পাঁচ বছরের একজন বালক তার বাবার সাথে যখন মসজিদে যায় তখন থেকেই সে ঘৃণা শিখে।কিন্তু পাঁচ বছরের যে বালকটা গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে শুনে-"একটা একটা শিবির ধর,ধইরা ধইরা জবাই কর,সকাল বিকাল নাস্তা কর"-সে খুব প্রেম ভালোবাসা শিখে-তাই না? মসজিদে গিয়ে সেই শিশু এটা শোনে যে-আল্লাহ মুসলিমদের তুমি ভালো রাখ,কাফিরদের ধ্বংস কর।আমি সাধারণত কাফিরদের ধ্বংস নিয়ে হুজুরদের দোয়া করতে শুনি নাই,আমেরিকা ইরাক আক্রমনের পর আমেরিকাকে জালেম বলতে শুনেছি,ইরাক আফগানিস্তানের জন্য দোয়া করতে শুনেছি।এই দোয়া তখন কার ছিল না?
যদি ধরেও নেই হুজুরদের বক্তব্য এরকম,নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি।কোন এককালে বাংলা পাঠ্যবইয়ের কোন এক গদ্যে পড়েছিলাম যে রাসূল(সাঃ) কে যখন রক্তাক্ত করা হয়েছিল সেই মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন-হে প্রভু,এদের জ্ঞান দাও,এদের ক্ষমা কর।রাসুলের(সাঃ) পথে যে কাঁটা দিতেন রাসুল(সাঃ) তারই সেবা করেছেন।আমরা তো ইসলাম কে এভাবেই দেখে বড় হয়েছি।।এই গদ্য প্রবন্ধ সমূহ ছোট বেলা থেকে মন-মগজ কে একটা শেপ দিয়েছে।কিন্তু আপনারাই তো এই গদ্য-প্রবন্ধগুলো বাদ দিতে মরিয়া হয়ে নামলেন।আমাদের কয়েকটা পরের জেনারেশনের লোকজন এইগুলো জানবে না।তাদেরকে ইসলাম নিয়ে যে যাই বলবে সে তাই বাছবিচার ছাড়া গ্রহণ করবে-এটাই স্বাভাবিক।
জুমার অভিন্ন খুৎবার মূল লক্ষ্যটা রাজনৈতিক।সরকার অনেক আগে থেকেই স্থানীয় আতি-পাতি নেতা দিয়ে ইমামদের বক্তব্য মনিটর করতেন,অনেক ইমাম বিতাড়িতও হয়েছেন।আর আমাদের দুর্ভাগা দেশে মসজিদ কমিটিতে কখনও প্রথম কাতারের মুসুল্লীটা থাকে না,থাকে স্থানীয় পাতি নেতারাই।তো এখন ইমামদের বক্তব্য আটকানোর ভালো সময়।নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুরাও খুশি-পহেলা বৈশাখ,মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে কোন বক্তব্য আসবে না।সাথে ইসলামের ক্ষমা আর ভ্রাতৃত্বের দিক নিয়েও কোন কথা হবে না।তখন "বড় ভাই"রাও বসে থাকবে না।পিস টিভিও তো বন্ধ করলেন।মানুষের ইসলামের জ্ঞান হবে ইন্টারনেট মুখী।আর ইন্টারনেট জগতে দাওয়াতে কিন্তু দায়েশের কোন জুড়ি নাই।ইন্টারনেটের দাওয়াতে ডাক্তারের চেয়ে হাতুড়ে ডাক্তার অনেক বেশি।যাক,ইমামদের এক খুৎবা দিতে বাধ্য করা কিন্তু "freedom of speech" এর বিরোধী না কারণ এইগুলা শুধু প্রগতিশীলদের জন্য বরাদ্দ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪০