somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈদ মুবারক কাদের জন্য?

২৯ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈদ মুবারক কাদের জন্য?

এক এক করে চলে গেল রমজানের সব কয়টি দিন। গুনাহের ভারে বিপর্যস্ত মানবজাতির সামনে পরম করুণাময় আল্লাহ রব্বুল য়ালামীনের পক্ষ থেকে রহমত, ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিল রমজান। আল্লাহর নেক বান্দারা চেষ্টা করেছেন প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে। মসজিদ ও খানকাগুলোতে সালাত, যিকির, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, তা'লীম ও কিয়ামুল্লাইলে কেটে গেল জান্নাতের শরাব পিয়াসীদের দিনগুলো। ইতিকাফের মতো আধ্যাত্মিকতায় পরিপূর্ণ য়ামলে অংশগ্রহণের জন্য অনেক মসজিদে রীতিমত লাইন পড়ে গিয়েছিল। মাশা'আল্লাহ, বুড়োদের পাশাপাশি তরুন ও যুবকদের আগ্রহ ছিল উল্লেখযোগ্য। ঠনঠনে বুড়োদের দেখেছি দীর্ঘ তারাবীহর সালাত দাঁড়িয়ে আদায় করছেন। কোন অভিযোগ নেই। গুনাহের ভারমুক্ত রক্তিম গালের শিশুরাও লম্বা কোর্তা, টুপি পরিধান করে পানির বোতল নিয়ে আগে আগে মসজিদে চলে আসে। দুষ্টুমিও করে, নামাজও পড়ে। কতইনা সৌভাগ্যবান তাদের মায়েরা যারা তাদের শিশুদের সাজিয়ে গুজিয়ে মসজিদে পাঠিয়ে দেয়!

তারাবীহর সালাতে ইমাম সাহেবের কান্নার হালকা শব্দে পরম করুণাময় মা'বুদের প্রতি মনোযোগী হওয়া ও নিজের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া। তারাবীহর শেষে দু'আ, কান্নাকাটি। লাইলাতুল কদরের তালাশে মুতাকাফিন (ইতিকাফরত) ভাইদের নির্ঘুম রাত্রি জাগরণ। দ্রুতলয়ে সেহেরী শেষ করা। ফজরের পর হালকা তা'লীম। তারপর একটু আরাম। বেলা কিছু বাড়লে আবার যার যার য়ামল নিয়ে সে সে ব্যস্ত। কুরআন তিলাওয়াত হচ্ছে প্রধান য়ামল। এরপর শুরু হয় শায়খের তা'লীম। এক এক দিন এক এক বিষয়ের ওপর। কোনদিন ক্রোধ সংবরণ করার উপায় নিয়ে আলোচনা। লোভ, হিংসা, গীবত তথা ছিদ্রান্বেষণ, পরশ্রীকাতরতা থেকে বাঁচার উপায়। আরো আছে পবিত্রতা অর্জনের উপায় তথা ওযু, গোসল, তায়াম্মুম। আর সবশেষে তওবা। পূর্বের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, ক্ষমা প্রার্থনা করা ও ভবিষ্যতে গুনাহ করব না বলে দৃঢ় অঙ্গীকার করা। হয় আকায়েদ তথা 'বিশ্বাস' নিয়ে আলোচনা। ইসলামী আকীদা হল সবচেয়ে মূল জিনিস। আকীদায় যদি থাকে গন্ডগোল তবে সব নেক য়ামল শেষ। মনে করেন, কেউ মনে করল যে মাযারে সিজদা করা বা সিন্নী পাঠানো জায়েজ আছে। অথবা অমুক পীর তাকে জান্নাতে পাড় করে দিবে। তাহলে সব শেষ। কারণ একমাত্র ঈমানের বিনিময়ে মানুষ জান্নাত লাভ করে। ঈমানের শর্ত পূরণ না করলে সে জান্নাত পাবে না। এটাও একটা আকীদার বিষয়। আবার ধরুন এক ব্যক্তি মনে করল বর্তমান বাস্তবতায় সুদভিত্তিক অর্থনীতি জায়েজ। এরূপ মনে করার কারণে সে আল্লাহর হুকুমের সাথে শিরক করল। কারণ আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন সুদকে হারাম করেছেন, অথচ ঐ ব্যক্তি সুদকে হালাল সাব্যস্ত করেছে। এগুলো হলো সবই আকীদাগত বিষয়। য়ামল কবুল বা গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য সঠিক ইসলামী আকীদা সবচেয়ে প্রাথমিক শর্ত।

যাহোক, এখন হিসেবের খাতাটা নিয়ে একটু বসা দরকার। ভেবে দেখা দরকার আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রমজানের মতো এত বড় নেয়ামত প্রাপ্তি, অতঃপর এত আয়োজন, সারা দিন না খেয়ে থাকা। আমি কি পেরেছি আমার গুনাহ ক্ষমা করাতে? যদি পারি, আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি না পারি, তবে আমার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জমীনের উপর ও আসমানের নীচে আর কে আছে? স্বয়ং ফেরেশতা হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তাদের বদদোয়া করেছেন যারা রমজান পেল অথচ গুনাহ ক্ষমা করাতে পারল না। নবীজী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি সাল্লাম ফেরেশতার সে বদদোয়ায় 'আমীন' বলছেন। তাহলে আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার নাকি দরকার না?

একটি দৃষ্টান্তঃ

বিদ্যালয়গুলোতে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করুন। অনেক ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে কিছু উত্তীর্ণ হয়। কিছু হয় অনুত্তীর্ণ। যারা উত্তীর্ণ হয় তারা থাকে খুশি। যারা ১ম, ২য় বা ৩য় হয় তারা থাকে সবার চেয়ে এগিয়ে। আর যারা অনুত্তীর্ণ হয় তারা হয় মনমরা। উত্তীর্ণরা উপরের ক্লাসে উঠার সুযোগ পায়। অনুত্তীর্ণরা পূর্বের ক্লাসেই পড়ে থাকে।

রমজান মাস ছিল পরীক্ষার মৌসুম। পুরো রমজান জুড়ে আমরা আমাদের য়ামলের পরীক্ষা দিয়েছি। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছি। বেশি বেশি নেক য়ামলের চেষ্টা করেছি। মসজিদগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ফজরের সালাতেও পুরো মসজিদ ছিল ভরা। সকলেই চেষ্টা করেছেন জামাতের সাথে সালাত আদায় করতে। অন্তত এক খতম কুরআন তিলাওয়াত করেছেন অনেকেই। এছাড়াও ছিল গীবত, শিকায়েত থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার প্রবণতা। মহিলারা সালাত ও সিয়ামের পাশাপাশি পর্দার দিকে ছিলেন বিশেষ মনযোগী। এগুলো সবকিছু দ্বারা আপনি প্রমাণ করেছেন ইচ্ছা ও চেষ্টা করলে আপনিও দ্বীনের ওপর চলতে পারেন।

আজ ঈদের দিন। পুরস্কার বিতরণের দিন। এ দিনে কে হবে উত্তীর্ণ? কিভাবে বুঝবেন আপনি উত্তীর্ণ হয়েছেন? এর উত্তর হল যদি আপনি দেখেন রমজানের পূর্বে আপনার য়ামল যেমন ছিল রমজানের পরে য়ামল তার চেয়ে ভাল হয়েছে, রমজানের পূর্বে নেক য়ামল যতটুকু করতেন রমজানের পরে তার চেয়ে বেশি পরিমাণে য়ামল করছেন, আগে যতটুকু গুনাহ করতেন তার চেয়ে গুনাহের পরিমাণ কমেছে, আগে দ্বীনের প্রতি যতটুকু আকর্ষণ ছিল আকর্ষণ তার থেকে বেড়েছে, পূর্বে য়ামলের মধ্যে যতটুকু প্রাণ ছিল এখন য়ামলের মধ্যে তার থেকে বেশি প্রাণ অনুভব করেন ---- তাহলে বুঝবেন ইনশা'আল্লাহ আপনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। আপনাকে মুবারকবাদ। আলহামদুলিল্লাহ, ঈদতো আপনার জন্যই। অতএব আপনি বেশি করে আপনার রবের তথা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করতে থাকেন। আল্লাহর রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ বেশি বেশি করতে থাকুন। য়ালেম উলামা ও দ্বীনদার লোকদের সান্নিধ্যে বেশি বেশি থাকুন। ও অধিক পরিমাণে তওবা করতে থাকুন। ইনশা'আল্লাহ আপনি উপকৃত হবেন।

আর অনুত্তীর্ণ হওয়ার য়ালামতগুলো কি কি? যদি কোন ব্যক্তি দেখে তার নেক য়ামলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি, আগে যেরূপ গুনাহ করত রমজানের পরেও গুনাহ কমানোর কোন চিন্তা-ভাবনা তার মধ্যে নেই, চোখের হেফাজত, কানের হেফাজত, অন্তরের হেফাজত, জিভ ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে সে পূর্বের মতোই অক্ষম তবে বুঝবেন ঐ ব্যক্তি হল চরম হতভাগা। আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন তাকে সুযোগ দিয়েছিলেন, উপদেশ গ্রহণ করার মত তাকে বিবেক দিয়েছিলেন। সে কুরআনের কথা শুনেছে, সে য়ালেম উলামাদের সতর্কবানী শুনেছে, দ্বীনদার বন্ধুদের উপদেশবানী শুনেছে। কিন্তু সে এসব গ্রাহ্য করেনি। সেতো কেবল নিজের খেয়াল খুশির অনুসরন করেছে। আপনি নিশ্চিত থাকুন রমজানের দ্বারা এ লোকটির কোন উপকার হয়নি। সে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সে আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক রেড সিগন্যালে আছে। তার উচিত দ্রূত অন্তরের চিকিৎসা করানো। ফিরে আসার জন্য সে ঈমানী কালিমা তথা কালিমা তাইয়্যেবা বেশি বেশি পড়বে, নিজের গুনাহের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা ও এস্তেগফার করবে, আল্লাহ রব্বুল ইজ্জতের কাছে কান্নাকাটি করবে, গুনাহের পরিবেশ ও সঙ্গী-সাথী পরিত্যাগ করবে, য়ালেম উলামা ও দ্বীনদার লোকদের সাথে বেশি বেশি চলাফেরা করবে। আল্লাহ চাহেন তো তাকে হেদায়েত দান করবেন। কারণ আল্লাহ তায়ালা মহান দাতা ও ক্ষমাশীল। তার ক্ষমা থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। কারণ একমাত্র কাফেররাই তার ক্ষমা ও রহমত থেকে নিরাশ হয়।

রমজান শেষ হয়েছে। ঈদ এসেছে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালার নেককার বান্দাদের জন্য আনন্দ বার্তা নিয়ে। আমাদের মত আল্লাহর গুনাহগার বান্দাদের জন্যও ঈদ আনন্দের হবে তখনই যদি আমরা আমাদের ভুল ত্রুটি গুলো নিয়ে আল্লাহর সামনে মাথানত করে দাঁড়াই। ও মাওলাগো, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আর কোনদিন তোমার হুকুমের বিরুদ্ধাচরণ করব না। অন্যায় করব না। সুদের ধারে কাছেও যাব না। ব্যভিচারের ধারে কাছেও যাব না। বেপর্দা চলব না। মিথ্যা কথা বলব না। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নবীজী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত মোতাবেক আদায় করব। য়ালেম উলামাদের সতর্কবানীকে গুরুত্ব দিব। কুরআনের হুকুম মানব। নবীজির হুকুম মানব। হে আল্লাহ! হে আমার রব! তোমার সাথে কখনোই বিশ্বাসঘাতকতা করব না। তবে আশা করা যায় ঈদ হবে আমাদের জন্য আনন্দের।

কাজেই ঈদতো মুবারক তাদের জন্য যারা রমজানে গুনাহ ক্ষমা করাতে পেরেছে।

একটি সতর্ক বানীঃ

জাহান্নামের দরজা আবার খুলে যাচ্ছে। শয়তানকে মুক্ত করা হচ্ছে। সাথে সাথে টিভি চ্যানেলগুলোতে আসছে ঈদ অফারের নামে মুসলমানদের সাথে ধোঁকাবাজি। আল্লাহ ও তার রসূলতো আমাদের জান্নাতের অফার দান করেন। আর তোরাতো আমাদের দিচ্ছিস জাহান্নামের অফার। তরুন তরুনীরা সাবধান, বুড়ো ভামের সাবধান, মা-বোনের সাবধান! এসব টিভি চ্যনেল ঈদ বিনোদনের নামে বেহায়াপনার মাধ্যমে রমজানে আপনার প্রতিটি অর্জন ছিনিয়ে আপনাকে নিঃস্ব করে দিবে। এজন্য ভাই অর্থের হেফাজত আপনারা যেভাবে করেন, তার চেয়েও কঠিনভাবে ঈমানের হেফাজত করুন, য়ামলের হেফাজত করুন।

সাদাকাতুল ফিতারাত (ফিতরা)

ঈদের আগেই ফিতরা দিয়ে দিবেন। রমজানে সিয়াম সাধনায় আপনার যেসব ভুলত্রুটি হয় তার কাফফারা এই সাদাকাতুল ফিতরা। এটা গরীবদের হক্ব। আপনি যদি জানেন এটা কি ও এটা কেন দেয়া হয় তাহলে এটা দিতে আপনি কার্পণ্য করবেন না। সুদভিত্তিক অর্থনীতির বিপরীত এ সদকা। ইসলাম সুদকে নিষিদ্ধ করে এবং যাকাত ও দান-সদকাকে উৎসাহিত করে। সুদের মাধ্যমে সম্পদের প্রবাহ থেমে যায় অথবা নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তরে সম্পদ প্রবাহিত হয়। যা স্বাভাবিকের বিপরীত। রক্তের প্রবাহ যদি শরীরে থেমে যায় অথবা রক্ত যদি কোন নির্দিষ্ট স্থানে আটকে যায় [Congestion], তবে তা স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। যাকাত ও দান-সদকার মাধ্যমে সম্পদ উচ্চস্তর থেকে নিম্নস্তরে প্রবাহিত হয়। যা স্বাভাবিক নিয়মের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। পুরো শরীর উপকৃত হওয়ার জন্য যেমন শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত চলাচল অপরিহার্য্য। ঠিক তেমন পুরো সমাজব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকার জন্য সম্পদের স্বাভাবিক প্রবাহ অপরিহার্য্য। এজন্যই সুদভিত্তিক অর্থনীতি থেকে মুক্ত হয়ে যাকাত ও দান-সদকা ভিত্তিক অর্থনীতি গ্রহণ করতে হবে।

আপনি গম, যব, খেজুর, কিশমিশ অথবা পনিরের মূল্যের ওপর ভিত্তি করে ফিতরা দিতে পারেন। এদের ওজনেরও বেশকম আছে। গমের মূল্য ভিত্তিতে দিলে জনপ্রতি ফিতরা এক কেজির কিছু বেশি। কিন্তু খেজুর, কিশমিশ বা পনিরের মূল্য ভিত্তিতে দিলে তিন কেজিরও বেশি পরিমাণের মূল্য হিসাব করতে হবে।

আপনি যখন ইণ্টারনেটের সংযোগ ক্রয় করেন তখন আপনাকে বিভিন্ন অপশন দেয়া হয়। আপনার সামর্থ্যের অনুপাতে আপনি ধীর বা উচ্চগতির সংযোগ নেন। কম বা বেশি পরিমাণ ডাটা নেন। সাদাকাতুল ফিতারাতেরও একই নিয়ম। আপনার সামর্থ্য থাকলে আপনি ভালো মানের খেজুর, কিশমিশ বা পনির দিয়ে আপনার ফিতরা আদায় করুন। যেহেতু আপনি এখন বুঝতে পেরেছেন যে ফিতরা কাকে দেয়া হয়, কিজন্য দেয়া হয়, এর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য কি। সামর্থ্য কম থাকলে সমস্যা নেই। আপনি গম বা যবের মধ্যে যান। ইণ্টারনেটের সংযোগ ক্রয়ের ক্ষেত্রে কম মূল্য পরিশোধে আপনাকে 'স্লো লাইন' ও 'লিমিটেড ডাটা' দেয়া হয়। কিন্তু আপনার উদ্দেশ্য পরিষ্কার থাকলে আপনার দান আল্লাহ তায়ালার কাছে পৌঁছতে বিন্দুমাত্র দেরী হবে না ইনশা'আল্লাহ। তবে যা দিবেন ঈদের কিছু আগেভাগেই তা আদায় করুন যেন আপনি যাকে দিবেন সে বেচারা যেন ঈদ উপলক্ষ্যে তা কাজে লাগাতে পারে। আপনি চাইলে দ্বীনী ইলম শিক্ষার্থী দরিদ্র কোন মাদ্রাসা ছাত্রকে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে ইনশা'আল্লাহ সদকায়ে জারিয়া হিসেবে আপনার দান আরো বেড়ে যাবে। সাথে সাথে পৃথিবীতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আপনিও হবেন একজন সহযাত্রী।


ইনশা'আল্লাহ আসিতেছেঃ

(১) ছোটদের ঈমান শিক্ষা

এতে আছে আল্লাহ তায়ালার পরিচয়, ঈমানের অন্যান্য বিষয় এবং মানবজাতি সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে আলোচনা।

(২) বাচ্চাদের জন্য "বর্ণে বর্ণে জ্ঞানশিক্ষা।"

আপনার ছেলে, মেয়ে, ছোট ভাইবোন, ভাতিজার জন্য। এটাচড থাকুন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×