somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আলোর হাতছানিতে 'মেঘের মগ্নতায় রেশমি অন্ধকার' : কাব্য বিশ্লেষণ

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





কবি মোহাম্মদ হোসাইন ১৯৬৫ সালের ১ অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজারের দোয়ারাগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পেশা শিক্ষকতা হলেও নেশা কবিতা লেখা। সাহিত্যের মধ্যে ডুবে থাকাকেই বেশি পছন্দ করেন। পারিবারিক নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সাহিত্য সাধনা থেকে ছিটকে পড়েননি। পাঠ্য বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে পাঠ্যের বাইরের বিশেষ করে কবিতার বইয়ের নেশা তাঁকে সব সময় তাড়া করে বেড়াত। তিনি যেমন পড়তে ভালোবাসেন তেমনি লিখতেও পছন্দ করেন। সৃজনশীল বন্ধুদের অনুপ্রেরণা ও সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে চলে তাঁর লেখনী। বের হতে থাকে কবিতার বই। চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে তাঁর কবিখ্যাতি। সমৃদ্ধ হতে থাকে বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডার।

কবি মোহাম্মদ হোসাইনের লেখনীর নিজস্ব ধারা রয়েছে। চিন্তা-চেতনার মধ্যেও রয়েছে নতুনত্ব। ২০০৯ সালে উৎস প্রকাশন থেকে প্রকাশিত মোহাম্মদ হোসাইনের পঞ্চম কবিতার বই ‘মেঘের মগ্নতায় রেশমি অন্ধকার’। এতে মোট চল্লিশটি কবিতা আছে। কবিতার নামকরণের মধ্যেই এক ধরনের কাব্যিক পূর্বভাস মেলে।

তাঁর প্রকাশিত কাব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
• ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে (১৯৯৫)
• মেঘগুলো পাখিগুলো (২০০১)
• অরণ্যে যাবো অস্তিত্বে পাপ (২০০৩)
• পালকে প্রসন্ন প্রগতির চাকা (২০০৪)
• ভেতরে উদগম ভেতরে বৃষ্টিপাত (২০০৬)
• মেঘের মগ্নতায় রেশমি অন্ধকার (২০০৯)


‘মেঘের মগ্নতায় রেশমি অন্ধকার’ কাব্যটির বিশ্লেষণে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যথা:

ক. স্মৃতিকারতা
খ. সার্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি
গ. স্বপ্ন
ঘ. আত্মকথন
ঙ. জীবনের ছায়াপাত
চ. আত্ম অস্থিরতা ছাপ
ছ. মানবতা
জ. সমকালীন বাস্তবতা
ঝ. সামাজিক বিচ্যুতি
ঞ. মানসপ্রিয়ার স্মৃতিচারণ
ট. প্রকৃতিপ্রেম
ঠ. প্রযুক্তির জয়গান
ড. বিবিধ


কবিকে শিল্পের পথেই হাঁটতে হয়। যা দেখছি, যা দেখছি না...এই দেখা না দেখার খেলাই শিল্প। আর এ পথেই শিল্প আমাদের জৈবিক মানবাকৃতি থেকে মানুষ করে তোলে। কবি মোহাম্ম হোসাইন শিল্প ও সুন্দরের পূজারি। তাঁর প্রথম কবিতাতেই তিনি তাঁর প্রমাণ রেখেছেন। কবি মোহাম্মদ হোসাইনের ‘মেঘের মগ্নতায় রেশমি অন্ধকার’ কবিতায় একই সাথে গতিশীলতার দিকটি যেমন ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন তেমনি রোমান্টিক ভাবের ভিতর দিয়ে স্মৃতিকারতার দিকটিও স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন।

“অতঃপর মিমাংশা হয় না। না জন্মের, না মৃত্যুর!
হঠাৎই পরিচয় লোকটির সাথে। মেয়েটির সাথে।
--------------------------------------------
চারপাশে রেশমি অন্ধকার। মায়া লাগে। আমার ঝোলায়,
কাঁধে ও পিঠে কিছু মেঘ, কিছু প্ররোচনা, নুড়িও পাথর…”।

উৎস: মেঘের মগ্নতায় রেশমি অন্ধকার, পৃষ্ঠা ০৯

‘সোনার মোহর’ চমৎকার একটি কবিতা। একটি ভালো গান দিয়ে যেমন একটি সিনেমা হিট হয়ে যায় তেমনি ভালো একটি কবিতার কারণেও একটি কাব্যগ্রন্থ সফলতার মুখ দেখতে পারে। কবি মোহাম্মদ হোসাইনের ‘সোনার মোহর’ তেমনি একটি কবিতা যা পুরো কাব্যকে সফলতার পক্ষে সুপারিশ করার যোগ্যতা রাখে। যেমন:


“বাইরে বৃষ্টি এলেই ভেতরে ভিজে যাই।
-----------------------------
অজান্তেই হেসে ওঠে বুটিদার রাত। শাহবাগ প্রীতিরাজ, একাকার নদী।
সুতুপা, নীরারা যেন পঙক্তি সারস। খনিজ আবর্তে থেকে আমিও
সঞ্চিত করি সোনার মোহর”।

উৎস: সোনার মোহর, পৃষ্ঠা ১০

মূলত আশার ভেতরেই বাস হতাশার। আশা কবিতার মধ্যেই সে দিকটি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। কবি মমিনুল মউজদীন এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে তিনি যে কবিতা লিখেছেন তাতে ফুটে উঠেছে ভালোবাসার দার্শনিক পদবাচ্য।

“যত ভালোবাসা যায়
তত দূরে যাওয়া যায় না”।

উৎস: যত ভালোবাসা যায়, পৃষ্ঠা ১৪

শব্দ বিন্যাসে কবি সর্বদাই চমক দেখানোর চেষ্টা করেছেন। ছোট শিশুরা যেমন পুতুল খেলা নিয়ে মগ্ন থাকে, ফুটবল খেলোয়াররা যেমন ফুটবল খেলা নিয়ে মগ্ন থাকেন, সঙ্গীত শিল্পীরা যেমন সঙ্গীত নিয়ে মগ্ন থাকেন ঠিক তেমনি কবি মোহাম্মদ হোসাইনও শব্দ নিয়ে মেতে থাকতে পছন্দ করেন।শব্দ বিন্যাস নিয়ে মেতে থাকতে পছন্দ করেন। সফল ব্যক্তিরা যেমন একই কাজ বারবার করেন না, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে করেন ঠিক তেমনি কবির কাজও হলো প্রতিনিয়ত শব্দের পর শব্দ সাজানোর ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনয়ন করা। মোহাম্মদ হোসাইন এ ক্ষেত্রে মোটেও পিছিয়ে নেই। তাঁর কবিতার মধ্যেই সে প্রমাণ মেলে-

“সবুজ বৃষ্টি ঠোঁটে নিয়ে
ওড়ে গেছে নীল মেঘ
রোদের মাখন বিলি করছে,
ভোরের আকাশ”।

আমি তার ভরপেট খেয়ে
যেই বিশ্রামে যাবো
অমনি ওলট পালট ঝড়
অবশেষে পাতা কুড়ানোর শব্দে
শব্দ কুড়োলাম
নূড়িজলে লিখলাম কবিতা নুতন পৃথিবীর”

উৎস: সবুজ বৃষ্টি, পৃষ্ঠা ১৭

আমরা জানি, ‘মা’ ছোট্ট একটা শব্দ, কিন্তু কী বিশাল তার পরিধি! কী মহৎ স্নেহের ব্যঞ্জনাই না এর মধ্যে লুকায়িত! সৃষ্টির সেই আদিলগ্ন থেকে মধুর এই শব্দটা শুধু মমতার নয়, ক্ষমতারও যেন সর্বোচ্চ আঁধার। মার অনুগ্রহ ছাড়া কোনো প্রাণীরই প্রাণ ধারন করা সম্ভব নয়। তিনি আমাদের গর্ভধারিণী, জননী।

এটা স্পষ্ট স্বীকার্য যে, জন্মদাত্রী হিসেবে আমার, আপনার, সকলের জীবনে মায়ের স্থান সবার ওপরে। উপনিষদে পড়েছিলাম, ‘‘মাতৃ দেব ভব''। অর্থাৎ মা দেবি স্বরূপিনী, জীবন্ত ঈশ্বরী। তাছাড়া হিন্দুধর্মে মহাশক্তি, আদিশক্তি, রক্ষাকর্ত্রীর ভূমিকায় আমরা যাঁদের পেয়েছি, তাঁদের কিন্তু আমরা মাতৃরূপেই চিনেছি। এ জন্য কুসন্তান বলা হলেও, কুমাতা কখনও বলা হয় না।

কোনো মা, তা তিনি যে পেশাতেই থাকুন না কেন, যত কুশ্রীই হন না কেন, সন্তানের কাছে তিনি কিন্তু দেবির মতোই। আর শুধু হিন্দু ধর্মে কেন? ইসলামে ‘মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত' পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। খ্রিষ্টধর্মেও রয়েছে ‘মাদার মেরির' বিশেষ তাৎপর্য।

জীবনচক্রের ঘূর্ণন শুরু হয় সেই জন্মলগ্ন থেকে। এরপর ছোটবেলা কাটিয়ে উঠে কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব, বার্ধক্য, আর সবশেষে অনিবার্য মৃত্যু। এই পুরোটা চক্র জুড়েই মায়ের অবদান সীমাহীন। সত্যিকার অর্থেই মায়েদের কোন জাত নেই, জাত্যাভিমান নেই, দেশ নেই, ধর্ম নেই। এরা সকল ধর্মের, সকল জাতের, সমগ্র বিশ্বের। কবির কবিতার ভাষায়-

“মায়েদের একক কোন আবাসন নেই
তারা সমস্ত দেশের, সমগ্র বিশ্বের
পৃথিবীর সকল মা-ই এক এবং অভিন্ন
মায়েদের নিজস্ব কোন জাত নেই,
জাত্যাভিমান নেই
তারা সকল জাতের সকল ধর্মের”।

উৎস: কোন এক ইরাকী মায়ের জন্য প্রার্থনা, পৃষ্ঠা ২২


নদীর বুকে অজ্ঞাতে লেখা থাকে গোপন কথা! আকাশের বুকে লেখা থাকে মোহন কথন! মেঘের বুকে লেখা থাকে জন্মবৃত্তান্ত! ঘটনা প্রবাহ চলে অহর্নিশি। সে ঘটনার রেশ ধরে দিনের পরে আসে রাত। একেকটি রাতের বুকে লুকিয়ে থাকে অজানা চমক! সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা। আর নাম না জানা কত অজানা ইতিহাস। কাজেই সে বহুমুখী রাতের জন্য কার না অপেক্ষা করতে মন জাগে!

স্বপ্ন বিলাসী মানুষ নিরন্তর স্বপ্ন দেখে চলে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে চলে অহর্নিশি সংগ্রাম। কাঙ্খিত বস্তু লাভে কখনো বা অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয় আবার কখনো বা চলে সুদীর্ঘ প্রতীক্ষা। উল্লেখ্য যে, 'প্রতীক্ষা' ও 'অপেক্ষা' উভয় শব্দের অর্থগত কোন পার্থক্য নেই। অপেক্ষা অর্থ প্রতীক্ষা, প্রতীক্ষা অর্থ অপেক্ষা। সহজভাষায় উভয় শব্দের পার্থক্য এত কম যে, অপেক্ষার স্থলে প্রতীক্ষা ও প্রতীক্ষার স্থলে অপেক্ষা লেখা যায়। প্রতীক্ষার চেয়ে অপেক্ষার ব্যবহার ব্যাপক। শব্দদ্বয়ের পার্থক্য এত কম যে সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে না দেখলে এর পার্থক্য নিরুপণ করা কষ্টসাধ্য। স্পষ্টকরণে- অপেক্ষার চেয়ে প্রতীক্ষার সময় থাকে দীর্ঘ। কবি তাঁর কবিতায় বহুমূখী প্রতিভায় জেগে থাকা রাতের জন্য আদিম কোরক হয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষায় রত থেকেছেন। কবির কবিতার ভাষায়-


“বহুমূখী প্রতিভায় জেগে থাকে রাত
আমি তার আদিম কোরক
--------------------------
নদী কথা বুকে লিখে রাখি
জন্ম বৃত্তান্ত মেঘে মেঘে ছাপা হয়
আকাশ ভর্তি কলম, কদম ফুল হয়ে ঝরে”।

উৎস: বর্ষা, পৃষ্ঠা২৪


কবিপ্রাণ অল্পতেই আপ্লুত হয়ে পড়ে। সামাজিক ত্রুটি-বিচ্যুতি কোন কিছুই তাঁর নজর এড়ায় না। কবিরা প্রকৃতি ও সমাজ সভ্যতার শুধু একজন নিয়মিত দর্শকই না, পর্যবেক্ষকও বটে! আর সে কারণেই ক্ষুদে ত্রুটিও কবির কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কবিকে ভাবিয়ে তোলে। কবির কবিতার ভাষায়-

“সবই আছে
রসও আছে
রসনাও আছে
শুধু সাধনাটাই নেই
ব্যঞ্জনাটাই নেই”।

উৎস: ঐতিহ্য, পৃষ্ঠা ৩২

চাওয়া পাওয়া নিয়েই মানব জীবন আবর্তিত হয়। পাওয়ার সংবাদ যেমন মানুষকে আবেগ-মথিত করে তেমনি না পাওয়ার বেদনাও মানুষকে হতাশায় পর্যবশিত করে তোলে। রাষ্ট্র, সমাজ, সভ্যতার কাছে আমাদের অনেক কিছুই চাওয়ার থাকে, পাওয়ারও থাকে। যদিও তার অনেকটাই আমরা পাই না। ফলে আমাদের জীবন পরিক্রমাতেও অপূর্ণতার ছাপ পড়ে। কবির কবিতাতে সেরকমই ক্ষোভ ফুটে উঠেছে।

“নাগরিক ধূলোর মতো
বেঁচে আছি
মানুষ হতে পারি নি”।

উৎস: আজও, পৃষ্ঠা ৩৫


ব্যক্তিজীবনের প্রভাব প্রায় সব লেখকের লেখনীতেই রয়েছে। এটা অবশ্য অনেকটা জ্ঞাতসারে আবার অনেকটা অজ্ঞাতসারেই হয়ে থাকে। কবিদের ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটে না বললেই চলে। কবিতার সাথে কবি আর কবির সাথে কবিতা। এই সম্পর্ক যেন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কবির ব্যক্তি জীবনের স্বপ্ন, আশা-আকাঙক্ষা, সুখ-দুঃখের ছায়াপাতই যেন কবিতায় উঠে এসেছে। তবে ছায়াপাত থাকুক আর নাই থাকুক কবিতাটি বেশ আবেগঘন করে উপস্থাপন করা হয়েছে। শব্দ অলংকরণের বৈচিত্র্যতাও লক্ষ্যণীয়। আর এখানেই কবি মোহাম্মদ হোসাইনের কৃতিত্ব- স্বীকার্য!

“রিংটোন বাজতে বাজতেই তার মেহেদী হয়ে গেল।
আমি তখন কবিতাবদ্ধ। শব্দের ভেতরে শব্দ গুঁজে দিচ্ছি।
পকেটে ভর্তি দুঃখ, মুঠো ভর্তি ক্রোধ এপথে ওপথে ছিটিয়ে
দিচ্ছি। অন্ধ আক্রোশে কালো মেঘ আরো কালো করে
ফেলেছি।

----------------------------------------
একদিন পাঁজর খুলে দেখাবো কার নাম সেখানে গ্রন্থিত করা”!

উৎস: রিংটোন, পৃষ্ঠা ৪৪


বিজ্ঞানের আর্শীবাদে দিনে দিনে সভ্যতার বিকাশ ত্বরাণ্বিত হচ্ছে। এ প্রভাব যদিও শহরে বেশি তবুও গ্রামের ক্ষেত্রে এ প্রভাবকে অস্বীকার করা যায় না। তথ্যপ্রযুক্তির মতো গতিশীল হাওয়াও এখন গ্রামে গ্রামে- যা নিয়ত বদলে দিচ্ছে গ্রামীণ মানুষের সনাতনী রুচিবোধ, সর্বোপরি সংস্কৃতিকে। কবি মোহাম্মদ হোসাইন তাঁর কবিতায় শব্দে শব্দে এমনই অনিন্দ্য সুন্দর চিত্রকল্প ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।

“আমাদের গ্রামের জল পৃথিবীতে মেঘ হয়ে ভাসে
এ গ্রামের-ই চাঁদের কিরণ সারাবিশ্বে পূর্ণতা আনে।
-----------------------------------------------
আমরাও চিনি নিমগাছ, মেহগনি পাতা,
পাঠাতে ইন্টারনেটে এসএমএস”

উৎস: আমি জন্মেছি সেই গ্রামে, পৃষ্ঠা ৪৮

কবি মোহাম্মদ হোসাইন কবিতার এক নিবেদিত প্রাণ। তিনি মূলত কবি। কবিতাই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। তাঁর কবিতার ভাঁজে ভাঁজে ভাষার সরলীকরণ যেমন চোখে পড়ার মতো তেমনি শব্দালংকারও দৃষ্টি কেড়ে নেওয়ার মতো। সর্বোপরি ভাব-ভাষা ও বিষয়-বস্তুর নতুনত্বে ‘মেঘের মগ্নতায় রেশমি অন্ধকার’ পাঠক হৃদয়ের কাছাকাছি তো যাবেই বাংলা সাহিত্যেও দীর্ঘকাল টিকে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।


------------------------
মুনশি আলিম
২১.০৮.২০১৫-----২৪-০৮-২০১৫
ইমেইল: [email protected],
জাফলং, সিলেট

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×