগম জিয়া ভালো আছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:৪২