

শ্রদ্ধেয় ব্লগার চাঁদগাজী, শাহাদাৎ হোসেন, কলাবাগান, রূপক বিধৌত সহ অনেক ব্লগার মাঝে মাঝে মুসলমানদের দুর্দশার সাথে জ্ঞান, বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়ার কথা টেনে আনেন। প্রত্যেকের সাথেই আমার দ্বিমত আছে। কারণ, গুটিকয়েক মুসলিম দেশের কিছু সংখ্যক মুসলমানদের দুর্দশা, ব্যর্থতা, বিচক্ষণতার অভাবের সাথে শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া তথা প্রকারান্তরে মুসলমানদের 'ইসলাম-কে আঁকড়ে থাকা'র কথা বলাটা গ্রহণযোগ্য নয়।
মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে কিনা তা জানতে হলে ব্লগার গিয়াস লিটন, ড. এম এ আলী-দের কাছেই জানা যায়। আর বর্তমানে কট্টর মুসলমানই বা কয় জায়গায় আছে? বরং নামধারী মুসলমানই বেশী। যারা সব ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে এগিয়ে চলছে। বাজে উদাহরণ দিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি নারীবাদি, লিভ টুগেদার, নাস্তিক, সমকামী, পর্ণস্টারও এখন মুসলিম নামধারী।
কোথায় কোন মুসলিম সরকার বিজ্ঞান শিক্ষায় বাধা দিচ্ছে তারা স্পেসিফিক্যালি বলেন না। এখনকার দিনে সব মুসলিম দেশেই শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, আরাকান, আফগানিস্তান - এগুলো রাজনৈতিক ব্যর্থতা। এদের ব্যর্থতার জন্য মুসলমানদের শিক্ষাকে দায়ী করা যাবে না। সৌদি আরব, ইউএই, কাতার, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশের মুসলিমরা বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে - এটা কেউ বিশ্বাস করে না।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




