হাতের স্পর্শ গুটিয়ে নাও,
কিছুটা আড়াল, কিছুটা বোধের দেয়াল থাকুক,
তোমার প্রণয় প্রশ্রয়ে ডুবে যেতে যেতে
য্যানো আঁকড়ে ধরতে পারি,সেই অদৃশ্য বাঁধ;
সবুজ শ্যাওলা সরিয়ে- নিতে পারি
য্যানো, এক বুক ফিনফিনে বাতাস।
তুমি জানতো? এতটা উল্লাস আমার জন্যে নয়,
তোমাকে বলি, খুচরো আলাপন শেষে
তোমাকে, হ্যাঁ তোমাকেই বলতে চাই-
ভালোবেসে অতোটা উদার হতে নেই।
এই শহরের কোনও এক নিষিদ্ধ করিডোরে
প্রতিদিন যে রমণী টুকটাক ব্যথা জমাতো,
সে আজ চোখের কার্নিশে স্বপ্ন জমায়;
ভালোবাসায় উদারতা দেখিয়েছ বলেই।
হয়ত তুমি এখন ভীষণ ব্যস্ত জমজমাট আড্ডায়,
ওখানে আড়াল নেই, ঘরে ফেরার তাড়া নেই
গোটা বিশ্ব তোমাদের হাতের মুঠোয়
কোথাকার কোন নির্বাচনে তুমুল কারচুপি,
শান্তির প্রতীক মরমে মরছে- ছানি পড়া চোখে,
মানবতা এখন অভিধানগত প্রতীকী শব্দ মাত্র।
চায়ের সিরামিক কাপে লাল লিপস্টিকের ছাপ,
লোলুপ দৃষ্টিতে বর্ণীল প্রজাপতি ওড়ে।
আমি একা, ভীষণ একা, মৃত্যুর মতোন
দুঃসহ দুঃসময়ে কথা বলি একলা চাঁদের সাথে,
পাশের ফ্ল্যাট থেকে দেদারসে ভেসে আসে
একে একে হিন্দি সিরিয়ালের টাইটেল সুর;
এক ঘর মানুষ রিমোট হাতে অযথাই উত্তেজিত।
অফুরন্ত সময় নিয়ে বুকশেলফ খুলি,
তন্নতন্ন করে খুঁজে বের করি সুনীল, সমরেশ-
রবীন্দ্ররচনাবলী অথবা প্রাণপ্রিয় হুমায়ুন'কে;
অলস দুপুর, নির্জন সন্ধ্যা, প্রতীক্ষারত রাত
গুটিয়ে নিতে নিতে নিঃস্ব আমি ভীষণ একলাতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১