শুভ হউক আগামীর দিনগুলি--
এই শ্লোগানে আমরা নতুন ক্যালেনডারকে স্বাগত জানাই প্রতিবছর, বছরে কয়েকবার। কখনও বাংলা ক্যালেনডারকে, কখনও ইংরেজী ক্যালেনডারকে আবার কখনও আরবী ক্যালেনডারকে। তিন ক্যালেনডারকে স্বাগাত জানতে তিন ধরনের আয়োজন থাকে এদেশে। বাদ্যযন্ত্র, আতশবাজি, রংঢং এ স্বাজসজ্য, মাইকে চিৎকার কোন কিছুই কমতি থাকে না।
এবারও তার ব্যাতিক্রম কিছু হয়নি। রাত ১২টা বাজার সাথে সাথে শুরু হল আতশবাজির বিকট শব্দ। সে শব্দশেষ হতে না হতেই শুরু হল মাইকে প্রবল চিৎকার আর উচ্চস্বরে গান। উচ্চশ্বরে যখন গান বাজছে তখন এদেশে হাজার শিশু হয়তো অনাহারে- অর্ধাহারে ডুকরে কাঁদছে। স্টেশনে সারাদিনের ক্লান্ত শরীর পাটের চট গায়ে গরম রাখার চেষ্টা করছে। হসপিটালের বেডে অষুধের টাকা যোগার করতে না পেরে কেও নিরবে কাঁদছে। আতশবাজি আর গানবাজনায় যে পরিমান টাকা খরচ হয় সেটাকা দিয়ে কি আমরা পারতাম না তাদের জন্য কিছু করতে??? আমরাকি পারি না আমাদের আনন্দ পাওয়ার মাধ্যমটা বদলাতে???
এবার আসি মহল্লার কথায়। প্রায় প্রতিটি বাসায় ছোট্ট বাচ্চারা থকে, থাকেন বয়ষ্কলোকেরা। যাদের কাছে উচ্চস্বরে শব্দ সহ্য করা কষ্ট স্বাধ্য। অনেকে আবার অসুস্থ্য হয়ে পড়েন সে শব্দে। যাক এসব নিয়ে নেই কারো মাথাব্যথা। চলছে চলুক এভাবেই।
দিন শেষ ভাবি শিক্ষিত মানে কি? ছোটবেলায় দেখতাম গ্রামের শিক্ষিত লোক হত সব থেকে ভদ্র নব্র বিনীয় এবং পরউপকারী। যারা অন্যে বিরক্ত হয় এমন কাজ নিজে করতেন না এবং অন্যকেও করতে বাঁধা দিতেন। ~ এখন দিন বদলাইছে
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫