আমার প্রিয় ব্লাগর, পাঠক, দর্শকবর্গ দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর আবার আপনাদের সামনে নিজেকে নিবেদিত করেছি। ইতিমধ্যেই রস অনেক মরে এসেছে। এখন কষ বেরুচ্ছে। উদভ্রান্ত চেহারা, চুল উড়ু উড়ু, ছোখে সরষে ফুল। একান্ন দিনের উপবাসের পর যেমন চেহারা হওয়া উচিত। তবুও আজ এলাম এই ভরা মজলিসে।
অবশেষে তিনি এলেন । সকল আশঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণ করে। সামহয়ারইনে সেই মাঝে মাঝে ঘুম থেকে জেগে পাশ ফিরে আবার সেই ঘুমের ঘ্রররর ঘ্রররর করেন ইনি। পাশে পেলে জমতো ব্লগিং আরো দুর্দান্ত। হাসির বাকসো নিয়ে নিয়মিত হাজিরা দেয়ার কথা থাকলেও তিনি একজন নিতান্তই ফেসবুকজীবী। পঞ্চপাণ্ডবের একজনা বলে খ্যাত ব্লগ জমান মাঝে মাঝে। সময় পেলে হয়তো! মার্চ থেকে লম্বা ডুব দিয়ে মিশর ঘুরে এখন নয়টা-পাঁচটা আফিস হাজিরাই সম্বল তাঁর। রক্তপাত থেকে রক্তক্ষরণ; অতপর আমাদের সেই প্রিয় ব্লগারকেও যখন নিয়মিত না দেখি তখন হতাশ হওয়াটাই যে অস্বাভাবিক নয় তা আরো সত্য প্রমাণ করে দেন একলা পড়ে রই কবি।
সনাতনি ব্লগ রাজনীতিকে পাশ কাটিয়ে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা এই বাম ব্লকের বুদ্ধিজীবীবৃন্দও কিন্তু কম যান না। হতাশ করতে করতে মুখ পানসে করে ফেলছেন আমাদের লালু ।
আমাদের মাচৌদা সেই যে ডুব দিলেন; সাম্প্রতিক সময়ে তার বন্যাপীড়িত হওনের জন্য একটু উইশও করা গেল না। ব্লগের বিবেক ব্লগে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন যতই চেচাক যা আছে 'তাতেই ভালো; লাগে ভালো' দেখে মুখ বুঝে সয়ে নিই। এই পরিবেশে ঈগল এসে মাঝে মাঝে খামচা খামচি করে কিছুটা। কিন্তু সেই যে 'অ তে অলস, ক তে কলস' পড়ে পড়ে দেখে যাই আহারে জাতীয় দৈনিকের পিয়নের চাকরিতে কামলা খাটা মেধার বিচিত্র অপচয়কারী। আমাদের সময়ের নায়ক অনেক ব্যস্ত সম্পাদকীয় পাতা নিয়ে। তাই অনুপস্থিতিটা বেশ টের পাই ব্লগে। পরিশেষে বলি, ছোটলোকদের পাড়ায় যাই না বলেই,কচুপাতা ঘষে ঘষে পিঠ চুলকাই না বলেই আশ্রয় মাগি এই আশ্রমে কিন্তু যার ভরসা আবারো লগইন করে ব্লগ লিখতে উসকানি দেয় সেই ভাসুরের নাম মুখে নিতে নাই বলেই নিলাম না!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:১৯