শেখ হাসিনা যদি আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে চান, সব ধরণের মানুষকে দলে টানতে হবে; এখন, শেখ হাসিনার প্রতি অনেকের আস্হা থাকলেও, আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্হা নেই; শেখ হাসিনার পর, আওয়ামী লীগ আজকের অবস্হানে থাকার সম্ভাবনা নেই; ১৯৬৯ সালের পলায়ন, ১৯৭৫ সালের বিভক্তি ও পলায়ন, যেই প্যাটার্নের সৃষ্টি করেছে, উহা আবারো ঘটবে! আমার জন্য, বেগম জিয়া, আমান উল্লাহ আমান, ড: হাছান, মোহাম্মদ হানিফ, সবই সমান; এর অর্থ হচ্ছে, আমি যেইভাবে বেগম জিয়ার জেল চেয়েছিলাম, একইভাবে বাকীদেরও জেল চাইবো! উনাকে সুস্হ একটা আওয়ামী লীগ, সুস্হ রাজনীতি ও সুস্হ নাগরিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে এবার, সময় কিন্তু বয়ে যাচ্ছে!
১৯৭৫ সালের হত্যাকন্ডের পর, বিভ্রান্ত আওয়ামী লীগকে শেখ হাসিনা রিপেয়ার করেছেন; ঘটনায় মুল ক্ষতিগ্রস্হ পক্ষ ছিলো জনতা, জনতাকে তিনি রিপেয়ার করার চেষ্টা করেননি; জনতা আওয়ামী লীগের পক্ষে ও বিপক্ষে ছিলো। ২০১৪ সালের ভোটের পর, জনতার যে অংশ আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিলো, তারা মানসিকভাবে দেশের সরকারকে কখনো গ্রহন করেনি। সেই ভোটে যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন, বিএনপি ভোটে অংশ না নেয়াতে, আওয়ামী লীগ নিজের সাপোর্টারদেরও মুল্যায়ন করেনি; কারণ, ভোট দিলে, বা না দিলে কিছুই বদলাচ্ছিলো না, আওয়ামী লীগই জয়ী হচ্ছিল।
২০১৪ সালের বিজয়ের পর, সময় দ্রুত চলে গেছে; শেখ হাসিনা পরাজিত বিএনপি'কে কঠোর হস্তে দমন করেন; সেটার অবশ্য দরকার ছিলো। বিএনপি'র প্রতি কঠোর হওয়ার খারাপ দিক হলো, বিএনপি'র ভোট ব্যাংক আরো শক্ত হওয়া। শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ভোটের পর থেকে শুরু করে,২০১৮ সালের ভোট অবধি বিএনপি'র ভোট ব্যাংককে নিজের করার কোন চেষ্টাই করেননি; তিনি আসল, এদেরকে পছন্দ করেন না; কিন্তু এরা দেশের নাগরিক, এবং এদের হাতে ভোট আছে!
যারা বিএনপি'র শক্ত ভোটার, তাদের বড় অংশ স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি; তারা বৃহত্তর পাকিস্তানের শক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন, অনেকই আজো ভারত উপ-মহাদেশে বৃহত্তর পাকিস্তানের অভাব অনুভব করেন। এদেরকে দলে আনাও যেমন মুশকিল, আবার দলের বাহিরে রাখাও বিপদজনক। রাজনীতির অংশ হিসেবে এদেরকে ক্রমেই বিএনপি থেকে আলাদা করা, শেখ হাসিনার মুল রাজনীতি হওয়ার দরকার আজকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৫