প্রতিবাদের ৭ম দিন শেষ হলো, শেখ হাসিনার তরফ থেকে ছেলেমেয়েদের দেয়া ৯ দফা মেনে নেয়া হয়েছে; পুলিশ প্রধান বলছেন, তাদের চোখ খুলে দিয়েছেন ছেলেমেয়েরা, পুলিশ এখন থেকে ভালো হয়ে যাবেন(?); রাস্তায় লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসহীন গাড়ী থাকবে না; কন্ষ্টেবলরা ঘুষ নেবে না।
ছেলেমেয়েদের প্রতিবাদে সরকারের অনেক দুর্বলতা, সরকারের লোকদের, প্রশাসনের লোকদের অদক্ষতা ইত্যাদি বেরিয়ে এসেছে; স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী একটা ঝাঁকুনী খেয়েছেন।
এদিকে রাস্তায় বাস নেই, মানুষের অসুবিধা হচ্ছে; রিকসা, সিএনজি সবাই বেশী টাকা নিচ্ছে! ব্লগার রাজীব যেখানে দৈনিক গড়ে ৫০ টাকা খরচ করেন যাতায়তে, সেখানে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকাও খরচ করেছেন। বিপুল পরিমাণ লোকজন হাঁটছেন, কারো কষ্ট হচ্ছে, কারো শরীর ভালো হচ্ছে!
প্রতিবাদের ফলে, পরিবহনে মন্ত্রী শাহজাহান ও উনার লোকদের মাফিয়া কার্যক্রম কিছুটা পরিস্কার হয়েছে দেশবাসীর কাছে; স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী চাপের মাঝে বিনা বাক্যে দাবী-দাও্য়া মেনে নিয়েছেন। যদিও উনার মানা, না মানা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন আছে। মন্ত্রী শাহজাহান নিজের হাতে মৃত ২ ছাত্রছাত্রীর পরিবারকে মাত্র ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপুরণ দিয়েছে; আসলে টাকার পরিমাণ ৫ কোটীর বেশী হওয়ার দরকার ছিলো, এবং টাকাটা পার্লামেন্টের লোকজনের হাত হয়ে যাওয়ার দরকার ছিলো, ক্রিমিনাল মন্ত্রী শাহজাহানের হাত হয়ে টাকাটা দেয়া সঠিক হয়নি।
এই প্রতিবাদ কি চলতে থাকবে, আরো কিছু কি চাওয়ার আছে, নাকি এর সমাপ্তি হওয়ার দরকার? যদি আরো কিছু চাওয়ার থাকে, সেটা সরকার ও জনতাকে জানানোর দরকার! নাকি এই প্রতিবাদকে আন্দোলনে পরিবর্তিত করে, এই সরকারের পতন ঘটানো দরকার, যাতে সব দুর্নীতির অবসান ঘটবে, শাহজাহানই থাকবে না, প্রাইম মিনিষ্টারও থাকবে না, ৯ দফারও দরকার হবে না; ছেলেমেয়েরা দেশ চালাবে!
যদি নতুন কোন এজেন্ডা না থাকে, ৭ দিনই যথেস্ট; আর, বড় কিছু হলে মানুষ ধৈয্যের সাথে অপেক্ষা করবে, মানুষ তাতে যোগ দেবে, সামনে ভালো দিনের স্বপ্নে আজকের সব কষ্ট মেনে নেবে; কিন্তু সেই রকম কিছু না থাকলে, একই ধরণের প্রতিবাদে মানুষই ক্লান্ত হয়ে যাবে শীঘ্রই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৬