এনজিওগুলো ১১ লাখ রোহিংগা পালনকে 'পুরোপুরি রমরমা ব্যবসা' হিসেবে প্রতিষ্টিত করেছে, এরা এই ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করছে, এরা কৌশলে রোহিংগাদের ফিরে যাবার ব্যাপারে ভীত করে তুলছে, ফেরার আগেই বার্মার নাগরিকত্বের দাবীর ব্যাপারে কুপরামর্শ দিচ্ছে। এনজিও'র লোকেরা শতকরা ১০০ ভাগ অসৎ লোকজন; বাংলাদেশ সরকারের উচিত যথাশীঘ্রই রোহিংগা ক্যাম্পগুলোকে 'এনজিও-মুক্ত' করা। এনজিওরা যেই কাজগুলো করছে, সরকার রিফিউজী বিভাগের অধীনে কয়েক হাজার শিক্ষিত ছেলেমেয়েকে চাকুরী দিয়ে এই কাজগুলো করানো উচিত; এতে ৭০০০ হাজারের বেশী ছেলেমেয়ের চাকুরী হবে। এনজিওরা অনেক অনেক বেশী বেতন নেয়, অনেক বেশী বাড়তি মিথ্যা খরচ দেখায়ে বিশাল পরিমাণ চুরি করে; সরকারের লোকেরা আরো সঠিভাবে ক্যাম্প চালাতে পারবেন।
বেশীরভাগ এনজিও কর্মকর্তারা বয়স্ক, ও আগে সরকারী কর্মকরতা ছিলো, কিংবা ইউনিভার্সিটি, কলেজগুলোতে অসৎ শিক্ষক ছিলো; এরা সুযোগ সন্ধানী, এদের কাজ করার ক্ষমতা নেই।
এনজিও কর্মচারীদের ভেতরে সরকার-বিরোধী লোকজনও আছে; তারা চাইবে সরকারী প্ল্যানগুলো ফেইল করুক; এসব লোকদের ওখান থেকে বের করার উপায় হলো এনজিও'কে ওখানে কাজ করতে না দেয়া। এনজিও'কে ওখানে কাজ করতে না দিলে, কিছু বিদেশী প্রাইভেট এনজিও অনুদান কমবে; তবে, সেইসব অনুদান না হলেও চলবে; কারণ, সেইসব অনুদানের শতকরা ৮০ ভাগ এনজিও'র লোকেরাই নিয়ে যায়, এবং এসব অনুদান অন্য খাতেও প্রবাহিত করা হয়।
গতকাল সাড়ে ৩ হাজার রোহিংগা দেশে চলে যাবার কথা ছিলো, ১ জনও যায়নি; না যাওয়ার পেছনে ভয় কাজ করছে, এবং তাদের ভয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এনজিওগুলো। বেশ কিছু পরিমাণ রোহিংগা দেশে চলে যেতে চায়; কিন্তু বার্মা এদেরকে এক ধরণের ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চাচ্ছে; বাংলাদেশকে কাজ করতে হবে, গোহিংগাদের নিজগ্রামে ফেরত যাবার ব্যাপারে।
বাংলাদেশ সরকার, ইউএন রিফউজী সংস্হা বার্মার সাথে কাজ করার দরকার ছিলো, যেন পাশাপাশি ৩/৪ গ্রামের মানুষ এক সাথে নিজগ্রামে ফিরতে পারে, এবং সেখানে আগের থেকেই ইউএন রিফিউজী সংস্হার লোকেরা থাকে, ও বার্মার পছন্দ মতো যেকোন ৩য় দেশের লোকজন থাকে কমপক্ষে; এবং বার্মার পছন্দ মতো দেশের, ও কমপক্ষে কানাডা, সুইডেনের মিডিয়ার লোকেরা থাকে। এসবের ব্যবস্হা না হলে, রোহিংগারা ভয়ে যাবে না; কারণ, মগের মুল্লুকের সেনাদের কোন ব্যক্তিত্ব নেই, এরা আসলেই মগের বাচ্চা।
অবস্হার পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে, রোহিংগারা ক্রমেই বর্তমান রিফিউজি জীবনকে মেনে নেবে, এবং এতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে; পতিতা, ড্রাগ ব্যবসায় জড়িত হয়ে যাবে; এটা হতাশা ও অনিশ্চয়তা থেকেই ঘটবে। তদুপরি, বার্মার ভেতর যেই সামান্য পরিমাণ রোহিংগা আছে, তারাও ভালো কোন খবর দিচ্ছে না। চীনাদের দাপটে, স্হানীয় অশিক্ষিত রাখাইনরাও বর্তমানে বেশ ভুগছে, রাখাইনের পরিস্হিতি হতাশাজনক।
এনজিও'তে যারা কাজ করে, এগুলো অদক্ষ ও অসৎ, রোগিংগারা এদের সাথে থেকে আরো খারাপ হচ্ছে ও হতাশ হয়ে যাচ্ছে। রোহিংগাদের প্রতি পরিবারের সক্ষম ব্যক্তিদের কাজ দেয়ার দরকার; এতে প্রয়োজনীয় সম্পদ সৃষ্টি হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৬