'সর্বশেষ আমার সঙ্গে ওর কথা হয়েছিলো সন্ধ্যায়।এরপর থেকে আর কোন খােঁজ নেই'...এ ধরণের কথা বলবার সময় কারো চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে...কেউ দুর্বল স্বরে নিস্তেজ ভঙ্গিতে কথাগুলো বলেন...কেউবা বলেন ভীষন ভয় পাওয়া ফ্যাকাশে মুখে...
কথাগুলো যেভাবেই বলা হোক না ফলাফল একটাই...ওকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না...ভীষন সৌভাগ্যবান দু-একজন হয়তো জীবিত খুঁজে পান...আবার কেউ কেউ অবশ্য লাশটা পায়...তবে অধিকাংশরা একদিন ফিরে আসবে এ আশাতেই পুরোটা জীবন পার করে দেন...
প্রতিদিন এ শহরে কতো কতো মানুষ হারিয়ে যায়, কে রাখে তার খবর...অফিস ফেরত বাবা, স্কুল ফেরত ছেলে, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রেমিক...কতো কতো মানুষ হারিয়ে যায়...প্রথম প্রথম অজ্ঞাত পরিচয় লাশ মিলেছে শুনলেই ছুটে যান স্বজনরা...এক সময় থিতু হয়ে আসে সব, শুধু দু-একজন আশাটুকু নিয়ে পড়ে থাকে কারো ফেরার প্রতীক্ষায়...
আচ্ছা এই যে রাস্তাঘাটে প্রায়ই মাইকে নিখোঁজ সংবাদের ঘোষণা দেয়া হয়, এভাবে কী কখনো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়??? কারো যদি এমন ঘটনা জানা থাকে দয়া করে আমাকে জানাবেন...
আজ বিকেলে রিকশায় বসে ঝিমাচ্ছিলুম, এ সময় কানে এলো, ‘ভাইসব ভাইসব আজ দুপুরে পূর্ব রামপুরা থেকে ৬ বছর বয়েসী রাতুল নামের...’ মাইকে কথাগুলো বলছে খুব অলস ভঙ্গিতে...বোঝাই যাচ্ছে ঘোষক নিজেও জানে, এ ঘোষণায় কোন লাভ হবে না...হয়তো এ কারণে বাচ্চাটির ঠিকানার সঙ্গে কোন ফোন নাম্বারও বলল না...
বি: দ্র: রাতুলকে আমি চিনি না আবার সম্প্রতি আলোচিত নিখোঁজ জোহাকেও না...শুধু এটুকু জানি এরা দুজন মানুষ, কোন ভূত না...হয়তো দুজনের হারিয়ে যাওয়ার কারণটা ভিন্ন তবুও এরা দুজনেই এখন নিখোঁজ মানুষ...হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য আজ একটু প্রার্থণা করা যাক...
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০