মেয়েটার ইচ্ছে ছিল ভার্সিটিতে উঠে একটা প্রেম করবে।
হয়তো কেউ একদিন এসে তোতলাতে তোতলাতে বলবে,
" তোমার সামনে আসলে আমার গলা শুকিয়ে যায়। হার্টবিট প্রচন্ড বেড়ে যায়।
দেখ কেমন ঘেমে গেছি! তোমার কাছে কি পানি হবে?"
ক্লাস শুরুর পনেরো-বিশ মিনিট পর ছেলেটা যখন খালি হাতে হুড়মুড়িয়ে ক্লাসে ঢুকবে,
তখন পেছন থেকে খোঁচা দিয়ে ফিসফিস করে বলবে, " এই, একটা কলম দে তো।"
মেয়েটা তখন কটমটিয়ে তাকিয়ে বলবে,
" শুধু কলম দিয়ে কি তোর হাতে লিখবি?!
এই নে একটা পৃষ্ঠা ধার দিলাম। কালকে ফেরত দিবি কিন্ত!"
ছেলেটা সিগারেটে আগুন ধরাতে যাবে,
ঠিক তখনি মেয়েটা হ্যাচকা টানে সিগারেট টা তালু বন্দি করবে।
বিজয়ী হওয়ার হাসিটা যে এখনো সিঁকেয় তোলা!
মেয়েটার তখন অনেক বন্ধু হবে।
সারা শহর হৈ-হুল্লোড় করে ঘুরে বেড়াবে।
পথ শিশুদের দেখলে মেয়েটার ভিষন কষ্ট হয়।
ওদের জন্য কিছু একটা অবশ্যই করবে।
মাঝে মাঝে স্বপ্ন গুলো স্বপ্নই থেকে যায়। বাস্তবে আর ছোঁয়া যায় না।
সেদিন মেয়েটার বড় ফুপি এসে বললো,
"এই জলদি রেডি হ। মোটেও দেরি করবি না।"
মেয়েটা কিছুই বুঝলো না।
ফুপি তাকে একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল।
সামনে একটা লোক বসা। মাথায় চুল কম।
দেখতে আংকেল দের মতোন।
মেয়েটা রোবটের মতো শুধু জিজ্ঞেস করা প্রশ্ন গুলোর উত্তর বলে গেল।
লোকটার নাকি মেয়েটাকে ভারি পছন্দ হয়েছে।
মেয়েটাকে বিয়ে করে বাইরে নিয়ে যাবে। কোন একটা দেশের নাকি সিটিজেন।
বাইরে নিয়ে পড়ালেখা করাবে।
মেয়েটা জানে সব ফাকাঁ বুলি। স্বপ্ন গুলো এলোমেলো হয়ে গেছে।
মেয়েটা এখন আহত চোখে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে।
স্বপ্ন গুলো হয়তো গালে লেপ্টে থাকা নোনা পানির মতোন লেপ্টে গেছে।