বেগম জিয়ার মৃত্যু হলে, বিএনপি হয়তো উনাকে মমি করে রেখে, সেই মমি দেখায়ে ভোট পাবার চেষ্টা করবে, বিএনপি উনাকে অবসরে যেতে দেবে না; তাই, বেগম জিয়ার দরকার নিজের থেকেই অবসরে যাবার ঘোষনা দেয়া; হয়তো, তখন তিনি বিচারকদের সামান্য সহানুভুতি পেতে পারেন; তিনি হয়তো জামিন পাবেন, নিজের ৭৩ বছরের হাড্ডিগুলোকে একটু বিশ্রাম দিতে সক্ষম হবেন।
বিএনপি হচ্ছে, মিলটারী ও আইনবিদদের দল; বিএনপি'র আইনবিদদের সম-সাময়িক অনেকেই এখন বিচারক; এসব বিচারকেরা বেগম জিয়ার প্রতি কোনভাবেই সহানুভুতিশীল হবে না, এসব বিচারকেরা বিএনপি'র বিচারক ও আইনবিদদের সাথে প্রাণপণ প্রতিযোগীতা করে এতদুর এসেছেন, বেগম জিয়ার উপর এসব বিচারকদের ক্ষোভ আছে; উনি যদি অবসরে চলে যান, এদের ক্ষোভ কমে আসতে পারে।
বেগম জিয়া, এখন বিএনপি'র কেহ নন, সামান্য সদস্যা হয়তো; এই সামান্য সুতো ধরে তিনি ঝুলে আছেন, এবং অকারণে! রূপকথায়, গ্রামের কৃষকের মেয়ে রাণী হয়ে যায়, ক্রীতদাসী রাণী হয়ে যায়; কিন্তু তারা এতদিন টিকে থাকে না; সেনাপতি, উজির, নাজিরেরা ষড়যন্ত্র করে বেচারীকে তাড়িয়ে দেয়; বেগম জিয়া রূপকথাকে হার মানায়েছেন। তিনি রাজনীতি "রা" না জেনেও একটি জাতিকে ৩৫ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন; জাতি কোথায় গেছে ঠিকানা নেই, শুধু উনার ঠিকানা আছে, লালঘর!
উনার বয়স, শারীরিক অবস্হা, বর্তমান অসুস্হতা সবকিছু বিবেচনা করে, উনার দরকার সরে যাওয়া। উনি যে অসুস্হ, এ কথা আওয়ামী লীগের কেহ বিশ্বাস করছে না; কারণও আছে: বিএনপি প্রত্যেকেই কিন্তু "বাঘ এলো, বাঘ এলো" গল্লের রাখাল বালক।
বিএনপি'র রাখাল বালকগণ ব্যতিত বাকীরা বুঝতেছে যে, বিএনপি কোনভাবে আর জয়ী হবে না, জয়ী হতে হলে, হয় রাজনীতি করতে হয়, কিংবা কেন্টনমেন্ট এর মুখপাত্র হতে হয়; এই মহুর্তে বিএনপি'র হাতে কোনটাই নেই; তাদের একামত্র ক্যাপিটেল বেগম জিয়া; এবং বর্তমান বাজারের উহা অচল মুদ্রা।
বর্তমান বিশ্বে, শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়া ব্যতিত কেহ একাধারে ৩৫ বছর রাজনীতিতে নেই; একমাত্র ব্যতিক্রম হলো, মাহাথির; কিন্তু মাথাথির মানেই মালয়েশিয়া; আর বেগম জিয়া মানে কিন্তু বাংলাদেশ নয়, বরং পাকিস্তান; ব্যুরোক্রেটরা জানেন, উনার নাম বাংলাদেশের চোর ডাকাতদের লিষ্টে আছে! উনি যদি বুঝতেন, লিষ্ট থেকে নামটা সরানোর আশায় হলেও অবসরে চলে যেতেন!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩