somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কালিমা তাইয়্যিবা

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


لا اله الا الله محمد رسول الله


“আল্লাহ্তায়ালা ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্তায়ালার রসূল”।

এ কালিমায় তিনটি অংশ রয়েছে।

(১) মা'বুদ হিসেবে মহান আল্লাহ্তায়ালা ব্যতীত অন্য সকল কিছুকে অস্বীকার করা।

(২) আল্লাহ্তায়ালাই একমাত্র মা'বুদ।

(৩) চিন্তা, চেতনায়, ধ্যানে, জ্ঞানে, কথায় ও কর্মে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ করা।

মা'বুদ কি?


যার জন্য আমাদের ইবাদত বা উপাসনা তাকে বলে মা'বুদ। যেহেতু আল্লাহ রব্বুল য়ালামীনই একমাত্র ইবাদত পাওয়ার যোগ্য তাই তিনিই হলেন মা'বুদ।

ইবাদত বা উপাসনা কি?

আল্লাহর রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের পথনির্দেশের সাথে একমত হওয়া,

আল্লাহর রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের পথনির্দেশ মুখে স্বীকার করা ও

আল্লাহর রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের পথনির্দেশ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও বৈশ্বিক জীবনে রসূল সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করাকে ইবাদত বা উপাসনা বলে।


এই কালিমা পড়ে আমরা মুসলমান হয়েছি। এই কালিমা আমরা অন্তরে বিশ্বাস করি, মুখে সহি-শুদ্ধভাবে বলতে শিখি, এই কালিমার ওপর আমরা আ’মল করি এবং সমগ্র দুনিয়ার সকল মানুষকে এই কালিমার দাওয়াত দেই।

এই কালিমার চাহিদা এই যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস থাকার কারণে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের যেসব বিষয়ে ঈমান আনতে নির্দেশ দিয়েছেন, সেসব বিষয়ে পরিপূর্ণ ঈমান আনা, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাজকে কাজ বানানো এবং রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পথকে আমার নিজের পথ বানানো। অর্থাৎ নিজের ইচ্ছা ও অনিচ্ছার বিপরীতে আল্লাহ্তায়ালা ও তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য উৎসর্গীত হওয়া।

এই কালিমাটিকেই কালিমা তাইয়্যিবা বলে। এই কালিমাটির মধ্যেই রয়েছে মা’বুদ মহান আল্লাহ্তায়ালার একত্ববাদ এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের সুস্পষ্ট বর্ণনা। অর্থাৎ ইবাদতের যোগ্য একমাত্র মহান আল্লাহ্তায়ালা, এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্ প্রেরিত সর্বশেষ রসূল। তাই আমরা একমাত্র মহান আল্লাহ্তায়ালার ইবাদত করি ও রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পথনির্দেশ দ্বিধাহীন চিত্তে অনুসরণ করি। একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, কবর থেকে হাশর পর্যন্ত, হাশর থেকে জান্নাতে পৌঁছানো পর্যন্ত তার সমস্ত প্রয়োজন পূরণ এবং সমস্ত সমস্যার সমাধান এই কালিমার মধ্যে নিহিত আছে। এই কালিমার সাথে সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমেই একজন মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে সমস্ত কল্যাণ লাভের নিশ্চয়তা পেতে পারে। এই কালিমা থেকে বিযুক্তিই নিশ্চিতভাবে একজন মানুষকে সমস্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত করে তার দুনিয়া ও আখিরাত বরবাদ করে দেয়। একজন মানুষ, সে যেই হোকনা কেন, যেখানেই থাকুকনা কেন, এটাই তার জন্য সবচেয়ে জরুরী যে সে এই কালিমার সাথে সংযুক্ত হবে। এই কালিমার সাথে সংযুক্ত হওয়া ব্যতীত জরুরী কাজ একজন মানুষের জীবনে আর কিছুই নেই। তিনটি সম্মিলিত উপায়ে এই কালিমার সাথে সংযুক্ত হতে হয়ঃ

প্রথমতঃ মা’বুদ হিসেবে একমাত্র মহান আল্লাহ্তায়ালা ব্যতীত অন্য সমস্ত কিছুকে অস্বীকার করা। আল্লাহ্তায়ালা ব্যতীত অন্য সমস্ত কিছুকে বলে ‘গাইরুল্লাহ’। আল্লাহ্তায়ালার হুকুম ব্যতীত নিজ থেকে তারা আমার কোন উপকার করতে পারে না, আমার কোন ক্ষতিও করতে পারে না। কারণ গাইরুল্লাহর কোন ক্ষমতা নেই। তারা কোন কিছু সৃষ্টিও করতে পারেনা, কোন কিছু ধ্বংসও করতে পারেনা। আমি নিজেও গাইরুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত। আমি যেমন তুচ্ছ, ক্ষমতাহীন, গাইরুল্লাহও তেমনি তুচ্ছ, ক্ষমতাহীন। এরা আল্লাহ্তায়ালার রাজত্বে, একমাত্র তাঁরই দয়ায় প্রতিপালিত হয়। আবার তাঁরই হুকুমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। তাই একমাত্র মহান আল্লাহ্তায়ালা ব্যতীত অন্য কিছুকে ইবাদতের যোগ্য মনে না করা। একমাত্র মহান আল্লাহ্তায়ালা ব্যতীত অন্য কারো সামনে মাথা নত না করা। এজন্যই দেবদেবী, সূর্য্য, আগুন, পানি, গাছ, মাজার, সাপ, বানর, হনুমান, মানুষ ইত্যাদি দৃশ্যমান বস্তুর উপাসনাকে অস্বীকার করা। আবার অদৃশ্য বস্তু যেমন ফেরেশতা, জ্বীন, বাতাস ইত্যদির উপাসনাকে অস্বীকার করা। অথবা কোন তত্ত্ব যেমন কোন রাজনৈতিক তত্ত্ব, কোন সামাজিক দর্শন, কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ইত্যাদি যদি ইসলামী আকীদার সাথে সাংঘর্ষিক হয় তবে তা গ্রহণ না করাও কালিমা তাইয়্যিবার চেতনার অন্তর্ভুক্ত। এমনকি কখনো কখনো নিজের নফস্ বা প্রবৃত্তির অথবা কোন সামাজিক রীতির আনুগত্য করতে অস্বীকার করা। আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন সমস্ত সৃষ্টিজগতকে মানুষের জন্য নিয়োজিত করেছেন। আর মানুষকে হুকুম করেছেন একমাত্র আল্লাহতায়ালার আনুগত্য করার জন্য। তাই সৃষ্টিজগতের কেউ ইবাদতের যোগ্য তো নয়ই বরং এরাও আল্লাহ্তায়ালার হুকুম মেনে চলে। আল্লাহ্তায়ালার হুকুমেই এদের জন্ম, বিকাশ ও ধ্বংস। আল্লাহ্তায়ালার হুকুমেই এরা আমাদের নিকট উপকার বা অপকার পৌঁছায়।

জমি আমাদের খাদ্য দেয় না, গাছ আমাদের রিযিক পৌঁছায় না, নদী আমাদের জীবনদায়িনী নয়, গাভী থেকেও আমরা দুধ পাই না, সূর্য্যও আলো প্রদান করে না। বরং এ সকল কিছুর পেছনে রয়ে গেছে আল্লাহ রব্বুল য়ালামীনের কুদরতী হুকুম।

তাই এ কালিমার হাকীকত হলো,

আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন আমাদের জীবনদাতা,

তিনিই মৃত্যুদাতা,

তিনিই রিযিকদাতা,

তিনিই একমাত্র উপাস্য।

তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।


তাই আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে দেবদেবীরূপে পূজা-অর্চনা করা শিরক। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর প্রতি এমন আস্থা ও বিশ্বাস রাখা যা আল্লাহর গুণের সাথে সম্পর্কিত নাজায়েজ ও শিরক। আল্লাহ যাকে হালাল বলেছেন তাকে হারাম সাব্যস্ত করা ও আল্লাহ যাকে হারাম করেছেন তাকে হালাল সাব্যস্ত করা শিরক। ইসলাম ব্যতীত অপর কোন তত্ত্ব, রীতি বা দর্শনকে মানব জীবনের সফলতা অথবা ইহলৌকিক বা পারলৌকিক মুক্তির উপায় জ্ঞান করে তার আনুগত্য করা শিরক। যেমন সুদযুক্ত অর্থনীতি, পর্দাহীন শিক্ষা ও কর্মব্যবস্থা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, সেক্যুলারিজম ইত্যাদি। কালিমা তাইয়্যিবার চাহিদা এই যে, একমাত্র মহান আল্লাহ্তায়ালা ব্যতীত অন্য সকল ধ্যান-ধারণার আনুগত্য করতে অস্বীকার করা। অতএব একমাত্র মহান আল্লাহ্তায়ালা ব্যতীত আর কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়।

দ্বিতীয়তঃ মা’বুদ হিসেবে একমাত্র মহান আল্লাহ্তায়ালাকে স্বীকার করা। অর্থাৎ একমাত্র মহান আল্লাহ্তায়ালার ইবাদত করা এবং তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করা।

তৃতীয়তঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ্তায়ালার শেষ নবী ও সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল বলে স্বীকার করে তাঁর নিকট মহান আল্লাহ্তায়ালা যে দ্বীন প্রেরণ করেছেন তথা ইসলামকে মহান আল্লাহ্তায়ালা কর্তৃক মনোনীত একমাত্র জীবনবিধান তথা দ্বীন স্বীকার করা। অতঃপর ইসলামের ওপর নিজ ও অধীনস্তদের জীবন পরিচালনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা এবং নিজ সাধ্যানুযায়ী জান, মাল ও সময় ব্যয় করে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তরীকায় ইসলামের প্রচার ও প্রসার এবং ইসলামের মহান মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা।

এরূপে কালিমার সাথে যুক্ত কোন ব্যক্তিকে বলা হয় ঈমানদার বা মু’মিন। একজন মু’মিন ব্যক্তির প্রধান কাজ হলো সারাজীবন ঈমানের ওপর অবিচল থাকা, গুনাহ্ থেকে বেঁচে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা, একনিষ্ঠতার সাথে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ও মুস্তাহাব আমলগুলো করা এবং ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কোন গুনাহ্ হয়ে গেলে বিগলিতভাবে তওবা করা।

এভাবে আল্লাহ্তায়ালা একজন মু’মিন ও নেককার ব্যক্তিকে দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত অকল্যাণ, বরবাদী ও ক্ষতি থেকে হেফাজত করেন। তার জন্য দুনিয়ায় রয়েছে সম্মানজনক রিযিক ও আখিরাতে আছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।

আর কালিমা থেকে বিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে বলা হয় কাফির বা অবিশ্বাসী। তারা দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। তাদের জন্য দুনিয়ার জীবন পেরেশানী ও হতাশার এবং আখিরাতের জীবনে রয়েছে জাহান্নাম।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×