হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে আমেরিকায় অবমাননাকর চলচ্চিত্র তৈরির প্রতিবাদে পাকিস্তানে আগামী শুক্রবার একদিনের জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই দিনকে ‘ইশক-ই-রাসূল’ বা রাসূলের প্রতি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হবে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের ইসলামি সংগঠনগুলো আগামী শুক্রবারকে বিক্ষোভ দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর পাক সরকার এ সিদ্ধান্ত নিল।
এর আগে, আজ দিনের প্রথম ভাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক সাংবাদিকদের জানান, পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি-ও শুক্রবার বিক্ষোভের আয়োজন করবে। পাকিস্তান সুন্নি তেহরিক ধর্মীয় দল দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছে। বন্দরনগরী করাচির ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন।
এদিকে, আজ রাজধানী ইসলামাবাদের কূটনৈতিক পাড়ায় দেশটির অন্তত পাঁচশ’ আইনজীবী সন্ত্রাসবাদী মার্কিন সরকার ও অবমাননাকর চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। ওই এলাকায় মার্কিন দূতাবাস অবস্থিত।
অন্যদিকে, ইসলাম-বিরোধী এ চলচ্চিত্রের প্রতিবাদে ইসলামাবাদে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার। তবে, ঠিক কখন তাকে তলব করা হবে তা জানা যায়নি।
আমেরিকায় এ চলচ্চিত্র তৈরির প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা ফুঁসে উঠেছেন এবং দেশে দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ-মিছিল হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিক্ষোভ করতে গিয়ে সারা বিশ্বে ৩০ জনের বেশি লোক মারা গেছে। তাছাড়া, বিভিন্ন দেশ ইউটিউব ও গুগল বন্ধ করে দিয়েছে।
সূত্র
পাকিস্তান যেমন একটি মুসলিম দেশ তেমনি বাংলাদেশও একটি মুসলিম দেশ যার মোট জনগোষ্ঠীর ৯৭ভাগই মুসলিম। তাহলে সেদেশের সরকার ও মুসলমানরা কি করছে? কেন এ দেশের সন্ত্রাসবাদী মার্কিন দূতাবাস এখনো বন্ধ হচ্ছে না? কেন সরকারিভাবে এর তীব্র প্রতিবাদ করা হচ্ছে না?
Tags: ইশক-ই-রাসূল দিবস, ইশক-রাসূল, ইসলাম-বিরোধী চলচ্চিত্রের প্রতিবাদ, পাকিস্তান