প্লুরালিজম-১
মেজরিটির ধর্মমতের মাধ্যমে ধর্মরাষ্ট হলে পৃথিবীর সকল সংখ্যালঘুরা আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভোগবে। (ভুল চিন্তা হলে ক্ষমা করবেন)
বিশ্বে জোর করে কোন ধর্মমত চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ, সংস্কৃতি ও পরিবেশ তৈরী হলে বিশ্বব্যাপী এটি ছড়িয়ে পড়বে। জনগনের বেশিরভাগের ধর্মদিয়ে রাষ্ট হলেও বিশ্বের দেশে দেশে সংখ্যলঘু ধর্মমতের মানুষ বিপদে পড়বে। সংখ্যালঘুরা আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে পড়ে মনে কষ্টে ভোগবে। জনগনের একটি অংশের মন:কষ্ট অঘোষিতভাবে জাতীয় ঐক্য হন্তরনকারী। একটি শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ জাতি রাষ্ট তৈরীর জন্যে ধর্মবেইসড রাষ্ট কল্যান জনক নয়। মানুষকে মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে।মানুষের সাথে মিশার আগে মানুষকে মূল্যয়ন করার আগে ধর্মকে প্রথমে নিয়ে আসলে মানুষের ব্যক্তিগুন ও মানবিক সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। আমি বলছিনা ধর্ম উপেক্ষিত হবে। ধর্ম জরুরী নৈতিকতা তৈরীর জন্যে । ধর্ম জরুরী আরো বেশী মানবিকতা ও নিঃস্বার্থপরতা তৈরীর জন্যে। কিন্তু ধর্মকে বেইসড ধরলে সহজে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরী হয়। এই বিভেদ মানবতার জন্যে অশুভ। আমাদের উচিত হবে সকল গোত্র ধর্মপন্থীর স্বার্থ ও সুযোগ রক্ষার জন্যে ভাল ভাল আইন তৈরী করা। ধর্মহীনতা নয় ধর্মকেও জায়গা দিতে হবে।রাষ্টবিরোধী না হলে সকলকে পিসফুলি-কো-এক্সিসটেন্স করার সুযোগ করে দিতে হবে। এক ধর্ম অন্য ধর্মের অপরকে আস্থায় নিতে হবে। এখন ভিন্নমত ভিন্ন সংস্কৃতি ভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে ডায়ালগের যুগ। এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে নিয়ে পৃথিবীতে মাথা উচুঁ করে দাড়ানোর চেষ্টার সময়। এখন ধর্ম নিয়ে কাড়াকাড়ির সময় নয়। এখন সময় হল বিজ্ঞানের আরো উৎকর্ষতা তৈরীর । এখন সময় হল কর্মসংস্থান বাড়ানোর উৎপাদন বাড়ানোর। এখন সময় হল মানুষের ব্যক্তি সমস্যা, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট সর্বোপরী পৃথিবীর সমস্যা সমাধানের জন্যে ভাবার ও কাজ করার । এখন সময় হল পৃথিবীর নেতৃত্ব পর্যায়ে যারা আছে তাদের গ্যাফ এনালাইসিস করে আরেকটি উন্নত সভ্যতা তৈরীর জন্যে কাজ করার। এখানে ধর্মান্ধদের যে কোন মূল্যে রুখে দিতে হবে। ধার্মিকতা হল ধর্মান্ধতা ও ধর্মহীনতার মাঝখানে। ধার্মিকতা যদি হয় সহনশীলতা তবে তাকে নমস্য। কিন্তু ধর্মের নামে মানবতার বিভাজন যে কোন মূল্যে পৃথিবীর স্থিতিশীলতার জন্যে এড়িয়ে যেতে হবে।
সুতরাং রাষ্টকে হতে হবে ধর্ম ইনসফায়ার্ড।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩