তল্লাশি
দ্রুত উজার হতে থাকা একটা গ্রাম—
ম্যাড়মেড়ে সন্ধ্যায় চোখে আধো আধো ঘুম নিয়ে
আমি কিছু স্মৃতি স্মরন করছিলাম।
দিব্যি করে বলছি, ভবিষ্যতের দিকে পেতে রাখা
আমার ঝুমকোলতার মতো কানে,
গুঞ্জরিত হচ্ছিলো এক গায়কের গুন গুন গানে।
অনল আর দাবানল বিষয়ে গান গাইছিলো সেই আগন্তুক,
আর সেই সন্ধ্যাটি-ও ছিলো অন্যরকম
যেই সন্ধ্যায় গুন গুন সুরে গাইছিলো সেই গায়ক।
আর ওরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলো:
তুমি কেন গাইছো এমন গান?
এবং তার জবাব ছিলো—
গাইছি –কারন আমি গাইছি! গান-ই যে আমার প্রাণ. . .
তখন ওরা তার বক্ষদেশ তল্লাশি করলো
কিন্তু ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় ছাড়া আর কিছুই নাহি পেল!
ওরা তার হৃদয়ে তল্লাশি চালালো,
কিন্তু এইবারও শুধুই হাহাকার খুঁজে পেল!
আর ওরা যে তার কন্ঠস্বরের তল্লাশি নিলো,
তাতে যন্ত্রনা ছাড়া আর কিছুই খুজে নাহি পেল!
তখন ওরা তার যন্ত্রনার তল্লাশি নিলো,
কিন্তু ওখানেও কেবলই এক বন্দীশালা দেখতে পেল
এবং
ওরা তার বন্দীশালাতেও তল্লাশি চালালো
কিন্তু ওরা নিজেদেরকেই সেখানে বন্দী অবস্থায় পেল...