somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রম্যগল্প :: বাজারখরচ

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সকালবেলা। ভাগিনা রুহেল আমীন ওরফে গিট্টু মিয়া মহিলাদের মতো নরমগলায় মামিকে বললো-মামি, আইজ বিশ্ব পায়েস দিবস! মামি মুচকি হেসে বললেন—দুনিয়াত খত দিবস … হাতধোয়া দিবস, টয়লেট দিবস, খানি দিবস, আর আইজ …! ইতা কিগুয়ে বানায়?

গিট্টু মিয়া মামির কথা শুনে ভীষণ লজ্জা পেল। অনেকটা বেলুন চুপসে যাওয়ার মতোই তার অবস্থা! কেবল গাধামিভঙ্গিতে মাথা চুলকাতে লাগল। সামনেই হাতির মতো সুন্দরভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মামা রুবজ এ রহমান। কুসম্পর্কের ভাগিনা হলেও তো ভাগিনা! মামা কৌশলীভঙ্গিতে বললেন—তোমার পাককরা পায়েস যেদিন খাই ওদিনও আমি কোনো না কোনো সুসংবাদ ফাই।
কথাটি শোনামাত্র মামি মুচকি হেসে ভেতরের রুমে গেলেন। মুহূর্তেই বাজারের ব্যাগ হাতে বেরিয়ে এলেন। অউ নেও। বালাটিকে বাজার খরিয়ো। মামার হাত থেকে বাজারের ব্যাগ নিয়ে গিট্টু মিয়া জোরে বললো—হুররে! মামি জিন্দাবাদ!

গিট্টুকে সঙ্গে নিয়ে মামা বাজারে গেলেন। বেশ যাচাই বাছাই করে বাজারখরচ করলেন। আসার পথে হঠাৎ মামা বললেন—ওবা গিট্টু, তরে তো বেটা চা-টা কিচ্চু খাবাইছি না। আয়, অউ টঙ্গর দোকানো বইয়া চা খাইলাই। বলেই তিনি টঙ্গের দোকানের সুবিধামতো স্থানে গিয়ে বসলেন। সঙ্গে গিট্টেুও। চা’র দোকানে মানুষজনে ছিল টইটম্বুর। কয়েকজনের ব্যাগের পাশে মামাও তার বাজারের ব্যাগ রাখলেন। চা খেতে খেতে পরিচয় হলো আপন খানের সঙে। দুজনেই গল্প জুড়ে দিলেন। সেকী গল্প! যেনো আর ফুড়াতেই চায় না। গিট্টু বারবার তাগাদা দিতে লাগল। মামা ইশারায় বললেন—ওবা, যাইমু। বেটিনতর লাখান ফাগল অইগেলি দেখা যায়।

তিন ঘণ্টা পর মামা বাসায় ফিরলেন। গিট্টুর হাতে বাজারের ব্যাগ। মামা বললেন—ভাগিনা, তোর মামির কাছে ব্যাগটা দিলা। শিশুবাচ্চার মতো গিট্টু আদেশ পালন করল। মামি মহাখুশি ভাব নিয়ে বাজারের ব্যাগ খুললেন। ব্যাগ খুলতেই তিনি অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেন—একী! ব্যাগভর্তি কুঁড়া! মিনশের শখ অইছে—বলদের লাখান কুঁড়াপায়েস খাইতা!



মামা বিস্মিত হয়ে খানিকক্ষণ চিন্তা করলেন। বাজার বদল হলো কী করে! তারপর বিজ্ঞের মতো অট্টহাসি দিয়ে বললেন—ইতা চায়না পায়েসের গুড়া! লবণ বেশখরি দিয়া বাট্টি বেটাইন-বেটিনতরে খাওয়াইলে তারা আত্তির লাখান মোটা আর জিরাফর লাখান লম্বা অয়! কথাটি বলেই তিনি বেঁটে মামি ও গিট্টু মিয়ার দিকে তাকালেন। এরপর আবারও অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন।

সারকথা : নিজের জিনিসের প্রতি সর্বদা খেয়াল রাখা উচিত।




সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২
৮টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×