গতকাল সিলেট বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে সমাজকল্যান মন্ত্রী মহসীন আলী-র ধূমপানের ছবিটি দেখে আমার সেই গল্পগুলোর কথাই মনে পড়েছে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই দলের প্রতি বিশেষ অবদান রাখার জন্যই মহসীন আলীকে মন্ত্রীত্ব দিয়েছেন। আমি হলপ করে বলতে পারি আমরা যারা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট নই তারা জাতীয় পর্যায়ের নেতা হিসেবে এই চেইন স্মোকার মহসীন আলীকে চিনতাম না। প্রধানমন্ত্রী তাকে বর দিয়েছেন কিন্ত সেই বরই তার গলার কাঁটা হয়েছে। তিনি মন্ত্রী না হলে সৈয়দ মহসীন আলী মঞ্চে বসে সিগারেট ধরালো কি ধরালেন না তাতে আমাদের কিছুই যেতো আসতো না। অবশ্য মন্ত্রী না হলে ওই মঞ্চের ধারেকাছে তাকেও যেতে দেয়া হতো না।
আজ ফেবুতে প্রকাশ্যে ধূমপানের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সৈয়দ আলী। তিনি লিখেছেন অনকনসাস মাইণ্ডে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার জন্য তিনি দুঃখিত। আল্লাহ রহম করছে উনি যে আনকনসাস মাইণ্ডে মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেন নাই সেটাই শুকরিয়া। যে মানুষ আনকনসাস মাইণ্ডে পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট, লাইটার বের করে সেই প্যাকেট থেকে একটি সিগারেট নিয়ে তা ঠোঁটে লাগিয়ে সিগারেট ধরাতে পারে, তার বিষয়ে সরকারের কয়েকটি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
প্রথমত তিনি যেনো আনকনসাস মাইণ্ডে গাড়ি চালাতে না পারেন তার জন্য তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা, একইভাবে তার ব্যক্তিগত অস্ত্র থাকলে তা জব্দ করা এবং সর্বোপরি দেশের জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্ত কাজ থেকে তাকে দূরে রাখা।
মন্ত্রীর এই ফেবু স্ট্যাটাস পেয়ে জাতি তাকে ক্ষমা করবে কি করবে না এটা জাতির নিজস্ব ব্যাপার তবে আদালতের উচিত দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রকাশ্য ধূমপানের জন্য নির্ধারিত জরিমানা আরোপ করা। কারন আইন সবার জন্যই সমান। আর আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগেই সমাজের কল্যান অবধারিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫