সিনেমা আমার দেখার সুযোগ হয় না বা দেখিও না ইচ্ছাকৃত; দীর্ঘ সময় ধরে বসে সিনেমা দেখার মত ধর্য্য আমার কোন কালেই ছিল না বা এখনও নেই। জীবনে যে সিনেমা হলে যাই নাই এমনও না, ৭০-৮০দশকে জন্ম নেয়া এমন লোক খুব কম পাওয়া যাবে যে কিনা সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখে নাই। সবসময়ই কখনও অর্থেকের একটু বেশী, কখনও অর্ধেক এমন করেই দেখা হত। অথবা বসে থাকলেও বন্ধু বান্ধব মিলে আড্ডা গল্প দিয়ে সময় পার। এজন্য সিনেমা হলের দর্শনার্থীদের সাথে তর্কও লেগে যেত।
যা হউক- লম্বাছুটিতে বাচ্চাদের সময় দিতে গিয়ে কিছুটা তাদের মতই চলতে হল। তাদের পিড়াপিড়তে সিনেমা দেখতে হল তাদের সাথে; -জিও পাগলা- নামের সিনেমাটি নাকি অনেক হাসির তাই তারা বেশ আনন্দ নিয়ে দেখে আমার অগচরে কেননা আমি যখন ফিরি তখন তাদের সিনেমা দেখার সুযোগ নাই। অনন্ত বাধ্য হয়ে দেখতে হল কিছুটা; সিনেমাতে প্রথমেই স্বাচ্ছন্দে অশ্লীল ভাষার ব্যবহার দেখে ভাবলাম আমি হয়তো দীর্ঘদিন দেখি না তাই হয়তো যুগের সাথে খাপ খাওয়াতে পারছি না বলে খটকা লাগছে। কিছু সময় পরই অডিও ইন্টারটেইমেন্ট নামে কিছুটা বিনোদনের নামে কি হল বুঝে উঠতে পারলাম না, আবারও কিছু সময় পর সেই একই অডিও ইন্টারটেইনমেন্ট।
এর পরের দিন স্বইচ্ছায় সুপারহিট -পি.কে- দেখতে বসলাম; অবশ্য এরও একটা উদ্দেশ্য আছে তা হলে কৃঞ্চিৎ হিন্দি চর্চা। কারণ যেখানে কামলা খাটি সেখানে অনেক পাকিস্থানি, ভারতীয় এবং শ্রীলংকান আছে। যারা সবাই হিন্দিতে কথা বলে। যাহউক সিনেমার দৃশ্যপট বা কাহিনি যে অবশ্যই সুন্দর সেটাতে দ্বিমত পোষণ করার কোন কারণ দেখি না। কিন্তু ড্যানসিং কারের দৃশ্যটা না হয় বাস্তবতা বোঝাতে ১বার ঠিক ছিল কিন্তু ৫/৬বার কি জন্য ব্যবহার করা হল সেটি আমার বোধগম্য নয়।
এক মুভিখোর বন্ধুর সাথে আলাপ করে জানলাম প্রায় প্রতিটি সিনেমাতেই এমন কিছু না কিছু অংশ বিশেষ থাকে যা অশ্লীলতাকে উষ্কে দেয়ার পক্ষে অথবা পর্ণগ্রাফির পক্ষে। আসলে এসব মুভির বিশেষ উদ্দেশ্য কি সেটি অবশ্যই ভাবনার বিষয় বটে।